![]() |
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্ত্তী। |
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ গত বছর অক্টোবর মাসে অবসরে যাবার পর থেকে যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা পদটিতে ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দীপক চক্রবর্তী ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় আরডিসি ও বান্দরবান সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বশীলতার সাথে ভূমিকা রাখেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রথম পার্বত্য মন্ত্রী কল্পরঞ্জন চাকমার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দীপক চক্রবর্তী গত ১৮ মার্চ রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে সাত নির্বাচন কর্মকর্তা কর্মচারীকে হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তিনি চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ লালন করেন। তার চাকুরী জীবনে একাধিকবার সে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাবার চেষ্টাও করেছেন। এঅঞ্চলের মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে চাকুরী জীবনের শেষ সময়টুকুও যেন পাহাড়ের মানুষের উন্নয়নে লাগাতে পারেন তার জন্য বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে, বি.এসসি (অনার্স) এম.এসসি ডিগ্রী পাশ করেন এবং ১৯৮৭ সালে চ্যান্সেলর পদক লাভ করেন।পরবর্তীতে এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, কর্ম জীবনের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক হিসেবে যোগদান করে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৯ সালে যোগদান করেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জলদী পৌরসদরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।জলদী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও চৌকস এ কর্মকর্তার শৈশব কেটেছে মামার বাড়ী বাণীগ্রামে এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন বাণীগ্রাম স. প্রা. বিদ্যালয় ও বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে।
ব্যাক্তিগত জীবনে তিনা এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)। তিনিও বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত।
⇘সংবাদদাতা: শিব্বির আহমদ রানা

সেবা নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের অবদান ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যে ভূমিকা রেখেছিল- তা অনন্য। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে যে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তা প্রসংশনীয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নব অধ্যায়ের সূচনা করেছেন পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে। তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন নাগরিক ঐক্য তৈরিতে। উন্নয়নের পূর্ব শর্তই হলো আইনশৃংখলা রক্ষা করা। বর্তমানে নারী পুলিশ সদস্যরাও এ পেশায় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন।
এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, পুলিশ সদস্যরা দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সামাজিক শান্তি রক্ষা করছে। জনগণকে সুরক্ষা ও সেবা প্রদান করতে সুচারুভাবে পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন র্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বেনজীর আহমেদ। অন্যান্য অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন।
এ বছর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে র্যাবের মহাপরিচালক বেনিজীর আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার নির্বাচিত হয়েছেন।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
সেবা ডেস্ক:
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বানীগ্রামে সিএনজি পেট্রোল পাম্পের পাশে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিএনজি-অটোরিক্সা এবং কভার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ৩ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কভার ভ্যান (ঢাকামেট্রো-ট ২০-৫৯৫৯) চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পথে সাধনপুর ইউনিয়নের বানীগ্রামে সিএনজি পেট্রোল পাম্পের পাশে পৌঁছলে গুনাগরির অভিমুখে যাওয়া সিএনজি-অটোরিক্সাটির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রান হারায় বাহারচড়া ইউনিয়নের বাঁশখালা ইলশা গ্রামের মীরের বাড়ী এলাকার মারুফ হোসেনের স্ত্রী, মাওলানা শোয়াইবের মাতা রহিমা বেগম (৪৮) ও একই এলাকার জমির হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার(১৩)।
ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সিএনজি অটোরিক্সার ড্রাইভার জামাল (২৮) ও তড়িৎ গুহ (৪৮) কে বাঁশখালী গুনাগরি আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার অবনতি দেখে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা খুবই আশংকা জনকবলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সাধনপুর বানীগ্রাম এলাকায় কভার ভ্যান ট্রাকের ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থালে বাহারচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সোর্স পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাক এবং সিএনজি অটোরিক্সাটি আটক করা হয়েছে।
সেবা ডেস্ক:
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ২৬ জানুয়ারী
চট্টগ্রামেরর বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে শনিবার এক সংবর্ধনা অনুষ্টান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিলকুপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ১৬ বাঁশখালী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক অাব্দুল গফুর, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপির চেয়ারম্যান মুহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা পরিবারের সদস্য শেখ আলী মুহাম্মদ মোস্তাজিব মিলু, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেহেনা আক্তার কাজেমী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার হোসেন, মনছুর আলী, গন্ডমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার শামসুল আলম, পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক নীল কন্ঠ দাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক হামিদ উল্লাহ, শীলকূপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ভুপাল বড়ুয়া প্রমূখ।
এর পূর্বে এসএসসি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্টিত হয়। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল খোবরা, ও সাইফুল্লাহ সিকদার। এ সময় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ দোকানের নগদ অর্থসহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি ছুড়ে ব্যবসায়ীদের মারধর করে দোকান ভাংচুর, লুটপাট করেছে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা এগিয়ে অাসলে সন্ত্রাসীরা কলিম উল্লাহ (৪০) নামে একজন ব্যবসায়ীকে মারাত্মকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে জখম করেছে।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার পুঁইছড়ির সরলিয়া বাজারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাতের এ ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনকার মতো ব্যবসায়ীরা রাত ৯টার দিকে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার অাগে অাগেই পুঁইছড়ি ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অাবু নোমান চৌধুরী, অাতাউর রহমান চৌধুরী ও সগির চৌধুরীর নেতৃত্বে ছনুয়ার মানিক ডাকাত, সোলেমান ডাকাত, জরিনা অাক্তার বুলবুলি ডাকাত সহ ৩০/৩৫ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অাগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুরি, কিরিচ নিয়ে সরলিয়া বাজারে কয়েক রাউন্ড গুলি চালালে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এলোপাথারি দৌড়তে থাকে।
এসময় সন্ত্রাসীরা বাজারের অাবু তৈয়ব পারভেজের হোটেল বনসাঁই, সাজ্জাদ হোসেনের মুক্তা ফার্মেসী, গিয়াস উদ্দীন মানিকের মোবাইলের দোকান, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স'র অফিস, শীতল দাসের সেলুনের দোকান, কলিম উল্লাহ সওদাগরের পানের দোকান, রিয়াজ সওদাগরের চাউলের দোকানে সন্ত্রাসী হামলা করে ব্যাপক লুটপাট করেছে।
ভাংচুর চালিয়ে দোকানের ক্যাশে রক্ষিত টাকা, মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা হোটেল বনসাঁইয়ে রাখা মৎস্য চাষের সরকারী উপকরণ লুটপাত ও ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা বাজারের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের পর বাজারের পার্শ্বস্থ অাবুল কাসেম ও কলিম উল্লাহ'র ঘরে ডুকে আলমিরা ভেঙ্গে ৪ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও লুটতরাজের সময় কলিম উল্লাহ নামে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম প্রহার ও বন্ধুকের নল দিয়ে খুঁছিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যায়। তাকে নির্যাতন করে বুধবার সকালে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় রেখে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্থ একটি সুত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বাজারের জায়গা দখল নিতে দীর্ঘদিন থেকে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে অাসছে। ওই ধারাবাহিকতায় এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনরত বাঁশখালী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক নুর নবী টিপু সন্ত্রাসী হামলায় দোকান ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত। ক্ষতিগ্রস্থরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
⇘সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার পুঁইছড়ির সরলিয়া বাজারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাতের এ ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনকার মতো ব্যবসায়ীরা রাত ৯টার দিকে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার অাগে অাগেই পুঁইছড়ি ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অাবু নোমান চৌধুরী, অাতাউর রহমান চৌধুরী ও সগির চৌধুরীর নেতৃত্বে ছনুয়ার মানিক ডাকাত, সোলেমান ডাকাত, জরিনা অাক্তার বুলবুলি ডাকাত সহ ৩০/৩৫ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অাগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুরি, কিরিচ নিয়ে সরলিয়া বাজারে কয়েক রাউন্ড গুলি চালালে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এলোপাথারি দৌড়তে থাকে।
এসময় সন্ত্রাসীরা বাজারের অাবু তৈয়ব পারভেজের হোটেল বনসাঁই, সাজ্জাদ হোসেনের মুক্তা ফার্মেসী, গিয়াস উদ্দীন মানিকের মোবাইলের দোকান, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স'র অফিস, শীতল দাসের সেলুনের দোকান, কলিম উল্লাহ সওদাগরের পানের দোকান, রিয়াজ সওদাগরের চাউলের দোকানে সন্ত্রাসী হামলা করে ব্যাপক লুটপাট করেছে।
ভাংচুর চালিয়ে দোকানের ক্যাশে রক্ষিত টাকা, মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা হোটেল বনসাঁইয়ে রাখা মৎস্য চাষের সরকারী উপকরণ লুটপাত ও ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা বাজারের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের পর বাজারের পার্শ্বস্থ অাবুল কাসেম ও কলিম উল্লাহ'র ঘরে ডুকে আলমিরা ভেঙ্গে ৪ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও লুটতরাজের সময় কলিম উল্লাহ নামে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম প্রহার ও বন্ধুকের নল দিয়ে খুঁছিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যায়। তাকে নির্যাতন করে বুধবার সকালে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় রেখে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্থ একটি সুত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বাজারের জায়গা দখল নিতে দীর্ঘদিন থেকে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে অাসছে। ওই ধারাবাহিকতায় এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনরত বাঁশখালী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক নুর নবী টিপু সন্ত্রাসী হামলায় দোকান ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত। ক্ষতিগ্রস্থরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
⇘সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
![]() |
বাঁশখালীর পশ্চিম বড়ঘোনা খাটখালী এলাকায় ডাকাতদলের হামলায় আহত এক পুলিশ সদস্য। |
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী, (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বেসরকারি পর্যায়ে দেশের বহুল আলোচিত ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকরা প্রকল্প হতে ফেরার পথে গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা আলকদিয়া প্রকল্পের অস্থায়ী রাস্তায় গত (২২ অক্টোবর) সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল ডাকাত তাদের গাড়ি আটকিয়ে ২ টি গাড়ি ভাংচুর চালিয়েছে।
পরে চাইনিজদের গাড়ি আটকানোর খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালিয়ে পালানোর সময় ২ ডাকাত কে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২ ডাকাতকে নিয়ে ফেরার পথে আবারো পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে ওই ডাকাতদল। এতে বাঁশখালী থানার পুলিশ আশিক (২০), ইসমাঈল (২৮) এবং এস.এস.পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত ড্রাম্প ট্রাকের ড্রাইবার আইয়ুব (৩০) গুরুত্বর আহত হয়।
আহতদের বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা বেগম ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আনোয়ারা-বাঁশখালী সার্কেল মফিজউদ্দীন।
ঘটনায় এই পর্যন্ত আটককৃতরা হলেন, স্থানীয় গন্ডামারা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আনসার প্রকাশ আনছার উল্লাহ ডাকাতের পুত্র শাহাদত ডাকাত (২০) এবং আমিন উল্লাহ ডাকাতের পুত্র খালেদ (২০)।
বাঁশখালীর ওসি কামাল হোসেন জানান, প্রকল্প থেকে পশ্চিম বড়ঘোনা আলকদিয়া হয়ে চীনা নাগরিকেরা প্রকল্পের অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে গন্ডামারা বড়ঘোনা এলাকার বহু মামলার আসামী কুখ্যাত আনছার ডাকাত এবং আমিন ডাকাতের নেতৃত্বে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রকল্পে কর্মরত চাইনিজদের একটি গাড়ি আক্রমন করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এবং দুইটি গাড়ি ভাংচুর করে। পরে বাঁশখালী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলে ডাকাত দল তাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এতে পুলিশের ২ সদস্য এবং প্রকল্পে কর্মরত ড্রাম ট্রাকের ডাইভার আহত হয়।
পরবর্তীতে ২ ডাকাতকে নিয়ে পুলিশ আটক করে নিয়ে আসার পথে আবারো ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালালে এক ডাকাত গুরত্বর আহত হয়। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
⇘সংবাদদাতা: শিব্বির আহমদ রানা

সেবা ডেস্ক: জুম্ম জাতির মুক্তির কথা বলে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনী যে শুধুমাত্র ভন্ডামীই করছে, তা আবারও প্রমাণিত হলো মক্কোশিং মারমা ব্যবসায়ীকে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর সন্ত্রাসীদের অপহরণের দ্বারা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার চেংড়াছড়ির মগপাড়া এলাকা থেকে মক্কোশিং মারমা ব্যবসায়ীকে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর তার জীবনের বিনিময়ে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে এই নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে অসহায় পরিবারটি। কিন্তু সন্তান তার বাবাকে ফিরে পাবে, অসহায় বাবা-মা এবং স্ত্রী ফিরে পাবে তাদের একমাত্র অবলম্বন, শুধুমাত্র এই আশায় ধার-দেনা করে ও ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর হাতে নগদ ৩.৫ লক্ষ টাকা তুলে দেয় অসহায় পরিবারটি।
জানা যায়, অপহরণকারীদের টাকা দেওয়ার পরও মক্কোশিং মারমাকে এখনো ছেড়ে দেয়া হয়নি ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনী । তিনি আদৌ বেঁচে আছেন, কি না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে সেটিও এখন ধোঁয়াসা। কি দোষ ছিল তার? তিনি একজন মারমা সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ ছিলেন। যিনি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বেআইনী কাজে সহযোগীতা করেন না বলে জানা যায়। এটাই কি তার অপরাধ! এই মারমা সম্প্রদায়ের উপর বহুদিনের ক্ষোভ ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর। বিভিন্ন এলাকা থেকে ইউপিডিএফ নিয়মিতভাবে গণচাঁদা পেলেও মারমা পাড়াগুলো থেকে ইউপিডিএফ ঠিকভাবে চাঁদা পায়না। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন তৎকালীন মারমা সার্কেল চীফ মং প্রু সেইন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। শুধু তাই নয়, মারমা সম্প্রদায়ের বর্তমান প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এজন্য তারা দেশ ও জাতির শত্রু বিচ্ছন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ’কে কোনভাবেই সমর্থন করে না। আর একারণে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনী এবার মারমা সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের নীল নকশা একেছে বলে জানা যায়।
প্রসীত বাহিনীর এসকল অপকর্মের মাষ্টারমাইন্ড হচ্ছেন চঞ্চুমনি চাকমা এবং সর্বোত্তম চাকমা। নিজেরা খুঁনের আসামী হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে এবং এই অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বাধাগ্রস্থ করছে নানাভাবে। তবে আশার কথা হলো- মারমা জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য বদ্ধপরিকর।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার চেংড়াছড়ির মগপাড়া এলাকা থেকে মক্কোশিং মারমা ব্যবসায়ীকে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর তার জীবনের বিনিময়ে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে এই নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে অসহায় পরিবারটি। কিন্তু সন্তান তার বাবাকে ফিরে পাবে, অসহায় বাবা-মা এবং স্ত্রী ফিরে পাবে তাদের একমাত্র অবলম্বন, শুধুমাত্র এই আশায় ধার-দেনা করে ও ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর হাতে নগদ ৩.৫ লক্ষ টাকা তুলে দেয় অসহায় পরিবারটি।
জানা যায়, অপহরণকারীদের টাকা দেওয়ার পরও মক্কোশিং মারমাকে এখনো ছেড়ে দেয়া হয়নি ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনী । তিনি আদৌ বেঁচে আছেন, কি না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে সেটিও এখন ধোঁয়াসা। কি দোষ ছিল তার? তিনি একজন মারমা সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ ছিলেন। যিনি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বেআইনী কাজে সহযোগীতা করেন না বলে জানা যায়। এটাই কি তার অপরাধ! এই মারমা সম্প্রদায়ের উপর বহুদিনের ক্ষোভ ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর। বিভিন্ন এলাকা থেকে ইউপিডিএফ নিয়মিতভাবে গণচাঁদা পেলেও মারমা পাড়াগুলো থেকে ইউপিডিএফ ঠিকভাবে চাঁদা পায়না। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন তৎকালীন মারমা সার্কেল চীফ মং প্রু সেইন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। শুধু তাই নয়, মারমা সম্প্রদায়ের বর্তমান প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এজন্য তারা দেশ ও জাতির শত্রু বিচ্ছন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ’কে কোনভাবেই সমর্থন করে না। আর একারণে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনী এবার মারমা সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের নীল নকশা একেছে বলে জানা যায়।
প্রসীত বাহিনীর এসকল অপকর্মের মাষ্টারমাইন্ড হচ্ছেন চঞ্চুমনি চাকমা এবং সর্বোত্তম চাকমা। নিজেরা খুঁনের আসামী হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে এবং এই অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বাধাগ্রস্থ করছে নানাভাবে। তবে আশার কথা হলো- মারমা জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে ইউপিডিএফ প্রসীত বাহিনীর সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য বদ্ধপরিকর।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

সেবা ডেস্ক: মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের চেহারা। সেই সাথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে রূপকল্প-২১ ও রূপকল্প – ৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে।
মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির দিকে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্ৰাম বন্দর নগরী ফিরে পাচ্ছে তার নতুন রূপ।
বদলে যাওয়া চট্টগ্রামের জন্য চলছে ৮টি মেগা প্রকল্পের কাজ। এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। চলমান ৮টি প্রকল্প ছাড়াও গত ১০ বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সিডিএ।
সিডিএর চলমান মেগা প্রকল্প হলো – পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সিটি আউটার রিং রোড, পতেঙ্গায় বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র, ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ বোস্তামী রোড ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত বাইপাস রোড, লালখান বাজার থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড, চাক্তাই খালের মুখ থেকে কালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীরে তীরে আট কিলোমিটার বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, অনন্যা উপশহর প্রকল্প, ২০০ ফ্ল্যাটের সিডিএ স্কয়ার প্রকল্প। সিডিএর চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মনে করেন এই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দর নগরী ৫০ বছর এগিয়ে যাবে।
বর্তমান সরকার থাকাকালীন সিডিএর উন্নয়নের মধ্যে কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, বহদ্দারহাট থেকে গণি বেকারি পর্যন্ত সড়ক, চকবাজার থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত সিরাজউদ্দৌলা রোড, আন্দরকিল্লা থেকে লালদীঘির পাড় পর্যন্ত সড়ক, ফিরিঙ্গিবাজার রোড, সদরঘাট রোড, পাঠানটুলী রোড, ঢাকা ট্রাংক রোড, সাগরিকা রোড, বায়েজিদ রোড, অক্সিজেন-কুয়াইশ সংযোগ সড়ক (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ), ডিসি রোড, অক্সিজেন থেকে চকবাজার পর্যন্ত হাটহাজারী রোড, কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার রাস্তার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং মোহরা রোড নেটওয়ার্ক।
শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সিডিএ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সিডিএ শিশুকানন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সল্টগোলায় নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণ, বহদ্দারহাট জংশনে এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প।
রাজধানী ঢাকার পর দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। ব্যবসায়ের জন্য দেশের অন্যতম নগরী চট্টগ্রাম। এই চট্টগ্রাম নগরীকে আরও আধুনিকায়ন করার জন্য মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে গুরুত্বারোপ করছে বর্তমান সরকার। যার মাধ্যমে ত্বরান্বিত হবে বন্দর নগরীর ব্যবসায়িক কার্যাবলী। সেই সাথে জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সাথে উন্নতির পথে ধাবিত হবে দেশ।

সেবা ডেস্ক: প্রতিদিনই সকল মানুষের জীবনে ব্যস্ততা আর একঘেয়েমি কাটাতে ঈদের ছুটিতে দূরে অথবা কাছে কোথাও সুন্দর পরিবেশে ভ্রমণ বর্তমানে একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাজ-কর্মের চাপে যখন শ্বাস ফেলার সময় নেই তখন ঈদের ছুটি শুধু নগরবাসী নয় পুরো দেশবাসীর জন্য নিজেদের জন্য একটু সময় বের করার সুযোগ করে দেয়।
তাই এসময় দেশের পর্যটন কেন্দ্র সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো থাকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর।
দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ঈদে অবকাশ যাপনের জন্য বেশির ভাগ মানুষ বেছে নেয় পৃথিবীর এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে। এই সৈকত যেন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিকে বারবার ডেকে আনে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য।
দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ঈদে অবকাশ যাপনের জন্য বেশির ভাগ মানুষ বেছে নেয় পৃথিবীর এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে। এই সৈকত যেন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিকে বারবার ডেকে আনে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য।
![]() |
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এ পর্যটনকারী |
পর্যটকদের সুবিধার জন্য এই শহরে গড়ে উঠেছে প্রায় চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস। এসব হোটেলে দৈনিক প্রায় এক লাখ পর্যটকের রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আগেই বুকিং হয়ে যায় বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসের রুমগুলো। পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষের থাকে সজাগ দৃষ্টি। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যও তৎপর থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পর্যটকদের সমুদ্রে নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি ৩টি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োজিত আছে।
শুধু কক্সবাজার নয় দেশের অন্যান্য পর্যটন নগরীও থাকে এসময় পর্যটক মুখর। দেশের পাহাড়ি এলাকা চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িও ভ্রমণ পিপাসুদের দখলে।
শুধু কক্সবাজার নয় দেশের অন্যান্য পর্যটন নগরীও থাকে এসময় পর্যটক মুখর। দেশের পাহাড়ি এলাকা চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িও ভ্রমণ পিপাসুদের দখলে।
নীল আকাশের বুকে হেলান দেয়া পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। মাঝে মাঝে শুভ্র সাদা মেঘ আলতো করে ঢেকে দিয়ে যায়। পিছিয়ে থাকেনা চায়ের নগরী সিলেটও।
সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। যারা দূরে যেতে পারেনা তাদের জন্য থাকে নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।
ঈদের এই অবকাশ যাপনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে গোটা দেশ। দেশের কোথাও যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদ অবকাশ উদযাপন করতে পারে এজন্য তৎপর আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঈদের এই অবকাশ যাপনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে গোটা দেশ। দেশের কোথাও যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদ অবকাশ উদযাপন করতে পারে এজন্য তৎপর আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে নিরাপদে সবাই নিজ বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে সক্ষম হবে।
![]() |
সিআইপি নির্বাচিত হলেন মুজিবুর রহমান |
শিব্বির আহমেদ রানা: রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে বাঁশখালীর কৃতি সন্তান, দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি । আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যভাগে ঢাকায় হোটেল রেডিসনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। এক বার্তায় মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেন, 'আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। একটি ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।'
উল্লেখ্য , ওভেন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় টানা পঞ্চমবারের মত সিআইপি নির্বাচিত হলেন স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি । আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যভাগে ঢাকায় হোটেল রেডিসনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। এক বার্তায় মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেন, 'আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। একটি ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।'
উল্লেখ্য , ওভেন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় টানা পঞ্চমবারের মত সিআইপি নির্বাচিত হলেন স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান।