জামালপুর হাজীপুর কেন্দ্রের ৫ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

S M Ashraful Azom
Exemption from 5 teachers of Jamalpur Hajipur center

মিঠু আহমেদ,জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্রে  পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা প্রদানের অভিযোগে ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় উক্ত বিদ্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৫ শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

জানা যায়, হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্রে হাসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই কেন্দ্রের ৪ ও ৫ নং কক্ষে শুধু মাত্র হাসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করেন কেন্দ্র সচিব সাজেদুল ইসলাম। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়তি অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেয়ার জন্য। পরীক্ষার শুরু থেকেই এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পায়।

স্থানীয়রা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা কর্তব্যরত ম্যাজিষ্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ডুকে অবহিত করেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাংবাদিকদের অভিযোগ শুনে ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী হল সুপার আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতান হোসেন, হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজাত আলী,সহকারী শিক্ষিকা মুনতাহেনা, আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহেল কাফী ও ডেফুলিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হামিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। সেই সাথে কেন্দ্র সচিবকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে সতর্ক করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। ঘটনার পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কবীর উদ্দিন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা জানান, কেন্দ্র সচিব মোঃ সাজেদুল ইসলাম হাসিল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যার কারনে আজকে বিদ্যালয়ে ৫ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে অব্যহতি দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এই ঘটনায় স্থানীয়রা কেন্দ্র সচিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

কর্মরত শিক্ষকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলা শিক্ষা অফিসার মুখলেছুর রহমানের মাধ্যমেই এই অনৈতিক সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন কেন্দ্র সচিব। কারণ শিক্ষা অফিসার সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে তিনি নিজেই কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থান করা কালীন সময়ে এই অনৈতিক কর্মকান্ড চলছিল।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মুখলেছুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

ম্যাজিষ্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ কেন্দ্র থেকে ৫জন শিক্ষকককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top