অবাধে বন উজাড় আর
শিকারিদের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে নানা জাতের পাখি। তবে এর ব্যতিক্রম
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রাম। এ গ্রামের একটি বাঁশবাগানে
বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভয় আশ্রম গড়ে উঠেছে। গত ২ বছর ধরে পাখিগুলো এ
বাঁশবাগানে অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয়রা
জানান, ঘুঘু, সাদা বক, পানকৌড়ি, শামুকখোলসহ নাম না জানা অনেক দেশি-বিদেশি
পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে এ গ্রামবাসীর। ২ বছর আগে হঠাত্ করেই আসতে শুরু
করে নানা জাতের পাখি। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান, পাখিগুলো আমাদের
গ্রামকে সুন্দর করে তুলেছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি অবাধে পাখি শিকার
করার কারণে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য। পাখির আনাগোনার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে
থাকে পাখি শিকারিদের আনাগোনাও।
সমপ্রতি
স্থানীয় কিছু পাখি শিকারি অবাধে বাচ্চাসহ পাখি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গাংনী
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন জানান, পাখি শিকার করলে বন্যপ্রাণী
সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ১৯৯৪ আদেশ অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেয়া হবে।