চলতি
অর্থবছরের (২০১৪-১৫) ১১ মাসে (জুলাই-মে) কৃষিখাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১৩
হাজার ৬৯৬ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়
৪২৫ কোটি টাকা বা তিন শতাংশ কম, যা চলতি অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৮
দশমিক ০৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে বিতরণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার
১২১ কোটি টাকা, যা ওই বছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বিতরণের হার ছিল ৯৬ দশমিক
৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কৃষি
খাতকে অগ্রাধিকারমূলক খাতও হওয়ায় এ খাত ঋণ বিতরণ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বারবার নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আর কৃষিঋণ বাড়াতে এবং
কৃষকদের সুবিধা দিতে প্রতিটি ব্যাংকে আলাদা কৃষিঋণ বিভাগ গঠনেরও নির্দেশ
দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।
জানা
গেছে—কৃষি ঋণে তুলনামূলকভাবে সুদহার কম হওয়ায় ব্যাংকগুলো এ খাতে আগ্রহ কম।
কৃষিঋণ বিতরণ বাড়াতে সম্প্রতি কৃষিখাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণে
বর্তমানে নির্ধারিত হারের তুলনায় দুই শতাংশ সুদ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১ জানুয়ারি থেকে কৃষকরা ১৩ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে
কৃষিঋণ নিতে পারছেন।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে— সরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ
কমার ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী,
জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
পুরো অর্থবছরের নয় হাজার ২৪০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এগার মাসে
সাত হাজার ৯০১ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
আগের
অর্থবছরের একই সময়ে আট হাজার ৯৫০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ
করেছিলো আট হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য
এবারে ছয় হাজার ৩১০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এগার মাসে তাদের বিতরণ
হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে পাঁচ হাজার ৬৪৫
কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করেছিলো পাঁচ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা।