
সেবা ডেস্ক: চশমা ব্যবহারে বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১) সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি চীনের গবেষকদের চালানো এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
চীনের হুবেই প্রদেশের সুঝৌ জেংদু হাসপাতালের গবেষকরা জানান, যারা নিয়মিত চশমা পরেন তাদের চশমা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও সুরক্ষাকবচের কাজ করে।
চীনের জ্যামা অপথামোলজি এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষায় মোট ২৭৬ জন যোগ দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কতজন চশমা পরেন, দিনে কতক্ষণ তারা চশমা পরে থাকেন এবং কেন তারা চশমা পরেন, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়। দেখা যায় এদের মধ্যে ৩০ জন চশমা পরলেও কেবলমাত্র ১৬ জন দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় চশমা পরে থাকেন। দেখা গিয়েছে চীনের হুবেই জেলায় ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় চশমা পরে থাকেন। আর এই ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেশ কম। মাঝে মাঝে চশমা পরেন বা মোটেও চশমা পরেন না, এমন জনসংখ্যার মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার তুলনায় অনেকটাই বেশি।
মনে করা হচ্ছে, চোখে চশমা থাকলে মাঝে মাঝে চোখে হাত দেয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। সেই কারণে চোখের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনাও কমে। তবে এই সমীক্ষা মাত্র ২৭৬ জন মানুষের ওপর করায় এই কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফেস মাস্ক এবং ফেসশিল্ডের সঙ্গে পিপিই কিটের মধ্যে সুরক্ষা গগলস গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। করোনা রোগীর সংস্পর্শ যেতে হলে চোখে চশমা বা আইশিল্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি কভিড-১৯ ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে মার্কিন মেডিক্যাল জার্নাল বায়োআর্কাইভ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
বুধবার বায়োআর্কাইভ মেডিক্যাল জার্নালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের টিকা প্রাণীর দেহে সফলভাবে পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এখন প্রায় মানুষের দেহে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি।
তিনি জানান, তারা শিগগিরই প্রাক-ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলোর প্রতিবেদন সিআরও-এর কাছে জমা দেবে। এরপর বিএমআরসির কাছে হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করা হবে।
টিকা নিয়ে সংস্থাটির পরিকল্পনার বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, তারা ক্লিনিকাল ট্রায়ালটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার চিন্তা করছে। কারণ প্রতিটি পরীক্ষা শেষ করতে ২৮ দিন সময় লাগবে।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে এই ভ্যাকসিন ছাড়ার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন সময়োপযোগী ও সমান প্রাপ্তি নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে, বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন পাবে। এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সবার ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই সব দেশ যেন এই ভ্যাকসিন সময় মতো এবং একইসঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে দেশের পক্ষে ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আগের ধারণ করা এ ভাষণে শেখ হাসিনা দেশের ওষুধ শিল্পের অবকাঠামোগত সক্ষমতার বিষয়টির উল্লেখ করে বলেন, কারিগরি জ্ঞান ও মেধাস্বত্ব প্রদান করা হলে এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকদের মতে গবেষকরা মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলিতে ৪২টি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছেন এবং কমপক্ষে ৯৩টি প্রাক্কলিত ভ্যাকসিন প্রাণীতে সক্রিয় তদন্তাধীন রয়েছে। তবে উন্নত দেশগুলো টিকা গ্রহণকারীদের দ্রুত ইনোকুলেটগুলোর সহজলভ্যতার জন্য আদেশ দিচ্ছিল, যার ফলে মহামারি দীর্ঘায়িত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি নিরসনে আমাদের উদ্যোগ ও এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে প্রচেষ্টা সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ রিপোর্ট উপস্থাপন প্রমাণ করে যে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে চলেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রতিবছরের মতো এবারো বাংলায় ভাষণ দেন। কোভিড-১৯ এর কারণে জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম নিউইয়র্কের সদর দফতরে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অনুপস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা মহামারি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় সঠিক নেতৃত্বের নির্দেশনায় ‘সম্মিলিত ব্যবস্থা’ নেয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেমন জাতিসংঘ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল, তেমনি এই মহামারি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।
করোনাভাইরাস আমাদের অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কেউই সুরক্ষিত নই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। এর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদ্যমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো আরো প্রকট হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহামারি আমাদের উপলব্ধি করতে বাধ্য করেছে যে, এ সংকট উত্তরণে বহুপাক্ষিকতাবাদের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের ৭৫তম বছর পূর্তিতে জাতিসংঘ সনদে অন্তর্নিহিত বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে বহু প্রতিকূলতার মধ্যেও বহুপাক্ষিকতাবাদের আদর্শ সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
রোহিঙ্গা সমস্যা, জলবায়ু সংকট, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশা, সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে তার সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স পলিসি, এসডিজি অর্জনের পদক্ষেপগুলো, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, বহুপাক্ষিকতা এবং বিশ্ব শান্তি প্রচেষ্টার নানা দিক তার ১৭ মিনিটের ভাষণে তুলে আনেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আরো কার্যকর ভূমিকা নিতে শেখ হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরো কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এ নিয়ে ১৭তম বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশা প্রসঙ্গে বলেন, এ মহামারির কারণে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। অনেককে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রণোদনা বাবদ ৩৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি। তবে কোভিড-পরবর্তী সময়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে ও ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অভিবাসী গ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান।
অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা এবং সরকার প্রদত্ত নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে আমরা ৩১-দফা নির্দেশনা জারি করেছিলাম। করোনাভাইরাস যেন ব্যাপকহারে সংক্রামিত হতে না পারে, তার জন্য আমরা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছি। যার সুফল হিসেবে আমরা লক্ষ্য করছি, ঋতু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশে যেসব রোগের প্রাদুর্ভাব হয়, এবার সেসব রোগ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
আর্থিক খাতের আশু সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সরকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রফতানিমুখী শিল্প, শ্রমিকদের সুরক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদান, রফতানি বৃদ্ধিতে ঋণ প্রদান, কৃষি ও কৃষকদের সহায়তা, কর্মসৃজনের জন্য ঋণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ, পুনঃঅর্থায়ন স্কিম এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বীমা চালুকরণ খাত প্রণোদনার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা মোট ১৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা আমাদের মোট জিডিপি’র ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
সারাবিশ্বে খাদ্যাভাবের আশংকা থাকায় এ সম্পর্কে তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়টাতে আমরা খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। সেই সঙ্গে পুষ্টি নিশ্চয়তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের শিল্প কারখানা সচল রাখা এবং কৃষি ও শিল্পপণ্য যথাযথভাবে বাজারজাতকরণের বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। যার ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি এখনো তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল আছে।
সরকার প্রধান বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। আমরা ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছি। তিনি বলেন, করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হয়।
সরকারি সহায়তার পাশাপাশি তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে তহবিল সংগ্রহ করে এতিম ও গরীব শিক্ষার্থী, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, স্কুল শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ যারা সাধারণভাবে সরকারি সহায়তার আওতাভুক্ত নন, তাদের মধ্যে ২ দশমিক ৫ বিলিয়নের বেশি টাকা বিতরণ করেছেন। ফলে সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাস খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে স্থবিরতা সত্ত্বেও আমাদের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বিদ্যমান সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, করোনার এই সংকটময় সময়েও আমাদের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সিভিএফ ও ভি-টুয়েন্টি গ্রুপ অব মিনিস্টার্স অব ফিন্যান্সের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু সমস্যা উত্তরণে একটি টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নে নেতৃত্ব দেবে। এছাড়া গ্লাসগো কপ-এ গঠনমূলক ও কার্যকর ফলাফল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর আমরা ‘ওমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি’এজেন্ডার ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। এই এজেন্ডার অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে আমরা শান্তি ও নিরাপত্তায় নারীর ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করি। বাংলাদেশ এরইমধ্যে এ বিষয়ে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে ‘বেইজিং ঘোষণা’ এবং ‘প্ল্যাটফর্ম অব অ্যাকশন’ কার্যকরে বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ঘোষণার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনের সময় উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বাস্তবায়নে আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্প ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমরা লিঙ্গ বৈষম্য সামগ্রিকভাবে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ কমিয়ে এনেছি। আমাদের জাতীয় উন্নয়নের মূলে রয়েছে নারীদের অবদান। মহামারি মোকাবিলাসহ সব কার্যক্রমে বাংলাদেশের নারীরা সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বর্তমান সভাপতি হিসেবে আমরা শিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া কোভিড সংক্রান্ত সমস্যা যেন শিশুদের সামগ্রিক সমস্যায় পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এর উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মহামারিকালে অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের মতো বিষয়গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এ বিষয়গুলোর মোকাবিলা করতে পারি।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোয় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তি বজায় রাখতে আমাদের শান্তিরক্ষীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই শান্তিরক্ষীদের ‘সুরক্ষা’ ও ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যতম দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তির প্রতি অবিচল থেকে আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। মহামারির ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য।
পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী বিনির্মাণে বৈশ্বিক আকাঙক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অবিচল জানিয়ে তিনি বলেন, সে বিবেচনা থেকে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের কার্যক্রমকে আমরা জোর সমর্থন জানাই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও সে সময়ে দেশে সংঘটিত গণহত্যার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বাঙালি জাতি অবর্ণনীয় দুর্দশা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মত জঘন্য অপরাধের শিকার হয়েছে। সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছি।
‘বাংলাদেশকে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ব-দ্বীপে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ জন্য প্রযুক্তিগত বিভাজন নিরসন, সম্পদ আহরণ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল এবং সদ্য উত্তরিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই আপদকালীন, উত্তরণকাল ও উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বর্ধিত আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা প্রথম থেকেই ‘জীবন ও জীবিকা’ দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন যেন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমরা প্রতি বছর প্রায় ৩৯ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদের জন্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিসহ অন্যদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও ভাতার প্রচলন করেছি, যার মাধ্যমে প্রায় ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন পরিবার উপকৃত হচ্ছেন।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এই সাধারণ পরিষদে দাঁড়িয়ে প্রথম ভাষণই বাংলায় প্রদানেরও স্মৃতি রোমন্থন করেন।
তিনি বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। তারই দেখানো পথে হেঁটে আমরা আজ বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল আসনে নিয়ে আসতে পেরেছি। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে তার (বঙ্গবন্ধু) প্রদত্ত দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ বর্তমান সংকট মোকাবিলার জন্য আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে জাতির পিতার প্রদত্ত ভাষণের উদ্বৃতি দেন- ‘জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের জনগণের আদর্শ এবং এই আদর্শের জন্য তারা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এমন এক বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনে বাঙালি জাতি উৎসর্গকৃত, যে ব্যবস্থায় সব মানুষের শান্তি ও ন্যায়বিচার লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, তার এই দৃপ্ত ঘোষণা ছিল মূলত বহুপাক্ষিকতাবাদেরই বহিঃপ্রকাশ।
এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর তার (শেখ হাসিনা) ও ছোট বোন শেখ রেহানার প্রবাসে রিফ্যুজি জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়ার মর্মন্তুদ ইতিহাসও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সে সোনার বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত; যেখানে সবার মানবাধিকার নিশ্চিত হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে জাতি ও বিশ্বের কাছে এটিই আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: আসন্ন শীতকালে বাংলাদেশে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাক্কা এলে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে কর্মপরিকল্পনা করতে যাচ্ছে সরকার।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
করোনা সংক্রমণ আরেক দফায় বৃদ্ধির আশঙ্কায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও পুলিশের মহাপরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠক শেষে সভার সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্ত জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলো কীভাবে চালাবে সেই দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দেওয়া হয়েছে।
পিআইডি, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদগুলোকে ব্যবহার করে কোভিড-১৯ নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন পর্যন্ত কর্মচারী আছে, তারাও এ বিষয়ে কাজ করবেন। গণমাধ্যমেরও একটা বড় ভূমিকা আছে।
কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কা এলে ফের লকডাউন দেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা এখনও এটা চিন্তা করিনি।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা এখন কোলাবরেশন উইথ সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে, এয়ারপোর্টে এবং বিভিন্ন এন্ট্রিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজন থাকে।
তিনি বলেন, অনেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসে তারা কোভিড ফ্রি। যারা নিয়ে আসেননি তারা কতদিন সেখানে হোম কোয়ারেন্টিইনে ছিলেন সেই সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। যাদের এ রকম কোনো সার্টিফিকেট নেই, কোনো কিছু নেই এবং যাদের সন্দেহ হয়, তাদের আমরা ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাই।
ঢাকার দিয়াবাড়ি ও হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা আছে জানিয়ে পিএসও বলেন, করোনা যখন পিকে ছিল তখন সাড়ে তিন হাজারের মতো ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনের ক্যাপাসিটি ছিল। সেখানে পনেরশর উপরে উঠে নাই। এজন্য আমরা এটাকে (ধারণ ক্ষমতা) কমিয়ে দুই হাজারের মতো রেখেছি। এতে আমাদের সাশ্রয় হচ্ছে। যদি আবার রিভাইভ করে, সিচুয়েশন খারাপ হয়ে যায় তাহলে আমরা কোয়ারেন্টিন সুবিধা আবার সাড়ে তিন হাজারে নিয়ে যাব।
যারা কোভিড ফ্রি এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করে এসেছেন তাদের ‘কোয়ারেন্টিনে নেওয়া লাগে না’ বলেও জানান পিএসও মাহফুজুর রহমান।
সভায় সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অভিযান পরিচালনা ও গণসচেতনতা বাড়ানো, চিকিৎসাব্যবস্থা ঠিক করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সুবিধা বাড়ানোসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা আলোচনা হয়। আর এসব কাজের বিষয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো ভ্যাক্সিন পাওয়া গেলে তা বিশ্বব্যাপী দ্রুত এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বিতরণের লক্ষ্যে ‘ঐতিহাসিক’ একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ১৫৬টি দেশ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন উদ্ভাবনে গবেষণা, ভ্যাক্সিনের ক্রয় এবং তা সমভাবে বিতরণে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশীদারিত্ব নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে গঠিত কোভ্যাক্স কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বরাদ্দের এ পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান।
নতুন এ চুক্তি অনুযায়ী, ভ্যাক্সিন পাওয়া মাত্রই দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও সামাজিক বিভিন্ন সেবার সঙ্গে জড়িতদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৩ শতাংশের মধ্যে ওই ভ্যাক্সিন বিতরণ করা হবে।
প্রকল্পটির আওতায় ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বজুড়ে নিরাপদ ও কার্যকর ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের সরকার, ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক, বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের গবেষণা ও উন্নয়নে ১৪০ কোটি ডলার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভ্যাক্সিন পাওয়ার পর শুরুর দিকে একটি কার্যকর ভ্যাকসিনের সরবরাহ কম থাকতে পারে বিবেচনায় নিয়েই সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যার সুনির্দিষ্ট ৩ শতাংশের মধ্যে ভ্যাক্সিন পৌঁছে দেয়া হবে; প্রত্যেকটি দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাক্সিন সরবরাহের এ সংখ্যা ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
সোমবার জেনিভায় এক ব্রিফিংয়ে চুক্তিটির খবর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, কোভ্যাক্সই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওর প্রতিনিধিত্ব করছে; যেখানে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে তাদেরকেই, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প সব দেশের কিছু মানুষের ভ্যাক্সিন পাওয়া নিশ্চিত করবে, কিছু দেশের সব মানুষের নয়।’
চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ‘ভ্যাকসিন ন্যাশনালিজমের’ ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলার লক্ষ্যে এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কেবল ভ্যাকসিনই নয়, সব ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জামে সবার প্রবেশগম্যতা ও বরাদ্দ নিশ্চিতে গ্যাভি, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ইনোভেশনের (সেপি) নেতৃত্বে কোভ্যাক্স গড়ে উঠেছে।
উচ্চ আয়ের ৬৪টি দেশ এরই মধ্যে কোভ্যাক্সে যুক্ত হয়েছে; ৩৫টি দেশ ও ইউরোপিয়ান কমিশনের পক্ষ থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। সামনে আরো ৩৮ টি দেশ এই দলে যুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) এর দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা গত কয়েকদিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন চার হাজার ১৩৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ভারতে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৩১১ জন। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৫৬ জন। এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৪৯৩ জন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৬০ হাজার।
গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থাৎ ৪৫৫ জনের মৃত্যু দেখেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে মোট প্রাণহানি এক লাখ ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন ১৫ হাজার সংক্রমণে মোট আক্রান্ত ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে করোনার প্রকোপ কমছেই না।
একদিনে ৩৮৮ জনের মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এখনো করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে। সবমিলিয়ে দেশটিতে ভাইরাসজনিত কারণে দুই লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রাণ গেল। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে বেড়েছে শনাক্তের হার। মোট ৭০ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি সংক্রমিত।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। এই ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তারে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর (পিপিই) চাহিদা হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী হয়ে যায়। প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে সেই চাহিদা পূরণে বিশ্ববাজারে ভালোভাবেই নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫০ কোটি ১০ লাখ ডলারের পিপিই সামগ্রী রপ্তানি হয়েছে বিশ্বের ৭১টি দেশে। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এক বছরের হিসাবে পিপিই রপ্তানি দাঁড়ায় প্রায় ৫২ কোটি ডলার বা চার হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। তবে পিপিই রপ্তানিকে আপৎকালীন পণ্য হিসেবে উল্লেখ করে এই ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে চান না উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, করোনার কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলে পিপিই ব্যবসায় ধস নামতে পারে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ সূত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে জানা যায়, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৪২৫৮ কোটি টাকার পিপিই রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে পিপিই গাউন রপ্তানি হয়েছে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ডলারের। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬১টি দেশে পিপিই গাউন রপ্তানি হলেও সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে জার্মানিতে। এই দেশটিতে আট কোটি ৬২ লাখ ডলার বা ৭৩৩ কোটি টাকা সমপরিমাণের পিপিই গাউন রপ্তানি হয়েছে গত অর্থবছরে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ কোটি এবং বেলজিয়ামে রপ্তানি হয়েছে চার কোটি ১১ লাখ ডলারের গাউন। অন্যান্য চিকিৎসা সুরক্ষাসামগ্রী রপ্তানি হয়েছে ১০ কোটি ১২ লাখ ডলার। একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে গত এক বছরে ফেস কাভার, ওভেন ও সার্জিক্যাল মাস্ক রপ্তানি হয়েছে তিন কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এর মধ্যে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্কই শুধু রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ৬৭ লাখ ডলার বা ১৪২ কোটি টাকার। সার্জিক্যাল মাস্কের ৬৮ শতাংশ বা এক কোটি ১৪ লাখ ডলার রপ্তানি হয়েছে তুরস্কে। এ ছাড়া কানাডায় গিয়েছে ২০ লাখ ডলারের সার্জিক্যাল মাস্ক।
তবে পিপিই রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসের চিত্র খুবই আশাব্যঞ্জক। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এই পণ্যটি রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি সাড়ে ১২ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। জুলাই-আগস্ট মাসে পিপিই রপ্তানি যে গতিতে চলছে তাতে এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বছর শেষে গত অর্থবছরের দ্বিগুণ রপ্তানি হতে পারে এই খাত থেকে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী চাহিদা মেটাতে বর্তমানে পিপিই রপ্তানি করছে ৩৩টি দেশি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বৃহত্তম চালানটি শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্য রপ্তানিকারী বেক্সিমকো গ্রুপ করেছিল ইউএস ব্র্যান্ড হেনসকে। ওই এক চালানে ৬৫ লাখ পিস পিপিই গাউন রপ্তানি হয়।
এদিকে গত মার্চে দেশে করোনা বিস্তারের শুরুতেই যখন পিপিই গাউনের প্রচণ্ড সংকট, ঠিক সেই সময় ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছিল চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেড। সে সময় তারা তাত্ক্ষণিকভাবে সরকারকে প্রায় দুই লাখ পিপিই গাউন সরবরাহ করেছিল। এ ছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের জিবি ইন্টারন্যাশনাল, মুস্তফা গার্মেন্টস, হ্যারডস গার্মেন্টস পিপিই উত্পাদন করছে। মাস্ক রপ্তানি করছে ফোর এইচ গ্রুপ, ক্লিফটন গ্রুপ, এশিয়ান অ্যাপারেলের মতো বড় বড় গ্রুপ।
স্মার্ট জ্যাকেটের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “আমরা আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ‘উডব্রিজ’-এর জন্য পাঁচ বছর ধরে পিপিই তৈরি করে আসছি। মূলত নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে আসা পর্যটকরা এই পিপিই ব্যবহার করে থাকে। প্রতি মাসে তিন থেকে চার লাখ পিপিইর অর্ডার আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। এ ছাড়া অনেক বায়ার যোগাযোগ করছেন পিপিই গাউন তৈরির ব্যাপারে। কিন্তু আমরা রেগুলার বায়ারদের প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ করোনার কার্যকর ভ্যাকসিন চলে এলে সুরক্ষাসামগ্রীর চাহিদা কমে যেতে পারে।”
করোনায় মাস্কের তীব্র চাহিদার কথা মাথায় রেখে চীন থেকে সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরির অটোমেটিক মেশিন আমদানি করেছেন বিজিএমইএ পরিচালক ও ফ্যামিলিটেক্স গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেরাজ-ই-মোস্তফা। তবে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্কের কাঁচামাল সংকটের অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চীন সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরির মেশিন বিক্রি করলেও প্রয়োজনীয় কাঁচামাল দিচ্ছে না।’
পিপিই পণ্যের খুব বেশি ভবিষ্যৎ দেখছেন না ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি আবু তৈয়বও। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তারে আতঙ্কের কারণে আপৎকালীন পণ্য হিসেবে পিপিই সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করার মতো সময় এখনো আসেনি। মনে হয় না পিপিইর খুব বড় মার্কেটিং হবে। কারণ কোনো বায়ার দীর্ঘমেয়াদে অর্ডার দিতে চায় না।’
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাসংকটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের সরকার না থাকলে অন্য যে কোনো শক্তি মানুষকে সহায়তা না করে শুধু ‘ফায়দা লুটার’ উপায় খুঁজতো।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “মহামারীতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সরকার সহায়তা করেছে। আমার মনে হয় একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল বলে এইভাবে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছে এবং মানুষকে সহযোগিতা করেছে।
“অন্য কোনো দল হলে এটা মোটেই করতো না বরং তারা দেখতো যে কীভাবে এখান থেকে কিছু ফায়দা লুটতে পারে কিনা,এটাই। কিন্তু আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছি। এটা আমাদের নীতি, এটা আমাদের লক্ষ্য। এটা জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন। আমরা সেইভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস ছাড়াও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।কারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষকে সেবা করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
“রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা যদি অন্য দলগুলো দেখি তারা হয়ত শুধু ওই লিপ সার্ভিস..অর্থাৎ মুখে মুখে কথা বলেছে। কিন্তু প্রকৃত মানুষের কাছে গিয়ে মানুষকে সাহায্য করা সেটা কিন্তু আমরা অন্যদল বা অন্য সংস্থা.. অনেককেই আমরা দেখেছি তাদের উপস্থিতিটা ওভাবে দেখিনি। এবং ওই এনজিও-টেনজিও অনেকেই আছেন কিন্তু তাদেরকে কিন্তু আমরা ওভাবে দেখি নাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।
সভাপতিমণ্ডলীর সভা নিয়ে আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, “দীর্ঘদিন পরে আমাদের এই সভা। করোনাভাইরাসের পর থেকেই সারা বিশ্বব্যাপী একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শুধু আমাদের দেশ বলে না সারা পৃথিবীজুড়ে এই অবস্থার সৃষ্টি। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যে এই করোনাকে মোকাবেলা করে আমরা কীভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতির গতিটা অব্যাহত রাখতে পারি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের এক সময় প্রায় রপ্তানি থেমেই যাচ্ছিল। ইন্ডাস্ট্রিগুলো প্রায় বন্ধ ছিল। সীমিত আকারে আস্তে আস্তে ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো আবার চালু করেছি। সেই সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যটা যাতে সচল থাকে আর বিশেষ করে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া, শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। সেই ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনা আমাদের বাজেটের প্রায় চার শতাংশ আমরা এই প্রণোদনা দেই।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও সরকার ৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো বিশাল বাজেট দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এত বড় বিশাল বাজেট। এটা দেওয়া কিন্তু কম কথা না। কিন্তু আমার কথা ছিল..জানি না করোনার জন্য কতটুকু করতে পারব না পারব কিন্তু আমার কথা ছিল আমাদের প্রস্তুতিটা থাকতে হবে সম্পূর্ণভাবে। যদি অবস্থা ভালো হয় আমরা সবটুকু অর্জন করতে পারব। যদি না পারি তারপরও তখন সেটা আমরা আবার দেখব। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি। বাজেট আমরা ঘোষণা দিয়েছি দেশের জন্য।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের ফেরত আসতে হয়েছে জানিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এই প্রবাসীদের ফেলে দিতে পারেন না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেকের ধারণা ছিল আমাদের রেমিটেন্স কমে যাবে, রেমিটেন্স কিন্তু কমেনি। কারণ আমরা বিশেষ প্রনোদনা দিয়েছি ২ শতাংশ। তার ফলে রেমিটেন্স কিন্তু আমাদের বেড়েছে। এটা অনেকে ভাবতে পারেনি যে আমাদের রেমিটেন্স এত বাড়বে। রিজার্ভ এখন আমাদের ৩৯.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আমাদের রিজার্ভও কিন্তু ভালো রিজার্ভ আছে এটা আমি বলব। কাজেই সেদিক থেকে অর্থনীতি..আমরা মোটামুটি একটা ভালো অবস্থানে আছি। বাজেটের ডেফিসিট এবার আমরা ৬ শতাংশ ধরেছিলাম। এখানে আমার সিদ্ধান্ত ছিল দরকার হয় আমরা ১০ শতাংশ ধরব। কিন্তু সেটা আমাদের লাগেনি।”
দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথাও সভায় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার দেশের উন্নয়ন ও মানুষকে সুন্দর জীবন দিতে ডেল্টা প্লান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যেহেতু.. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই সংগঠনই এই দেশের স্বাধীনতা এনেছে। কাজেই আমরা যখন সরকারে আছি আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশটা শুধু বর্তমানেই না আগামী দিনের নতুন প্রজন্মের জন্য কীভাবে এই দেশটা এগিয়ে যাবে, কীভাবে চলবে সেটাই আমদের..এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখবো বা নির্দেশনা দিয়ে দেব।
“হ্যা, এটা ঠিক। এখন আমরা যেটা করছি সময়ের বিবর্তনে সেটা কিন্তু সংশোধন করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে, পরিশোধন করতে হবে। এটা করতে হবে- এটা নিয়ম। সেটা আমরা জানি। কিন্তু তারপরও একটা ফ্রেমওয়ার্ক, একটা ধারণাপত্র অথবা একটা দিক-নির্দেশনা সেটা যদি সামনে থাকে তাহলে যে কোনো কাজ খুব সহজে..যারাই আসুক ভবিষ্যতে তারাই করতে পারবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “কারণ আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। আমি তো..৭৪ বছর বয়স..কাজেই সেটাও মাথায় রাখতে হবে যে আর কত দিন। এরপরে যারা আসবে তারা যেন দিকহারা হয়ে না যায়। তারাও যেন একটা দিক নির্দেশনা থাকে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে..নাহ..আমাদের এখানে যেতে হবে।”
সভায় শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রাম ও পঁচাত্তরের ১৫ই অগাস্ট তাকে সপরিবারে হত্যার কথা তুলে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
সভায় করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারানো দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও সাহারা খাতুনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনাকালে বিশেষ প্রণোদনা দেয়ায় রেমিটেন্সের পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থানে আছে। এমনটি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সভায় তিনি এমন কথা বলেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সভা। দলীয় প্রধানের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন সভাপতিমণ্ডলির সদস্যরা যেখানে আলোচনা হয় চলমান করোনা পরিস্থিতিসহ সাংগঠনিক নানা বিষয় নিয়ে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্থা বড় বড় কথা বললেও করোনা সংকটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশ পরিচালনার রূপরেখা এখন থেকেই নেয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

সেবা ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন শীতে বাংলাদেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা দিতে পারে। সামনে শীতকাল, তাই এখন থেকেই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক পরিধান করতে হবে। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) প্রতিনিধি সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সংসদ ভবন এলাকার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্দুকের নল নয়, আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস দেশের জনগণ। আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে। মাটি ও মানুষের দল হিসেবে জনমানুষের বুকের গভীরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ঠাঁই করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ তাসের ঘর নয় যে, টোকা লাগলে পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের প্রতিটি দুর্যোগ ও সংকটে গত ৭০ বছর ধরে জনগণের পাশে থেকেছে আওয়ামী লীগ। তাই যারা মনে করেন আওয়ামী লীগের অবস্থান তাসের ঘরের মতো, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। প্রকৌশলীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রকৌশলীদের শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। নিজস্ব মেধা ও শ্রম দিয়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি যেকোনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয়ের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি একেএম হামিদ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ আইডিইবির ডিপেস্নামা প্রেকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যখন কোভিড সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছে। জীবন ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছেন। করোনার প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। \হবিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃতু্য ও আক্রান্তের হার এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। অনেক দেশে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে। তাই আমাদের এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সামান্য অবহেলা জীবনের চিরচেনা পথ থেকে আমাদের ছিটকে দিতে পারে।' এ জন্য মানুষকে সচেতন করা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দেশের আন্তর্জাতিক মানের আরও ২৩টি এবং মেয়েদের জন্য আরও ৪টি সরকারি পলিটেকনিক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'একইসঙ্গে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চশিক্ষার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন সরকারের লক্ষ্য।'
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন