
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বগুড়ার সোনাতলার চাঁদার দাবিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার সহোদরসহ কমপক্ষে ৬জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার মূল নায়ক আরিফুর রহমান পলাশকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন বাজারে অবস্থিত শিহিপুর (জাহানেরপাড়া) এলাকার আব্দুল বাছেদ মোল্লার ছেলে রিয়াজুল করিমের ঝর্না ফার্মেসী ও ঝর্না ইলেকট্রনিক্স দোকানে শিহিপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার নাজির উদ্দিনের ছেলে আরিফুর ইসলাম পলাশ ঈদ উপলক্ষে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দোকান মালিক পলাশ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পলাশ ও তার লোকজন ঝর্না ফার্মেসী ও ঝর্না ইলেকট্রনিক্স দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ সময় দোকান মালিক বাধা দিলে তাদেরকে বেদম মারপিট করে। এতে করে চার ভাই রিয়াজুল করিম (৪৫), রেজাউল করিম (৪০), আল মামুন (৩০), এনামুল হক (২২) গুরুত্বর আহত হয়। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য কালাম (৪০), শাহিন (৩২) ও মিন্টু (৫০) এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের মারপিটে প্রতিবেশীরাও আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রিয়াজুল করিম বাদি হয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ৯ জনকে আসামী করে সোনাতলা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। পুলিশ এ ঘটনায় আরিফুর ইসলাম পলাশকে গ্রেফতার করে গতকাল শনিবার জেল হাজতে প্রেরন করেছে।
সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, পলাশের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।