সেবা ডেস্ক:
- বল-টেম্পোরিং ঘটনায় শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল আইসিসির
আচরণবিধির ২.২.৯ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছে আইসিসি। এক ট্যুইটের
মাধ্যমে এমনই জানিয়েছে আইসিসি। তবে এর জন্য শ্রীলঙ্কার অধিনায়ককে কী শাস্তি
দেওয়া হবে, সেটা জানানো হয়নি।
গতকাল সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে বল-টেম্পোরিংয়ের অভিযোগ আনেন দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। এরফলে তৃতীয় দিন সকালে মাঠে নামতে অস্বীকার করে শ্রীলঙ্কা দল। অনেক টালবাহানার পর দু’ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেনাল্টি হিসেবে পাঁচ রান দেওয়া হয়। এরপর চান্ডিমালকেও শাস্তি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট অবশ্য খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছে, তারপর সবাই অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। বলের আকার হয়তো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে আম্পায়াররা বল বদল করার কথা বলেন। এটি ভালভাবে নেননি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।
গতকাল সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে বল-টেম্পোরিংয়ের অভিযোগ আনেন দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। এরফলে তৃতীয় দিন সকালে মাঠে নামতে অস্বীকার করে শ্রীলঙ্কা দল। অনেক টালবাহানার পর দু’ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেনাল্টি হিসেবে পাঁচ রান দেওয়া হয়। এরপর চান্ডিমালকেও শাস্তি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট অবশ্য খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছে, তারপর সবাই অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। বলের আকার হয়তো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে আম্পায়াররা বল বদল করার কথা বলেন। এটি ভালভাবে নেননি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার হিজলামারী সীমানেত্মর কালাই নদী দিয়ে গরম্ন আনার সময় ব্রীজের উপর থেকে বিএসএফ’র ছোড়া পাথরের আঘাতে এক বাংলাদেশী গরম্ন ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছে।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে বাংলাদেশী কয়েকজন গরম্ন ব্যবসায়ী আনর্ত্মজাতিক সীমানা পিলার ১০৬৬ এর নিকট কালাই নদীতে একটি ব্রীজের নীচ দিয়ে গরম্ন আনতে যায়।
এসময় ভারতের মাইনকারচর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লড়্গ্য করে কালাইয়ের চর ব্রীজের উপর থেকে পাথর ছুড়ে মারে। এতে বাংলাদেশী গরম্ন ব্যবসায়ী নুর হোসেন (২৫) আঘাত প্রাপ্ত হয়ে নদীর পানিতে নিখোঁজ হয়। তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ গরম্ন ব্যবসায়ী রৌমারী উপজেলার বারবান্দা গ্রামের মৃত মুন্ন মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
৩৫ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল আতিকুর রহমান জানান, গরম্ন চোরাকারবারীরা হিজলামারী সীমানেত্মর কালাই নদী দিয়ে গরম্ন আনতে গেলে বিএসএফ’র পাথরের আঘাতে নুর হোসেন নামে একজন নিখোঁজ হয়। আমরা নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজার চেষ্টা করছি। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র নিকট এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার অপর আসামি অহেদ আলী সানার স্ত্রীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অহেদ আলীর ছেলে খয়বার আলী সানা (২৭) এবং হেলাল সানা (৩২), আসলাম সানা (২৭) ও অহেদুল গাজী (২৮)। রায় ঘোষণাকালে আসামি খয়বার ও হেলাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ মে সন্ধ্যায় খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদী বাজারে মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর অহেদ আলী সানা রাতে বাড়িতে ফেরেননি। পরে ২৭ মে সকালে কপোতাক্ষ নদ থেকে জেলেরা তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর নিহত অহেদ আলী সানার ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এতে তার অন্য ভাইদের সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় অহেদ আলী সানার বড় ছেলে ওসমান আলী সানা ভাই খয়বার ও মাসহ পাঁচজনের নামে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

জন্মস্থানের টান তো ভিন্ন। খালিশপুরেই তার বেড়ে ওঠা। সেখানে বাড়তি ভালোবাসা তো পাবেনই। মিরাজকে বরণ করতে তারা সব ধরনের প্রস্তুতিও গ্রহণ করে।
খুলনায় পৌঁছানোর আগেই কয়েকটি গাড়ি, পিকআপ ভ্যান, বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল আর হাজারো মানুষ এসে জড়ো হন নগরীর নতুন রাস্তার মোড়ে। গাড়িতে মাইক লাগিয়ে তখন বাংলাদেশের উদ্দীপনার গান বাজছিল। কিছুক্ষণ পরপরই পটকার আওয়াজ, আর সঙ্গে ‘মিরাজ’ ‘মিরাজ’ স্লোগান।
মুহূর্তেই তাকে নিয়ে শুরু হয় মাতামাতি। কয়েকজন মিরাজকে কাঁধে তুলে পথ চলতে শুরু করেন। তাকে কাছ থেকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন। কেউ কেউ একবার ছুঁয়ে দেখারও চেষ্টা করেন।
এ সময় আসেন মিরাজের প্রথম কোচ আল মাহমুদ। কোচকে জড়িয়ে ধরেন অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। সঙ্গে ছিলেন মিরাজের বাবা জালাল আহমেদ। এতদিন পর মিরাজকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত তার বাবাও। জড়িয়ে ধরেন ছেলেকে। ছিলেন স্থানীয় আরেক ক্রীড়া সংগঠক মো. ইউসুফ আলী। তিনিও মিরাজকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এরপর একটি খোলা মাইক্রোবাসে ওঠানো হয় মিরাজকে। মাইক্রোবাসে উঠে হাত নেড়ে আশপাশের সবাইকে ভালোবাসার জবাব দেন তিনি। চারটি মাইক্রোবাস, পাঁচটি পিকআপ ভ্যান, আর মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা মিরাজকে নিয়ে নগরীর নতুন রাস্তার মোড় থেকে জোড়া গেট হয়ে খালিশপুরে তার বাড়ির কাছে কাশিপুরে পৌঁছায়। সেখানেও অপেক্ষা করছিলেন শতশত মানুষ। তারাও মিরাজকে ভালোবাসায় সিক্ত করেন।
এর পরেই বাসায় আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাসায় ফিরলে সেখানেও এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বুধবার বিকালে ফুলতলা উপজেলার দামোদর কারিকরপাড়া বায়তুর রহমত জামে মসজিদের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ইব্রাহিম দামোদর গ্রামের ইসমাইল বিশ্বাসের ছেলে এবং পেশায় একজন মিল শ্রমিক ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার বিকালে এলাকার কয়েকজন তরুণ ফুলতলা উপজেলার দামোদর কারিকরপাড়া বায়তুর রহমত জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। হঠাৎ করে বলটি মসজিদের সেফটি ট্যাঙ্কের পাশে গিয়ে পড়ে। তারা বলটি আনতে গিয়ে সেফটি ট্যাঙ্কের মুখে প্যান্ট দেখতে পায়। প্রথমে বিষয়টি তারা এলাকাবাসীকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করে। নিহত ইব্রাহিমের মা আবেদা বেগম প্যান্ড ও পায়ের স্যান্ডেল দেখে তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
ইব্রাহিমের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বিশ্বাস (১৮) জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার ভাই বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
ফুলতলা থানার এসআই উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, ইব্রাহিম পেশায় মিল শ্রমিক হলেও সে ছিল ক্রসফায়ারে নিহত মনিরুল বাহিনীর সক্রিয় ক্যাডার। মনিরুল নিহত হওয়ার পর বাহিনীর ক্যাডাররা চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে তাকে খুন করে তার লাশ গুমের জন্য সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর ফেলে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা বিভাগে অবৈধ অস্ত্রধারী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, বোমা প্রস্তুতকারক ও পলাতক দাগী আসামিদের গ্রেফতারে অচিরেই অভিযান শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে দিয়েছে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের বিশেষ শাখা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশের মত খুলনা বিভাগের ২৯টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ ও নির্বাচন পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্যই এ অভিযান পরিচালিত হবে। খুলনা রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন হলেও এখনো বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রীতি অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগে অর্থাত্ আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত থেকে জমা নেয়া হতে পারে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। আর অস্ত্র জমা না নেয়া হলেও এর ব্যবহারে থাকছে কঠোর বিধি-নিষেধ।
সূত্র আরো জানায়, পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সন্ত্রাসী তালিকা করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবারও প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে। প্রশাসনের কাছে পূর্বে অস্ত্র জমা দেয়া ব্যক্তিদের কাছেও রয়েছে অবৈধ অস্ত্র। জামিনে থাকা বা পলাতক দাগী আসামিরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধীরা বর্তমানে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলা, খুলনা মহানগরীর আটটি থানা এলাকা এবং জেলার নয়টি থানা পর্যায়ে অস্ত্রধারী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, বোমা প্রস্তুতকারক ও পলাতক আসামিদের চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
রেঞ্জের তালিকা অনুযায়ী খুলনা বিভাগের দশ জেলায় মোট সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি ২ হাজার ৭৫৪ জন। এরমধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২২২ জন ও জেলায় ৬২৩ জন, বাগেরহাটে ৩৬৩ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ২২৫ জন, যশোর জেলায় ২৮৪ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৩৪ জন, মাগুরা জেলায় ৯২ জন, নড়াইল জেলায় ৭১ জন, কুষ্টিয়া জেলায় ১৭২ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২১০ জন এবং মেহেরপুর জেলায় ৫৮ জন সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি রয়েছে বলে রেঞ্জ পুলিশের সূত্রে জানা গেছে। তবে হালনাগাদে এ তালিকা কম-বেশি হতে পারে। অভিযানের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি পুলিশ। ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পদস্থ একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দু’-একদিনের মধ্যেই অভিযান শুরু হবে। প্রস্তুতকৃত তালিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুলনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাছাড়া চালনা ও পাইকগাছা পৌরসভার সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আমরাও তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, পৌর নির্বাচনে যাতে সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান বলেন, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। কালো টাকা ও পেশীশক্তি প্রতিরোধে পুলিশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। সূত্রঃ ইত্তেফাক

খুলনার ফুলতলা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আকবার আলী মোড়লকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার একটি স্কুল মাঠ থেকে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত.ম. রোকনুজ্জামান জানান, ফুলতলায় নাশকতার পরিকল্পনা চলছে- এমন খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী ও এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার রি-ইউনিয়ন স্কুল মাঠে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠককারীরা পর পর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আকবার আলী মোড়লকে গ্রেফতার করে।
এ সময় বৈঠকস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ১০ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান ফুলতলা থানায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত আকবার আলী উপজেলার যুগ্নিপাশা গ্রামের আক্কাস আলী মোড়লের পুত্র। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনায় গত আড়াই মাসে ১৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত রবিবার রাতে নগরীর নিউমার্কেট টেক্সটাইল মিল এলাকায় চারতলা একটি বাড়িতে ঢুকে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বিধবা নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এভাবে হঠাত্ করে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনের দাবি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশাসনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
গত রবিবার নিহত শেফালী রাণী বাড়িতে একা রান্নাঘরে ছিলেন। তিনি দুর্বৃৃত্তদের দেখে চিত্কার শুরু করলে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় স্থানীয়রা সজল বণিক নামে এক ঘাতককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশের ধারণা ডাকাতি করতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
গত ২৯ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে নগরীর দৌলতপুরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি দলের ক্যাডার শহীদুল ইসলাম ওরফে হজি শহীদ। ওই দিন বিকাল চারটায় শহীদ নিজের প্রাইভেটকারে করে নগরীর পাবলার বাড়িতে ফিরছিলেন। প্রাইভেটকারটি দৌলতপুর ইসলামী ব্যাংকের কাছে পৌঁছলে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন সশস্ত্র যুবক এসে উপর্যপুরি গুলি করে তাকে হত্যা করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে খুলনার আন্ডারওয়ার্ল্ড উত্তপ্ত হয়ে আছে। পুলিশ ধারণা করছে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসাবে আরো হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
গত ৪ অক্টোবর দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে রাবেয়া নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ ও গলাকেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিবেশী যুবক রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নগরীর বয়রা এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত শেখ ইলিয়াস হোসেন (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা চিকিত্সাধীন অবস্থায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান। এর কয়েকদিন আগে তিনি নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন।
২১ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আব্দুল জলিল নামে এক নৈশ প্রহরীকে দুই নির্মাণ শ্রমিক শাবল দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলা থেকে দুই ঘাতককে আটক করে পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রূপসা উপজেলার রহিমনগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ফারুক হোসেন মোল্লা নামে এক কর্মকর্তা নিহত হন।
১৯ সেপ্টেম্বর নগরীর লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকায় দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধ পিতা ইলিয়াস চৌধুরী ও তার মেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যার আগে দুর্বৃত্তরা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণ করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার ভাণ্ডারপাড়া ইউনিয়নের মইখালী বিলের একটি মত্স্য ঘের থেকে নান্টু শেখ নামে এক ঘের মালিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। এর আগের দিন ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর দৌলতপুরের দেয়ানা মোল্লাপাড়ায় তরিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। এছাড়া গত ৩১ আগস্ট ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে গৃহবধূ রেশমা ও তার শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরের দিন নিহত গৃহবধূ রেশমার স্বামী মাহবুব ডুমুরিয়া থানায় হাজির হয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।
এদিকে, গত ২৬ অক্টোবর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জানানো হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে খুলনা জেলায় ১০টি খুন ও চারটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বলা হয়, খুলনা নগরীর ৮ থানায় গত সেপ্টেম্বর মাসে ২টি ছিনতাই, ১৩টি চুরি, ৫টি খুন, একটি ধর্ষণ এবং ১৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ১৩৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৩২টি।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি বলেন, খুনের ঘটনা ঘটতেই পারে। নগরীতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নগরীতে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি।
খুলনার ডিসি মোস্তফা কামাল বলেন, সব খুনের ঘটনার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্পর্ক নেই। কারণ, বেশির ভাগ খুন পারিবারিক কোন্দলের কারণে হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মংলা বন্দরের কাছে পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। মালিক পক্ষের নিয়োগকৃত নারায়ণগঞ্জের ভাই ভাই স্যালভেজ নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান শুক্রবার সকাল থেকে এ উদ্ধার কাজ শুরু করে।
স্যালভেজ-এর ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান জানান, ডুবুরি দলসহ প্রথম পর্যায়ের উদ্ধার কাজে ১৪ জন কর্মী কাজ করছে। শনিবার এমভি তানজিল নামের বড় একটি নৌযান আসলেই তারা কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করবে। তাদের ডুবুরিরা লাইটারটিকে ওয়্যার রোপ দিয়ে তীরের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে যাতে জোয়ার ভাটার টানে ডুবন্ত জাহাজটি সরে যেতে না পারে।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ডুবুরিরা জানিয়েছেন, লাইটারে থাকা কয়লার উপরে কিছুটা পলি পড়েছে। তবে এতে তেমন কোন সমস্য হবে না। একটানা কাজ করতে পারলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লাইটারে থাকা কয়লা এবং সেই সঙ্গে জাহাজটি পুরোপুরি উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকতা মতিউর রহমান জানান, পরিবেশের ক্ষতির দিক বিবেচনায় নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বনবিভাগ। কয়লা উত্তোলনের সময় যাতে পানিতে তা মিশে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এমভি জিয়ারাজ নামের এ লাইটার জাহাজটি ডুবো চরে আটকে তলা ফেটে গত ২৭ নভেম্বর রাতে ৫১০ মেট্রিক টন কয়লাসহ সুন্দরবন সংলগ্ন জয়মনির ঘোল এলাকায় পশুর নদীতে ডুবে যায়। ঘটনার ১১ দিন পর মালিক পক্ষের উদ্যোগে উদ্ধার তত্পরতা শুরু হয়।