সেবা ডেস্ক: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। তার অসুস্থতার খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুস্থতা কামনা করে অনেকেই পোস্ট করেছেন। বাদ যাননি ভারতের দক্ষিণী অভিনেত্রী নাগমাও। তার সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক নিয়ে একসময় উত্তাল ছিল ক্রিকেটাঙ্গন। এমনকি সৌরভ যখন ব্যাট করতেন, প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররা তাকে 'নাগমা' বলে স্লেজিংও করতেন!
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
শনিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সৌরভ। খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই নাগমা টুইটারে লেখেন, আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। অনেক প্রার্থনা রইল। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
২০০০ সালে দক্ষিণী অভিনেত্রী নাগমার সঙ্গে ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর সম্পর্কের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এর তিন বছর আগে (১৯৯৭ সাল) ডোনা রায়কে (পরবর্তীতে ডোনা গাঙ্গুলী) পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ। এমন মুহূর্তে প্রেমের গুঞ্জন উঠলেও নাগমা বা ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা সৌরভ কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। ফলে রহস্য আরো বেশি করে দানা বাঁধে।
অবশেষে গত বছর নীরবতা ভেঙেছিলেন নাগমা। একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে দুজনের ক্যারিয়ারের ক্ষতি হওয়ার অনেক সম্ভাবনা ছিল। তাই দুজনেরই কিছু ব্যাপার থেকে সরে আসার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: আবারও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে ভারতীয় বোর্ডের ডিরেক্টর হিসেবে মনোনিত হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। গতকাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
গাঙ্গুলীর বিকল্প ডিরেক্টর হিসেবে থাকবেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। আইসিসি’র চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন শাহ।
এছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়। আগামী বছর ভারতের মাটিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভেন্যু হিসেবে কলকাতা, মুাম্বই, আহমেদাবাদ, ধর্মশালা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, মোহালিকে বেছে নেয়া হয়েছে।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কর ছাড়ে অনুমতি নিতে হবে বিসিসিআইকে। নয়তো প্রতিযোগিতাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যেতে পারে।
তবে বিসিসিআই চাইলে এই করের টাকা দিতে পারে। করের পরিমান ১০ কোটি ডলারেরও বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার কর ছাড়তে অনুমতি না দিলে বোর্ডই এই অর্থ দিয়ে দেবে।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনামুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
তিনি জানান, মঙ্গলবার করোনা টেস্ট করানোর পর আজ(বুধবার) ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তবে ফের একবার ফুসফুসে সংক্রমণের পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি, যার ফলাফল হাতে পাবেন আগামীকাল।
গত ৯ নভেম্বর থেকে প্রচণ্ড জ্বর ভুগছেন হাবিবুল বাশার। পরে ১১ নভেম্বর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন হাবিবুল বাশার।
তবে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এ অধিনায়ক।
যার কারণে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: গত মাসে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ চলাকালীন সময়েই জানানো হয়েছিল সেই টুর্নামেন্ট শেষে পাঁচটি দল নিয়ে আরেকটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ নামে নতুন এই টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে প্রথম আসরের মহারণ।
ঢাকা ও রাজশাহী ছাড়া আরো তিনটি দল বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে অংশগ্রহণ করছে। এগুলো হলো ফরচুন বরিশাল, জেমকন খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। পাঁচ দলের এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর একদিন করে থাকবে বিরতি।
টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পুরো টুর্নামেন্ট সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তবে শুক্রবার দুটি ম্যাচই ৩০ মিনিট পরে শুরু হবে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে দুইবার করে লড়বে। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল যাবে পরের রাউন্ডে।
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ইলেক্টনিক্স ও অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক নামকরণ হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ স্পন্সরড বাই ওয়াল্টন’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হাই-ভোল্টেজ এই টুর্নামেন্টটির আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশও এই টুর্নামেন্টটি। গেল মার্চে করোনার কারনে দেশের ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবার পর দেশের ক্রিকেটকে পুনরায় শুরু করতেই বিসিবির এমন পরিকল্পনা। বিসিবি আশা করছে, বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে।
খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের নিরাপদ জোনে রাখার জন্য জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি দল এবং ৮০ জন ক্রিকেটারসহ প্রায় ৩০০ জন টুর্নামেন্টের শেষ অবধি জৈব-সুরক্ষা পরিবেশের মধ্যে থাকবেন। জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে এত বিপুল সংখ্যক লোককে পরিচালনা করা কঠিন কাজ, তবে বিসিবির লক্ষ্য, টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজন করে বিশ্বকে একটি বার্তা দেয়া।
এর আগে ৭০ জনকে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে রেখে ওয়ানডে ফরম্যাটে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন করেছিলো বিসিবি। সাফল্যের সঙ্গে ঐ টুর্নামেন্ট শেষও করেছিলো তারা।
বিসিবির মিডিয়া ও কমিউনিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘টি-২০ টুর্নামেন্টটি বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফলো-আপ টুর্নামেন্ট। যেহেতু সামনে আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। তাই এই টুর্নামেন্টটি পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে আমাদের সহায়তা করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশি দলগুলোকে জানাতে চাই, আমরা এখানে জৈব সুরক্ষা বলয় পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এই টুর্নামেন্ট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে সহায়ক হবে।’
এই টুর্নামেন্টটি বর্তমান পরিস্থিতিতে শীর্ষস্থানীয় এবং নতুন ক্রিকেটারদের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য বড় একটি প্লাটফর্ম।
তিনি বিশ্বাস করেন, আসন্ন টুর্নামেন্টটি একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটকেও উপকৃত করবে। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্যই আরো কিছু খেলোয়াড়কে খুঁজে পাবে, যারা জাতীয় দলে জায়গা পূরণ করার যোগ্য।
বিপিএলে বিদেশী খেলোয়াড়দের ছায়ায় থাকতে হয় স্থানীয় ক্রিকেটারদের। এতে স্পটলাইটে আসতে পারে না তারা। বেশিরভাগ সময় স্থানীয় খেলোয়াড়রা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হয়ে ব্যাটিং বা বোলিংয়ে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পায় না। এবার সবাই ভালো সুযোগ পাবে।
এ ব্যাপারে সুজন বলেন, প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই টুর্নামেন্টটি স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য একটি ভাল সুযোগ। খেলোয়াড়রা যেমন স্পটলাইটে যেতে সক্ষম হবে, একই সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটও এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে উপকৃত হবে। এছাড়া বিদেশী ক্রিকেটাররা না থাকায় বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবে তরুণ ক্রিকেটাররা।
তিনি আরো বলেন, তরুন ক্রিকেটারদের জন্য এটি খুবই ভালো সুযোগ। যখন বিপিএল শুরু হয়, বিদেশী খেলোয়াড়দের কারণে আমাদের তরুন বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিং করতে পারে না। ফলে ডেথ ওভারে আমরা ভালো বোলার খুঁজে বের করতে পারিনি। আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেতে পারি। অনেক তরুণ ক্রিকেটারকে এই আসরে নিজেদের বিসিবির সামনে প্রমাণ করতে হবে।
সুজন মনে করেন, তরুণ খেলোয়াড়দের উন্নতিতে প্রতিযোগিতাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি যোগ করেন, নিজেদের প্রমানের ভালো সুযোগ পেয়েছে তরুণ ক্রিকেটাররা। তারা চার ও পাঁচ নম্বরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যাট করবে এবং ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে। এটি তাদের দক্ষতার পরীক্ষা। এই টুর্নামেন্ট থেকে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারবে। তারা কিভাবে চাপকে নিতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
যে সকল প্রযুক্তি নিয়ে হবে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ
শুধু দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ বড় পরিসরে আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে থাকছে আধুনিক ক্রিকেটের প্রায় সকল প্রযুক্তির ছোঁয়া।
আম্পায়ারিং নিয়ে খেলোয়াড়দের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আম্পায়ারদের অনেক ছোট ভুলও অনেক সময় ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। সেই ভুল সংশোধনের জন্যই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএসের উৎপত্তি। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপেও থাকবে ডিআরএসের ব্যবহার।
শুধু ডিআরএসই নয়, আরো কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া থাকছে এই টুর্নামেন্টে। করোনার কারণে মাঠে দর্শকদের প্রবেশাধিকার না থাকায় সবাইকে টিভি পর্দায় খেলা উপভোগ করতে হবে। তাদের খেলা দেখা উপভোগ্য করে তুলবে ড্রোনের ব্যবহার।
অবশ্য ড্রোন থাকলেও স্পাইডার ক্যামেরার ব্যবহার থাকছে না। তবে উইকেটে ব্যবহার করা হবে এলইডি স্ট্যাম্প। ফলে বল উইকেটে আঘাত হানলেই জ্বলে উঠবে স্ট্যাম্পগুলো।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে রিয়েল ইমপ্যাক্ট প্রোডাকশনের দায়িত্ব পেয়েছে। অনেকটা বিপিএলের আদলে সর্বাধিক সংখ্যক ক্যমেরা দিয়ে সম্প্রচার কার্যক্রম চালাবে তারা। এসবের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ও স্কোরকার্ডেও নতুনত্ব আনতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। প্রতিটি ম্যাচ ডেতে দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আসরের সবগুলো ম্যাচই আয়োজিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ১৮ ডিসেম্বর।
কোন দলে কারা
প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকায় চারটি ক্যাটাগরিতে ছিলেন মোট ১৫৭ জন ক্রিকেটার। এ গ্রেডে আছেন ৫ জন, বি গ্রেডে ২১ জন, সি গ্রেডে ২৩ জন ও গ্রেডে ১০৮ জন করে ক্রিকেটার ছিলেন। এর মধ্য থেকে দল পেয়েছেন মোট ৮০ জন ক্রিকেটার।
প্রথম রাউন্ডের লটারিতে শুরুতেই খেলোয়াড় ডাকার সুযোগ পায় বেক্সিমকো ঢাকা। প্রথম সুযোগে মুশফিকুর রহিমকে দলে নিয়েছে তারা।
এরপরই দেশের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে দলে নেয় জেমকন খুলনা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও দলে টেনেছে তারা। এছাড়া মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীতে খেলবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তামিম ইকবালকে দলে টেনেছে ফরচুন বরিশাল। ড্রাফটের অন্যতম আকর্ষণ মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে নিয়েছে রাজশাহী।
একনজরে দেখে নিন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দলগুলোর চূড়ান্ত স্কোয়াড:
বেক্সিমকো ঢাকা: মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান রানা, মুক্তার আলি, আবু হায়দার রনি, শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রবি, পিনাক ঘোষ।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, ফজলে রাব্বি, রনি তালুকার, আনিসুল হক ঈমন, রেজাউর রহমান, রাকিবুল হাসান, জাকের আলি অনিক, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সানজামুল ইসলাম।
জেমকন খুলনা: সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল আমিন, এনামুল হক বিজয়, শামিম পাটুয়ারি, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হম, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, সালমান হোসেন, জহুরুল ইসলাম অমি।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদি হাসান।
ফরচুন বরিশাল: তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহি, তৌহিদ হৃদয়, তানভির ইসলাম, সুমন খান, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ঈমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু সায়েম, সোহরাওয়ার্দী শুভ।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ চলাকালীন সময়েই জানানো হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট শেষে পাঁচটি দল নিয়ে আরেকটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামে বতুন এই লিগের সূচি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের সূচি প্রকাশ করে বিসিবি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ নভেম্বর শুরু হবে পাঁচ দলের এই প্রতিযোগিতা। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর একদিন করে থাকবে বিরতি।
দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তবে শুক্রবার দুটি ম্যাচই ৩০ মিনিট পরে শুরু হবে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে দুইবার করে লড়বে। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল যাবে পরের রাউন্ডে।
১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ফাইনালের মহারণ। সেই ম্যাচ শেষেই জানা যাবে কারা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের চ্যাম্পিয়ন। তার আগে একনজরে দেখে নিন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি:
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের সূচি প্রকাশ করে বিসিবি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ নভেম্বর শুরু হবে পাঁচ দলের এই প্রতিযোগিতা। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর একদিন করে থাকবে বিরতি।
দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তবে শুক্রবার দুটি ম্যাচই ৩০ মিনিট পরে শুরু হবে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে দুইবার করে লড়বে। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল যাবে পরের রাউন্ডে।
১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ফাইনালের মহারণ। সেই ম্যাচ শেষেই জানা যাবে কারা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের চ্যাম্পিয়ন। তার আগে একনজরে দেখে নিন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি:
তারিখ | প্রথম ম্যাচ | দ্বিতীয় ম্যাচ |
২৪ নভেম্বর | বেক্সিমকো ঢাকা-মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী | ফরচুন বরিশাল-জেমকন খুলনা |
২৬ নভেম্বর | জেমকন খুলনা-মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী | গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম-বেক্সিমকো ঢাকা |
২৮ নভেম্বর | জেমকন খুলনা-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম | মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী-ফরচুন বরিশাল |
৩০ নভেম্বর | ফরচুন বরিশাল-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম | বেক্সিমকো ঢাকা-জেমকন খুলনা |
২ ডিসেম্বর | ফরচুন বরিশাল-বেক্সিমকো ঢাকা | মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম |
৪ ডিসেম্বর | ফরচুন বরিশাল-জেমকন খুলনা | বেক্সিমকো ঢাকা-মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী |
৬ ডিসেম্বর | বেক্সিমকো ঢাকা-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম | জেমকন খুলনা-মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী |
৮ ডিসেম্বর | মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী-ফরচুন বরিশাল | জেমকন খুলনা-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম |
১০ ডিসেম্বর | বেক্সিমকো ঢাকা-জেমকন খুলনা | ফরচুন বরিশাল-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম |
১২ ডিসেম্বর | গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম-মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী | ফরচুন বরিশাল-বেক্সিমকো ঢাকা |
১৪ ডিসেম্বর | এলিমিনেটর | কোয়ালিফায়ার-১ |
১৫ ডিসেম্বর | ------------- | কোয়ালিফায়ার-২ |
১৮ ডিসেম্বর | ------------- | ফাইনাল |
.
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে অংশ নেয়া পাঁচটি দলের ক্রিকেটার-কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের করোনা পরীক্ষা আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল শনিবার থেকে হোটেলে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে প্রবেশ করবেন সবাই। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
করোনা পরীক্ষায় যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তারাই জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে প্রবেশ করবে। আর রিপোর্টে যাদের পজিটিভ আসবে, তাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনে রাখা হবে।
বিসিবি এরই মধ্যে খেলোয়াড় ও ম্যাচের কর্মকর্তাদের জন্য তিনটি ক্যাটাগরি তৈরি করেছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তারা আছে। ‘বি’ ক্যাটগরিতে থাকছেন ব্রডকাস্টার ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে গ্রাউন্ডসম্যানরা।
বিসিবি তিনটি জায়গায় জৈব-সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে। হোটেল, স্টেডিয়াম ও মিরপুরের ক্রীড়া পল্লীতে খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-সম্প্রচারক-গ্রাউন্ডসম্যান এবং অন্যান্যরা থাকবেন।
টুর্নামেন্ট চলাকালীন একাডেমী ভবনের নিচতলা আইসোলেশন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হবে।
বৃহস্পতিবার বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘ক্রিকেটাররা ২১ শে নভেম্বর থেকে হোটেলে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে প্রবেশ করবে। তাই ২০ নভেম্বর আমরা করোনার পরীক্ষা করবো’।
তিনি আরো বলেন, একাডেমি ভবনের নীচ তলা আইসোলেশন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে। দ্বিতীয় তলাটি অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে।
খেলোয়াড়রা হোটেল সোনারগাঁওয়ে থাকবেন এবং ব্রডকাস্টাররা থাকবেন লেকশোর হোটেলে এবং গ্রাউন্ডসম্যান এবং ক্লিনাররা ক্রীড়া পল্লীতে বা যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপটি কোভিড-১৯এর মধ্যে দলকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাঙ্গা করতে বিসিবি’র উদ্যোগেরও একটি অংশ।
এর আগে তিন দলকে নিয়ে সফলভাবে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন করেছে বিসিবি। এখন বঙ্গবন্ধু কাপটি আরো বড় আকারে অনুষ্ঠিত হবে। তবে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরিচালনা করা আরো কঠিন হবে।
তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বিসিবি যে দক্ষ, সেটি স্পষ্ট বার্তা দিতেই, এমন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করতে চায় দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে নারী ক্রিকেট। সব কিছু ঠিক থাকলে কমনওয়েলথ গেমসের ২০২২ সালের আসর থেকে এই ইভেন্ট যুক্ত হবে। তবে দলের সংখ্যা থাকছে কম। মাত্র আটটি দল এই ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ)। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ছয়টি দল গেমসে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। ইংল্যান্ড র্যাংকিংয়ের সেরা ছয়ের মধ্যে থাকলে সাত নম্বরে থাকা দল সরাসরি অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে।
র্যাংকিংয়ের ৭ নম্বর দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ বর্তমানে ইংল্যান্ড নারী দল আছে র্যাংকিংয়ের দুই নম্বর স্থানে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যাংকিংয়ের অবস্থান ২০২১ সালের ১ এপ্রিল নির্ধারণ করা হবে। এর মাঝে ইংল্যান্ডের খুব বেশি অবনমনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ইভেন্টের অষ্টম দল নির্বাচন হবে বাছাই পর্বের মাধ্যমে। এখনো বাছাই পর্বের জন্য চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি। তবে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারির মাঝেই বাছাই পর্ব শেষ করা হবে বলা জানানো হয়েছে।
বর্তমানে র্যাংকিংয়ের নয় নম্বরে আছে বাংলাদেশ। ফলে সালমা-জাহানারাদের কমনওয়েলথে অংশ নিতে চাইলে হয়তো বাছাই পর্বের দিকেই চেয়ে থাকতে হবে।
কমনওয়েলথ গেমসে নারী ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সোহনি বলেছেন, ‘নারী ক্রিকেটকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দিতে কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য দারুণ এক সুযোগ।’
কমনওয়েলথ গেমসে এর আগে একবারই ক্রিকেট দেখা গেছে। ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষ ক্রিকেট ইভেন্ট ছিল। অলিম্পিকসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি দীর্ঘদিনের দাবি। কমওয়েলথে নারী ক্রিকেট যুক্ত হওয়ায় সেই পথ আরেকটু প্রশস্ত হলো।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: বিভিন্ন সময় মতের অমিল বা অপছন্দের কারণে অনেক তারকাদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন বিপথগামীরা। তবে এতদিন দেশের কোনো ক্রিকেটারকে কেউ এমন কিছু বলার সাহস পাননি। এবার বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ফেসবুক লাইভে এসে দা উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে এক যুবক।
রোববার রাত ১২টা ৭ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে সাকিবকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সিলেট সদর উপজেলার শাহপুর তালুকদার পাড়ার আজাদ বক্স তালুকদারের ছেলে মহসিন তালুকদার।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট Mohsin Talukdar থেকে লাইভ ভিডিওটি প্রচার করেন বিপথগামী এই যুবক। সাকিবের ওপর ক্ষোভ থেকে তাকে কুপিয়ে টুকরো করে হত্যার কথা বলেন তিনি। এ সময় সাকিবকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন তিনি।
এ ভিডিওতে নিজের পরিচয় প্রকাশ করে মহসিন বলেন, সাকিবকে হত্যা করতে প্রয়োজনে তিনি হেঁটেই ঢাকা যাবেন। একইদিন ভোর ৬টা ৪ মিনিটে আবারো লাইভে হাজির হন। সেখানে সাকিব আল হাসানকে দুঃখ প্রকাশ করে জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান এ যুবক।
এ সময় মহসিন বলেন, কারো চাপে তিনি এ ভিডিওটি নির্মাণ করছেন না। সাকিবকে একটা সুযোগ দেয়ার জন্য এবং তার মতো বাকি সব তারকাদের সঠিক পথে চলার বার্তা দিতেই ফের লাইভ করছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেসবুক থেকে ভিডিও দুটি সরানো হয়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। তবে সাকিব আল হাসানকে এভাবে প্রকাশ্যে হুমকি অবশ্যই নিন্দনীয় বিষয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। সাইবার ফরেনসিকের কাছে ভিডিও লিংকটি হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধান শুরু করেছি। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান কে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কলকাতায় কালীপূজা উদ্বোধন করার ঘটনা। অবশেষে বিষয়টি খোলাসা করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন সাকিব। সেখানে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি খুব সেনসিটিভ। প্রথমেই যা বলবো আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান মনে করি। ভুলত্রুটি হবেই। ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা চলাচল করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা করবেন। আপনাদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে অবশ্যই আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এরপর তিনি বলেন, এখন আসি পূজার বিষয়টি নিয়ে। মিডিয়াসহ সব জায়গায় এসেছে আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তা করতে আমি যাইনি, কখনো করিওনি। ওখানকার ইনভাইটেশন কার্ড দেখলেই আপনারা বুঝবেন কে পূজা উদ্বোধন করেছেন। আর সেটা হয়েছে আমি যাওয়ার আগেই।
টাইগার অলরাউন্ডার যোগ করেন, যেখানে আমার মূল প্রোগ্রাম হয়েছে সেটা অবশ্যই পূজা মন্ডপ ছিলো না। পাশে আরেকটি স্টেজ ছিল সেখানে পুরো অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে পূজা মন্ডপ ক্রস করার সময় পরেশ দা, যিনি আমাকে ইনভাইট করেছিলেন তার অনুরোধে প্রদীপ প্রজ্বলন করি। যেহেতু কলকাতায় আমি অনেকদিন খেলেছি, ওখানকার মানুষরা আমায় অনেক পছন্দ করে, সবার উৎসাহের কারণে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হয়।
সাকিব আরো বলেন, আমার যেখানে প্রোগ্রাম ছিল সেখানে পূজার কোনো অনুষ্ঠানই হয়নি। যেটা হয়েছে, দুই মিনিটের যে সময়ে আমি পূজা মন্ডপে ছিলাম সেটাতেই সবাই ধরে নিয়েছে আমি পূজার উদ্বোধন করেছি। কিন্তু এটা আমি কখনোই করিনি। এছাড়া একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে আমি করবো না। ওখানে আমার যাওয়াটাই আসলে ঠিক হয়নি।
আশা করি সবাই বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আগামীতে এমন কোনো ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবো।
এরপর আসলে কে পূজা মন্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন সেটি জানিয়ে সাকিব বলেন, পূজার উদ্বোধক ছিলেন ফিরহাদ হাকীম। তিনি কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন মন্ত্রী। আমি আসার আগেই তিনি পূজার উদ্বোধন করেছেন।
আমি আমার ধর্মকে ছোট করে অন্য ধর্মকে বড় করবো এমন কোনো ইচ্ছে আমার নেই। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। আমার জ্ঞান যদিও কম, আমি চেষ্টা করছি, ভবিষ্যতেও চেষ্টা করবো ইসলাম সম্পর্কে যতটা জ্ঞান নেয়া যায়। দোয়া করবেন আমি যেন নিয়ম মেনে চলতে পারি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতে যান সাকিব। সেখানে কাজ শেষে শুক্রবার দুপুরে দেশে ফেরেন টাইগার অলরাউন্ডার।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: দীর্ঘ এক বছর ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলার টাইগার সাকিব আল হাসান। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সব ক্রিকেটারের বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। আর এ বিপ টেস্টেই চমক দেখালেন সাকিব।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
বুধবার মিরপুরে বিপ টেস্ট দিয়েছেন সাকিব। তার স্কোর ১৩.৭। বিপ টেস্টে বিসিবির বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন স্কোর ১১। সাকিবের চেয়ে এখন পর্যন্ত কেউ বেশি স্কোর করতে পারেননি। ১৩.৬ স্কোর নিয়ে সাকিবের নিচে আছেন কুমিল্লার পেসার মেহেদী হাসান।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের জন্য ড্রাফটে নাম তুলতে হলে ফিটনেস পরীক্ষায় সবাইকে পাস করতে হবে। যেহেতু সাকিব দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তাই অনেকেই তার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই পরীক্ষায় সাকিব উতরে গেছেন ভালোভাবে। অর্থাৎ, এই টুর্নামেন্টে খেলতে সাকিবের আর বাধা রইল না।
সোমবার থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে ফিটনেস টেস্ট। ওইদিনই সাকিবের বিপ টেস্ট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণে তিনি ওইদিন দেননি। সোমবার ঠিক ৩৭৫ দিন পর সাকিব মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন।
তিন দফা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবহিত না করায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে নিষিদ্ধ হন সাকিব। এরপরই তিনি মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট ছেড়েছিলেন।
গত মার্চে করোনার শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে গিয়েছিলেন সাকিব। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময় কাটিয়ে দেশে ফেরেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই পুরোনো গুরু নাজমুল আবেদীন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেন এক মাস। সাকিব প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রীলংকায় টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে। শ্রীলংকা সিরিজ না হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবার চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবর মাসটা সেখানে কাটিয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন।
কয়েকদিন পরেই মাঠে গড়াবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে খেলবে মোট পাঁচটি দল।
শেয়ার করুন
সেবা ডেস্ক: এক বছরের জন্য সবরকম ক্রিকেট থেকে তাঁকে নির্বাসন দিয়েছিল আইসিসি। যদিও সেই নির্বাসনের পরই করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফলে বেশ কয়েক মাস সব দেশেই ক্রিকেট বন্ধ ছিল। তবে এবার শাকিব আল হাসানের নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। যদিও নির্বাসনের এই সময়ে শাকিবের জীবনে অনেক কিছুই ঘটেছে। তিনি দ্বিতীয়বার বাবা হয়েছেন করোনার এই দুঃসময়ে একাধিকবার তিনি দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে আর্থিক সাহায্য করেছেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
করোনা মহামারীর সময় যোগাযোগের সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তারকারা তাঁদের ভক্তদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এমনিতেও যোগাযোগ রক্ষা করেন। লকডাউনে এই যোগাযোগ অন্য মাত্রা পেয়েছে। বহু তারকাই তাঁদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের একাধিক খবর মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এই যেমন বিরাট কোহলি বাবা হওয়ার সুখবর দিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এবার তাই শাকিব আল হাসান এমন একটি ছবি শেয়ার করলেন যা দেখে নেটিজেনরা অবাক। প্রশ্ন উঠল তাহলে কি ক্রিকেট ছেড়ে দিলেন শাকিব!
তিনি কি এবার চাল-ডালের আড়তদার হলেন! গায়ে সাদা পাঞ্জাবি, হাতের আঙ্গুলে বেশ কিছু আংটি, মুখে একগাল হাসি নিয়ে কাগজে লেখালেখি করছেন। দেখে মনে হবে একেবার পাকা দোকানি। তাঁর চারপাশে রাখা চাল, ডাল, মশলাপাতির বস্তা। এমনই একটি ছবি শেয়ার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান।
আর কিছুদিনের মধ্যেই ২২ গজে ফিরবেন সাকিব। তবে তার আগে দিলেন এই বড়সড় চমক। সাকিব নিজে এই ব্যাপারে কিছু না বললেও জানা যাচ্ছে একটি বিজ্ঞাপনী শুটের জন্যই তাঁর এই নতুন লুক।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন