সেবা ডেস্ক:
-বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা দুই
বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আজ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে
(আইপিএল) মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই তারকার দল। আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়
হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে সাকিবের
সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ও মুস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
বাংলাদেশি
দুই তারকার আইপিএল শুরু হয়েছে দুই রকম অভিজ্ঞতা দিয়ে। মুস্তাফিজের দল
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের আইপিএল অভিযান শুরু হয়েছে পরাজয় দিয়ে। এবারের আইপিএলের
উদ্বোধনী ম্যাচে ১ উইকেটে তারা হেরেছে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। আগে
ব্যাট করে ১৬৫ রান করেছিল মুম্বাই। জবাবে ২ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৩ ওভারে ৪৭
রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। শেষ ২ ওভারে ১ উইকেট হারালেও ৪০ রান তুলে ফেলে
চেন্নাই। শেষ ওভার বল করার দায়িত্ব ছিল মুস্তাফিজের। প্রথম ৩ বল রান না
দিয়ে তিনি আশা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ছক্কা ও চারে শেষ
হয় মুস্তাফিজদের স্বপ্ন।
অন্য
দিকে হায়দারাবাদ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল এক জয় পেয়ে এবারের
টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচে বল হাতে ছিলেন উজ্জ্বল সাকিব। আগে
ব্যাট করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম ৩ ওভারে সাকিব উইকেট না পেলেও শেষ
ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালস মাত্র ১২৫ রান তুলতে
পেরেছিল। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স
হায়দারাবাদ।
আইপিএলে
এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে চেন্নাই সুপার কিংস। বুধবার রাতে নিজেদের
দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে তারা। এদিন ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা কলকাতা নাইট
রাইডার্সকে। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের সামনে আগে ব্যাট করা কলকাতা ৬ উইকেটে ২০২
রান তুলেছিল। তাদের আন্দ্রে রাসেল ৩৬ বলে করেন ৮৮ রান। তিনি ১টি চারের
পাশাপাশি ১১টি ছক্কা মেরেছেন।
এই
বিশাল রান পাড়ি দিতে গিয়ে রাসেলের মতো একক কেউ জ্বলে না উঠলেও
ব্যাটসম্যানদের সমন্বিত চেষ্টায় জয় পায় চেন্নাই। বিলিংস ৫৬, ওয়াটসন ৪২,
রাইডু ৩৯ রান করেন। এক বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় চেন্নাই।
সেবা ডেস্ক:
-আইপিএলে আজ প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স
হায়দরাবাদ। তাদের প্রতিপক্ষ রয়্যেল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। বাংলাদেশ
সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
এই লিগে দীর্ঘ সময় কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব। প্রথমবার হায়দরাবাদের হয়ে খেলবেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এবার কিছুটা বিপদের মধ্যেই পড়েছে তার দল। কারণ দলের অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার বল টেম্পারিং কাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফলে খেলতে পারছেন না আইপিএল।
এখন নতুন অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন উইলিয়ামসনকে। এই তালিকায় সাকিবকেও রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে ওয়ার্নার না থাকায় সাকিবের ভূমিকা বেড়ে যাবে দলে। দলের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ দলের টি-২০ অধিনায়ককেও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখবেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
দলে এখনো যারা রয়েছেন তারা চেষ্টা করবেন ওয়ার্নারের দুর্বলতা পুষিয়ে দেয়ার। কিন্তু ওই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট হাতে যেমন অসাধারণ তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও দারুণ। সব মিলিয়ে কেপটাউনের ওই ঘটনায় কিছুটা হলেও বিচলিত হয়ে যায় দলটি।
দলে রয়েছেন ভারতের তুখোড় ওপেনার শেখর ধাওয়ান, মানিষ পান্ডে, ইউসুফ পাঠান, ভুবনেশ্বর কুমারদের সাথে সাকিব, উইলিয়ামসন ছাড়াও অ্যালেক্স হেলস, কর্লোস ব্রেটওয়েট, রশিদ খান, মোহাম্মাদ নবি প্রমুখ।
নতুন দল নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিব
কেকেআরে ছিলেন দীর্ঘদিন। এবার নাম লেখিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। নতুন দল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের টি-২০ দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। আইপিএলের ১১তম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে দলগতভাবে ভালো করবে মনে করছেন তিনি।
আইপিএলের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম হায়দরাবাদের হয়ে খেলবেন সাকিব। ২০১১ থেকে গত আসর পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। এবার নতুন দলের ক্যাম্পে যোগদান করে অনুশীলনের ফাঁকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় আসন্ন আইপিএল নিয়ে কথা বলেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে খেলতে পারলে আমরা ভালো করব। আমাদের দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ।’
২০১১ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন সাকিব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে পাঁচটি আসরে অংশ নেন তিনি। ব্যাট-বল হাতে নিজের সেরাটা দিয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন সাকিব। আইপিএলে কলকাতার হয়ে ছয় মওসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ব্যাট হাতে ৩২ ইনিংসে দুটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৯৮ রান ও বল হাতে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তবে আইপিএলের এগারোতম আসরের জন্য সাকিবকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। তাই গেল জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নিলামে সাকিবকে ২ কোটি রুপিতে কিনে নেয় হায়দরাবাদ।
আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারে এবার দ্বিতীয় কোনো দলের হয়ে মাঠে নামবেন সাকিব। ইতোমধ্যে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন এবং অনুশীলনও করেছেন। অনুশীলনের ফাঁকে দল ও আইপিএল নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব। নিজের দল হায়দরাবাদ নিয়ে আশাবাদী সাকিব, ‘আশা করছি সমর্থকেরা এবারও আমাদের দলকে সমর্থন করবে এবং আমাদের সাহস জোগাবে।
আমাদের দলটা অনেক ভালো এবং ভারসাম্যপূর্ণ। আশা করি ভালো ফল করতে পারব।’
হায়দরাবাদের ক্যাম্পে অনুশীলন করে নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নিয়েছেন বলে জানান সাকিব, ‘অনুশীলন খুবই ভালো হয়েছে।
তবে অনুশীলনের আগে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। অনুশীলনের পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। এই আত্মবিশ্বাস শুরু থেকেই টুর্নামেন্টে কাজে লাগাতে এবং ভালো পারফরম্যান্স করতে পারব।’
আজ থেকে শুরু হবে আইপিএলের একাদশ আসর।
তবে ৯ এপ্রিল এবারের আসরে প্রথম মাঠে নামবে সাকিবের দল হায়দরাবাদ। নিজেদের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে তারা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
এই লিগে দীর্ঘ সময় কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব। প্রথমবার হায়দরাবাদের হয়ে খেলবেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এবার কিছুটা বিপদের মধ্যেই পড়েছে তার দল। কারণ দলের অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার বল টেম্পারিং কাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফলে খেলতে পারছেন না আইপিএল।
এখন নতুন অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন উইলিয়ামসনকে। এই তালিকায় সাকিবকেও রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে ওয়ার্নার না থাকায় সাকিবের ভূমিকা বেড়ে যাবে দলে। দলের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ দলের টি-২০ অধিনায়ককেও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখবেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
দলে এখনো যারা রয়েছেন তারা চেষ্টা করবেন ওয়ার্নারের দুর্বলতা পুষিয়ে দেয়ার। কিন্তু ওই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট হাতে যেমন অসাধারণ তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও দারুণ। সব মিলিয়ে কেপটাউনের ওই ঘটনায় কিছুটা হলেও বিচলিত হয়ে যায় দলটি।
দলে রয়েছেন ভারতের তুখোড় ওপেনার শেখর ধাওয়ান, মানিষ পান্ডে, ইউসুফ পাঠান, ভুবনেশ্বর কুমারদের সাথে সাকিব, উইলিয়ামসন ছাড়াও অ্যালেক্স হেলস, কর্লোস ব্রেটওয়েট, রশিদ খান, মোহাম্মাদ নবি প্রমুখ।
নতুন দল নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিব
কেকেআরে ছিলেন দীর্ঘদিন। এবার নাম লেখিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। নতুন দল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের টি-২০ দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। আইপিএলের ১১তম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে দলগতভাবে ভালো করবে মনে করছেন তিনি।
আইপিএলের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম হায়দরাবাদের হয়ে খেলবেন সাকিব। ২০১১ থেকে গত আসর পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। এবার নতুন দলের ক্যাম্পে যোগদান করে অনুশীলনের ফাঁকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় আসন্ন আইপিএল নিয়ে কথা বলেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে খেলতে পারলে আমরা ভালো করব। আমাদের দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ।’
২০১১ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন সাকিব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে পাঁচটি আসরে অংশ নেন তিনি। ব্যাট-বল হাতে নিজের সেরাটা দিয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন সাকিব। আইপিএলে কলকাতার হয়ে ছয় মওসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ব্যাট হাতে ৩২ ইনিংসে দুটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৯৮ রান ও বল হাতে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তবে আইপিএলের এগারোতম আসরের জন্য সাকিবকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। তাই গেল জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নিলামে সাকিবকে ২ কোটি রুপিতে কিনে নেয় হায়দরাবাদ।
আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারে এবার দ্বিতীয় কোনো দলের হয়ে মাঠে নামবেন সাকিব। ইতোমধ্যে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন এবং অনুশীলনও করেছেন। অনুশীলনের ফাঁকে দল ও আইপিএল নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব। নিজের দল হায়দরাবাদ নিয়ে আশাবাদী সাকিব, ‘আশা করছি সমর্থকেরা এবারও আমাদের দলকে সমর্থন করবে এবং আমাদের সাহস জোগাবে।
আমাদের দলটা অনেক ভালো এবং ভারসাম্যপূর্ণ। আশা করি ভালো ফল করতে পারব।’
হায়দরাবাদের ক্যাম্পে অনুশীলন করে নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নিয়েছেন বলে জানান সাকিব, ‘অনুশীলন খুবই ভালো হয়েছে।
তবে অনুশীলনের আগে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। অনুশীলনের পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। এই আত্মবিশ্বাস শুরু থেকেই টুর্নামেন্টে কাজে লাগাতে এবং ভালো পারফরম্যান্স করতে পারব।’
আজ থেকে শুরু হবে আইপিএলের একাদশ আসর।
তবে ৯ এপ্রিল এবারের আসরে প্রথম মাঠে নামবে সাকিবের দল হায়দরাবাদ। নিজেদের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে তারা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
সেবা ডেস্ক:
- কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর টুইটের উত্তরে
মুখ খোলেন শচীন, কোহলি, গম্ভীর, রায়নারাও। এবার মহম্মদ কাইফের একটি
মন্তব্যের উত্তর দিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ালেন আফ্রিদি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ আফ্রিদির মন্তব্যের জবাবে লিখেছিলেন, পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলে আফ্রিদি এমন কথা বলতেন না।
তার উত্তরে আফ্রিদিও জানিয়েছেন, ডাকলেও তিনি আইপিএলে খেলতে আসতেন না। তাঁর কাছে পিএসএলই সেরা। প্রসঙ্গত, গত সোমবার কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর এন কাউন্টারে ১৩ জন পাক জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছে।
এর পরদিন মঙ্গলবারে শাহিদ আফ্রিদি টুইট করে লেখেন- ‘‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর চাপা দিতে দমনমূলক নীতিতে নিরীহদের গুলি করে মারা হচ্ছে।
অবাক হয়ে ভাবি কোথায় গেল জাতিসংঘ, অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি! কেন এই রক্তপাত থামাতে তারা সচেষ্ট নয়?’’
সূত্র: এবেলা
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ আফ্রিদির মন্তব্যের জবাবে লিখেছিলেন, পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলে আফ্রিদি এমন কথা বলতেন না।
তার উত্তরে আফ্রিদিও জানিয়েছেন, ডাকলেও তিনি আইপিএলে খেলতে আসতেন না। তাঁর কাছে পিএসএলই সেরা। প্রসঙ্গত, গত সোমবার কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর এন কাউন্টারে ১৩ জন পাক জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছে।
এর পরদিন মঙ্গলবারে শাহিদ আফ্রিদি টুইট করে লেখেন- ‘‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর চাপা দিতে দমনমূলক নীতিতে নিরীহদের গুলি করে মারা হচ্ছে।
অবাক হয়ে ভাবি কোথায় গেল জাতিসংঘ, অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি! কেন এই রক্তপাত থামাতে তারা সচেষ্ট নয়?’’
সূত্র: এবেলা
সেবা ডেস্ক:
-
সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শনি বার ৭ এপ্রিল মাঠে গড়াচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার
লিগের একাদশ আসর। ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হচ্ছে আরেক জায়ান্ট চেন্নাই সুপার কিংসের। এই
দলটি দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছে আইপিএলে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ এবারের আসরের প্রথম এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান এবারের আসরে খেলছেন মুম্বাইয়ের হয়ে। ফলে দলটিকে ঘিরে বাংলাদেশি সমর্থকদের বাড়তি একটা উত্তেজনা থাকছেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ এবারের আসরের প্রথম এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান এবারের আসরে খেলছেন মুম্বাইয়ের হয়ে। ফলে দলটিকে ঘিরে বাংলাদেশি সমর্থকদের বাড়তি একটা উত্তেজনা থাকছেই।
আইপিএলে সবচেয়ে বেশি তিনবারের চ্যাম্পিয়ন
মুম্বাই। গত আসরেও এই শিরোপা জেতায় এবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে
কিছুটা চাপেই থাকবে দলটি। ২০১৫ সালের পর এবছর খেলতে আসা চেন্নাইকেও নিজেদের
সামর্থ্যে প্রমাণ দিতে হবে। কারণ তারা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ও সর্বোচ্চ
ছয়বারের ফাইনালিস্ট।
এবছরের মুম্বাই ধরে রেখেছিল অধিনায়ক রোহিত
শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়াকে। আর নিলামে আরটিএম ব্যবহার
করে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও কিয়েরন পোলার্ডকে হাতছাড়া হতে দেয়নি। আর মোস্তাফিজ,
প্যাট কামিন্স, ইভিন লুইসের মত ক্রিকেটারদেরও দলে ভিড়িয়েছে।
চেন্নাই ধরে রেখেছিল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং
ধোনি, রবিন্দ্র জাদেজা ও সুরেশ রায়নাকে। আরটিএম ব্যবহার করেছে ডিজে ব্রাভো
ও ফ্যাফ ডু প্লেসির জন্য। যদিও আঙুলের ইনজুরির কারণে প্রথম দিককার কিছু
ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি।
এছাড়া শেন ওয়াটসন, হরভজন সিং, মুরালি বিজয় এবং
আমবতি রাইডুকে কিনেছে দলটি। আছেন লুনগি এনগিদি, মার্ক উডের মত পেসারও।
সব মিলিয়ে একটা উপভোগ্য ম্যাচের আশা করতেই পারেন দর্শকেরা।
সূত্র : স্পোর্টসস্কিডা।
সেবা ডেস্ক:
-বল-ট্যাম্পারিং কেলেংকারির পর এক বছরের জন্য
নিষিদ্ধ হওয়া ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার বলেছেন, তিনি এটা মেনেই
নিয়েছেন যে তার হয়তো আর কখনো অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট মাঠে নামা হবে
না।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে তৃতীয় টেন্টের সময় পরিকল্পিতভাবে বল-ট্যাম্পারিং করায় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও ভাইস ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
এক আবেগপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে ওয়ার্নার বলেন, হয়তো একটা 'ক্ষীণ আশা্' আছে, কিন্তু তিনি এটা মেনে নিয়েছেন যে হয়তো তার আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা হবে না। তিনি তার কাজের জন্য দু:খ প্রকাশ করছেন এবং দলের সাথে মাঠে নামতে পারবেন না জেনে তিনি মর্মাহত।
অভিযোগ বলা হয়, শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে বলে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন ওয়ার্নার এবং ব্যানক্রফটকে তিনি তা কার্যকর করতে বলেছিলেন। স্মিথ ও ব্যানক্রফটকে আগামি দু বছরের জন্য এবং ওয়ার্নারকে 'ভবিষ্যতে আর কখনো' নেতৃত্বের পদের জন্য বিবেচনা করা হবে না - বলেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ।
এর পর এ দুজনকে সব রকম আন্তর্জাতিক এবং অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতে এ মওসুমের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও ওয়ার্নার ও স্মিথকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এরা দুজন আইপিএলে তাদের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়ালসের অধিনায়কের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। আইপিএলে তার দুজনেই ছিলেন ১০ লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি দামের খেলোয়াড়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে তৃতীয় টেন্টের সময় পরিকল্পিতভাবে বল-ট্যাম্পারিং করায় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও ভাইস ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
এক আবেগপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে ওয়ার্নার বলেন, হয়তো একটা 'ক্ষীণ আশা্' আছে, কিন্তু তিনি এটা মেনে নিয়েছেন যে হয়তো তার আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা হবে না। তিনি তার কাজের জন্য দু:খ প্রকাশ করছেন এবং দলের সাথে মাঠে নামতে পারবেন না জেনে তিনি মর্মাহত।
অভিযোগ বলা হয়, শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে বলে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন ওয়ার্নার এবং ব্যানক্রফটকে তিনি তা কার্যকর করতে বলেছিলেন। স্মিথ ও ব্যানক্রফটকে আগামি দু বছরের জন্য এবং ওয়ার্নারকে 'ভবিষ্যতে আর কখনো' নেতৃত্বের পদের জন্য বিবেচনা করা হবে না - বলেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ।
এর পর এ দুজনকে সব রকম আন্তর্জাতিক এবং অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতে এ মওসুমের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও ওয়ার্নার ও স্মিথকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এরা দুজন আইপিএলে তাদের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়ালসের অধিনায়কের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। আইপিএলে তার দুজনেই ছিলেন ১০ লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি দামের খেলোয়াড়।
সেবা ডেস্ক:
-দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফি টি-টোয়েন্টি
সিরিজের শিরোপা জয়ের আনন্দের রেশ এখনও কাটেনি ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গণে। বিশেষ
করে শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো দিনেশ কার্তিককে ঘিরে আনন্দ একটু
বেশিই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের নবনির্বাচিত অধিনায়ক নতুন করে যেন নিজেকে
চিনিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন তিনি।
এই অভিনন্দন জানাতে গিয়েই গলদ করে ফেলেছেন কার্তিকের জাতীয় দলের সতীর্থ এবং একসময়ের বন্ধু মুরালি বিজয়। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের পর কার্তিকের নাম না নিয়ে ভারতীয় দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজয়। কিন্তু অভিনন্দনের তালিকায় সবার নাম থাকলেও নেই দিনেশ কার্তিকের নাম। তাই বিজয়ের টুইট দেখে হাসাহাসি থেকে শুরু করে নিন্দাও জানাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
শিরোপা জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ককে কেন অভিনন্দন জানাননি বিজয়? একসময়ের এমন ঘনিষ্ট বন্ধুর সঙ্গে এমন কী হয়েছে তার? ঘটনা ভীষণ গুরুতর। অনেকে জানেন, অনেকে জানেন না। একসময় দারুণ বন্ধুত্ব ছিল দিনেশ কার্তিক আর মুরালি বিজয়ের মধ্যে। বন্ধুত্ব ভেঙে যায় বউ ইস্যুতে! হ্যাঁ, দিনেশ কার্তিকের প্রথম স্ত্রী নিকিতা ভাঞ্জারা মুরালি বিজয়ের প্রেমে পড়েন। কার্তিকের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই তিনি বিজয়ের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যান। বিষয়টি ফাঁস হলে প্রচণ্ড দুঃখ পান কার্তিক। তবে সিদ্ধান্ত নেন বাস্তবসম্মত।
নিকিতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় কার্তিকের। খুশিমনে নিকিতা চলে যান মুরালি বিজয়ের ঘরে। তাদের সংসার বেশ সুখেই চলছে। অন্যদিকে দিনেশ কার্তিকও জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন নতুন করে। বিয়ে করেছেন সাবেক স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালকে। এখন কার্তিক-বিজয়ের তিক্ততা কেউই প্রকাশ্যে না আনলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুহূর্তে সেটা আপনাআপনিই প্রকাশ্যে এসে যায়। যেমনটা বের হয়ে এলো বিজয়ের টুইটে।
এই অভিনন্দন জানাতে গিয়েই গলদ করে ফেলেছেন কার্তিকের জাতীয় দলের সতীর্থ এবং একসময়ের বন্ধু মুরালি বিজয়। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের পর কার্তিকের নাম না নিয়ে ভারতীয় দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজয়। কিন্তু অভিনন্দনের তালিকায় সবার নাম থাকলেও নেই দিনেশ কার্তিকের নাম। তাই বিজয়ের টুইট দেখে হাসাহাসি থেকে শুরু করে নিন্দাও জানাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
শিরোপা জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ককে কেন অভিনন্দন জানাননি বিজয়? একসময়ের এমন ঘনিষ্ট বন্ধুর সঙ্গে এমন কী হয়েছে তার? ঘটনা ভীষণ গুরুতর। অনেকে জানেন, অনেকে জানেন না। একসময় দারুণ বন্ধুত্ব ছিল দিনেশ কার্তিক আর মুরালি বিজয়ের মধ্যে। বন্ধুত্ব ভেঙে যায় বউ ইস্যুতে! হ্যাঁ, দিনেশ কার্তিকের প্রথম স্ত্রী নিকিতা ভাঞ্জারা মুরালি বিজয়ের প্রেমে পড়েন। কার্তিকের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই তিনি বিজয়ের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যান। বিষয়টি ফাঁস হলে প্রচণ্ড দুঃখ পান কার্তিক। তবে সিদ্ধান্ত নেন বাস্তবসম্মত।
নিকিতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় কার্তিকের। খুশিমনে নিকিতা চলে যান মুরালি বিজয়ের ঘরে। তাদের সংসার বেশ সুখেই চলছে। অন্যদিকে দিনেশ কার্তিকও জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন নতুন করে। বিয়ে করেছেন সাবেক স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালকে। এখন কার্তিক-বিজয়ের তিক্ততা কেউই প্রকাশ্যে না আনলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুহূর্তে সেটা আপনাআপনিই প্রকাশ্যে এসে যায়। যেমনটা বের হয়ে এলো বিজয়ের টুইটে।

মোঃ রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকেঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রানাপিং প্রিমিয়ার লীগ (আরপিএল) এর ফাইনাল খেলা রবিবার বিকাল ৩টায় রানাপিং বাজার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রানাপিং প্রিমিয়ার লীগের ফাইনালে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রানাপিং ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইলেভেন থান্ডার্স রানাপিং।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৩ রানের টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ রান করে রানাপিং ওয়ারিয়র্স। দলের পক্ষে এনায়ের ৮৯, সাব্বির ৪৭ রান করেন। থান্ডার্সের হয়ে মুকিত ৩ উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রেশাদ ও সজীবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫৪ রান তুলে থান্ডার্স। মাঝখানে ওয়ারিয়র্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ৩ ওভারে থান্ডার্সের প্রয়োজন ৬৬ রানের যা ২ বল বাকি থাকতেই তুলে নেয় তারা।
ম্যাচ জয়ের মুল নায়ক সজীব অপরাজিত থেকে ১৫০ রান করেন। এছাড়া রেশাদ হাকান অর্ধশতক রান করেন।
কবি মুফিজুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে এবং মুহিতুর রহমান ইমন ও তারেক আলমের যৌথ সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন কানাডা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও দৈনিক শুভ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সরওয়ার হুসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান,শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক অজিউর রহমান ছানা, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাবেল,গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াদুদ এমরুল প্রমুখ।
-
সেবা ডেস্ক:
-
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ভুজঙ্গের সেই বিষাক্ত দংশনে নীল হয়ে নিদাহাস ট্রফি
ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। তাদের দর্শক
বানিয়ে ফাইনালে উঠেছে সফরকারী দুই দল বাংলাদেশ ও ভারত। টুর্নামেন্টে দু’বার
বাগে পেয়েও ভারতকে দংশিতে পারেনি বাংলাদেশ। আবার এসেছে সেই সুযোগ। মঞ্চটাও
বড়।
ফাইনাল। এবার পারবেন তো মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা? পারলে বড় একটি স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশেরÑ ত্রিদেশীয় কোন সিরিজে প্রথম শিরোপা জয়। কিন্তু আশার মাঝেও শঙ্কার বিষয় হলো, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ভারতকে কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
তার মানে এই নয় যে আগে পারেনি বলে আর পারা যাবে না। চলতি টুর্নামেন্টই এক্ষেত্রে হতে পারে প্রেরণার রসদ। সেই রসদ নিয়েই আজ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে সাকিব বাহিনী।
টি-টোয়েন্টি আর প্রতিপক্ষ ভারত, এই দুটি শব্দ একত্রিত করলেই একটি হতাশার চিত্র ফুটে ওঠে টাইগার ক্রিকেট প্রেমিকদের মনপটেÑ ব্যাঙ্গলুরুর সেই ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ। যে ম্যাচে জয়ের জন্য ৩ বলে প্রয়োজনীয় ২ রান নিতে ব্যর্থ হন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।
চাপ সামলাতে না পেরে দুজনই আউট হন বাজে শট খেলে। বাংলাদেশ হেরে যায় ১ রানে। তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তখন শিষ্যদের বুঝিয়েছিলেন, ব্যথা ভুলে ঐ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে। দলপতি সাকিবও ঐ ম্যাচের স্মৃতি হাতড়ে সম্প্রতি বলেন, ‘সবাই ভুল থেকেই শেখে। বেঙ্গালুরু আমাদের কাছে শিক্ষা ছিল কিভাবে জিততে হয়। আমি মনে করি এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন আমরা সচেতন।’
প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে এই মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক এখন অনেক পরিণত। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার দিক্ষায় দিক্ষিত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যাকে বলে। আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে তাকালেই তা বোঝা যায়। বোঝা যায় সেদিনের শিক্ষাটা কাজে দিয়েছে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে। তৃতীয় ম্যাচে ২১৪ রানের রেকর্ড তাড়া করার দিনে শেষ ওভারের নায়ক মুশফিক।
আর মাহমুদউল্লাহর বীরত্বে সদ্য জয়স্মৃতি তো আরো টাটকা। উত্তেজনার বারুদে ঠাসা ম্যাচে শেষ চার বলে ১২ রানের দুরহ সমীকরণ কি ধীর শান্ত অথচ অবিচল ভঙ্গিমায়-ই না মিলিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ।
অথচ বিধ্বস্ত এক দল নিয়ে নিদাহাস ট্রফি খেলতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। যাদের চোখে মুখে ছিল ঘরের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে এই শ্রীলঙ্কার কাছেই হারের হতাশা। এরপর লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-২০ সিরিজেও বরণ করতে হয় একই পরিণতি। এরই মাঝে দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে যেন আরো দিকভ্রন্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
যে কারণে সিরিজের শুরুটাও হয় একেবারেই নড়বড়েভাবে। ভারতের কাছে একপ্রকার আত্মসমর্পণ করতে হয় মাহমুদউল্লার দলকে। কিন্তু পরাজয়ের ভারে ক্লান্ত দরটির ঘাড়ে হঠাৎ করেই যেন অশরীরী ভর করে। যে দলটি কখনো দুইশ রানই করতে পারেনি তারাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায় ২১৫ রানের রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করে। সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হার। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই সাম্প্রতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ও নাটকীয় জয়। এই বাংলাদেশকে তাই কোনভাবেই সিরিজ শুরুর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে মেলানো যাবে না।
সাকিব-তামিমদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে বিসিবি প্রধানের ঘোষণাও। ফাইনাল নিশ্চিত করায় দলকে কোটি টাকার বোনাসের ঘোষনা দিয়েছেন। ফাইনাল জিতেতে পারলে সেটা আরো বাড়বে বলে জানান নাজমুল হাসান পাপন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে লড়াই করে দেশের বাইরে ফাইনালে উঠে আসা আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার। কালকের (পরশু) ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের জন্য একটা বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, সিরিজ এখনো শেষ হয়নি। আসল খেলাটাই আগামীকাল (আজ)। ওখানে যদি ভালোভাবে খেলতে পারে, তাহলে বোনাস আরও বাড়বে। আপাতত খেলোয়াড়দের জন্য এক কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ তো গেল খেলোয়াড়দের কথা। কিন্তু শক্তিশালী ভারতের কথা বিবেচনায় এনে একাদশে কি কোন পরিবর্তনের কথা ভাবছেন টিম ম্যানেজমেন্ট? এক্ষত্রে প্রথমেই চলে আসবে সৌম্য-সাব্বিরের প্রসঙ্গ। সাব্বির দুই ম্যাচে মুটামুটি রান পেলেও প্রতি ম্যাচেই তার আউট হওয়ার ধরণ ছিল চোখে বিধার মত। সৌম্যের ব্যাপারটা ছিল আরো দৃষ্টিকটু।
আর লিটনের ব্যাপারটা মেলানো যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রচলিত একটি প্রবাদ থেকে- ‘এক ম্যাচ ভালো খেলেছ মানে তুমি আরো দশ ম্যাচ একাদশে নিশ্চিত’। লিটন এর বাস্তব ও সদ্য উদাহরণ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯ বলে ৪৩ রানের টিকিটই তাকে সিরিজের পরবর্তি ম্যাচেগুলোর নিশ্চয়তা দিয়ে রেখেছে। অথচ বাকি ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে তাড়াহুড়ো আর কান্ডজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হওয়াটার বিষয়টি নিশ্চয় সবার চোখে পড়তে বাধ্য। এই প্রবাদ অবশ্য একজনের বেলায় খাটে না। সেই দুর্ভাগার নাম হলো ইমরুল।
বিশেষ করে সৌম্যের ধারাবাহীক ব্যর্থতার পরও যদি ইমরুল দলে সুযোগ না-ই পান তাহলে তাকে খরচ করে দলের সঙ্গে রাখা কেন। সোহানের বেলায়ও একই প্রশ্ন প্রযোজ্য। ভারতের হিসাবটা আলাদা। টি-২০ এমনিতেই তারা শক্তিশালী দল। যদিও সফরে দ্বিতীয় সারির ভারতকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলেও বাকি তিন ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়ে নিজেদের জানান দিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। নিশ্চিত ভাবে আজকের ম্যাচে তারাই ফেভারিট। ভারতের দিনেশ কার্তিক অবশ্য প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে ‘বিপজ্জনক’ দল হিসেবে আখ্যা দেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোন ম্যাচই কঠিন বলে মনে করেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
ফাইনাল। এবার পারবেন তো মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা? পারলে বড় একটি স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশেরÑ ত্রিদেশীয় কোন সিরিজে প্রথম শিরোপা জয়। কিন্তু আশার মাঝেও শঙ্কার বিষয় হলো, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ভারতকে কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
তার মানে এই নয় যে আগে পারেনি বলে আর পারা যাবে না। চলতি টুর্নামেন্টই এক্ষেত্রে হতে পারে প্রেরণার রসদ। সেই রসদ নিয়েই আজ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে সাকিব বাহিনী।
টি-টোয়েন্টি আর প্রতিপক্ষ ভারত, এই দুটি শব্দ একত্রিত করলেই একটি হতাশার চিত্র ফুটে ওঠে টাইগার ক্রিকেট প্রেমিকদের মনপটেÑ ব্যাঙ্গলুরুর সেই ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ। যে ম্যাচে জয়ের জন্য ৩ বলে প্রয়োজনীয় ২ রান নিতে ব্যর্থ হন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।
চাপ সামলাতে না পেরে দুজনই আউট হন বাজে শট খেলে। বাংলাদেশ হেরে যায় ১ রানে। তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তখন শিষ্যদের বুঝিয়েছিলেন, ব্যথা ভুলে ঐ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে। দলপতি সাকিবও ঐ ম্যাচের স্মৃতি হাতড়ে সম্প্রতি বলেন, ‘সবাই ভুল থেকেই শেখে। বেঙ্গালুরু আমাদের কাছে শিক্ষা ছিল কিভাবে জিততে হয়। আমি মনে করি এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন আমরা সচেতন।’
প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে এই মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক এখন অনেক পরিণত। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার দিক্ষায় দিক্ষিত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যাকে বলে। আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে তাকালেই তা বোঝা যায়। বোঝা যায় সেদিনের শিক্ষাটা কাজে দিয়েছে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে। তৃতীয় ম্যাচে ২১৪ রানের রেকর্ড তাড়া করার দিনে শেষ ওভারের নায়ক মুশফিক।
আর মাহমুদউল্লাহর বীরত্বে সদ্য জয়স্মৃতি তো আরো টাটকা। উত্তেজনার বারুদে ঠাসা ম্যাচে শেষ চার বলে ১২ রানের দুরহ সমীকরণ কি ধীর শান্ত অথচ অবিচল ভঙ্গিমায়-ই না মিলিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ।
অথচ বিধ্বস্ত এক দল নিয়ে নিদাহাস ট্রফি খেলতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। যাদের চোখে মুখে ছিল ঘরের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে এই শ্রীলঙ্কার কাছেই হারের হতাশা। এরপর লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-২০ সিরিজেও বরণ করতে হয় একই পরিণতি। এরই মাঝে দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে যেন আরো দিকভ্রন্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
যে কারণে সিরিজের শুরুটাও হয় একেবারেই নড়বড়েভাবে। ভারতের কাছে একপ্রকার আত্মসমর্পণ করতে হয় মাহমুদউল্লার দলকে। কিন্তু পরাজয়ের ভারে ক্লান্ত দরটির ঘাড়ে হঠাৎ করেই যেন অশরীরী ভর করে। যে দলটি কখনো দুইশ রানই করতে পারেনি তারাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায় ২১৫ রানের রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করে। সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হার। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই সাম্প্রতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ও নাটকীয় জয়। এই বাংলাদেশকে তাই কোনভাবেই সিরিজ শুরুর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে মেলানো যাবে না।
সাকিব-তামিমদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে বিসিবি প্রধানের ঘোষণাও। ফাইনাল নিশ্চিত করায় দলকে কোটি টাকার বোনাসের ঘোষনা দিয়েছেন। ফাইনাল জিতেতে পারলে সেটা আরো বাড়বে বলে জানান নাজমুল হাসান পাপন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে লড়াই করে দেশের বাইরে ফাইনালে উঠে আসা আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার। কালকের (পরশু) ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের জন্য একটা বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, সিরিজ এখনো শেষ হয়নি। আসল খেলাটাই আগামীকাল (আজ)। ওখানে যদি ভালোভাবে খেলতে পারে, তাহলে বোনাস আরও বাড়বে। আপাতত খেলোয়াড়দের জন্য এক কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ তো গেল খেলোয়াড়দের কথা। কিন্তু শক্তিশালী ভারতের কথা বিবেচনায় এনে একাদশে কি কোন পরিবর্তনের কথা ভাবছেন টিম ম্যানেজমেন্ট? এক্ষত্রে প্রথমেই চলে আসবে সৌম্য-সাব্বিরের প্রসঙ্গ। সাব্বির দুই ম্যাচে মুটামুটি রান পেলেও প্রতি ম্যাচেই তার আউট হওয়ার ধরণ ছিল চোখে বিধার মত। সৌম্যের ব্যাপারটা ছিল আরো দৃষ্টিকটু।
আর লিটনের ব্যাপারটা মেলানো যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রচলিত একটি প্রবাদ থেকে- ‘এক ম্যাচ ভালো খেলেছ মানে তুমি আরো দশ ম্যাচ একাদশে নিশ্চিত’। লিটন এর বাস্তব ও সদ্য উদাহরণ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯ বলে ৪৩ রানের টিকিটই তাকে সিরিজের পরবর্তি ম্যাচেগুলোর নিশ্চয়তা দিয়ে রেখেছে। অথচ বাকি ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে তাড়াহুড়ো আর কান্ডজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হওয়াটার বিষয়টি নিশ্চয় সবার চোখে পড়তে বাধ্য। এই প্রবাদ অবশ্য একজনের বেলায় খাটে না। সেই দুর্ভাগার নাম হলো ইমরুল।
বিশেষ করে সৌম্যের ধারাবাহীক ব্যর্থতার পরও যদি ইমরুল দলে সুযোগ না-ই পান তাহলে তাকে খরচ করে দলের সঙ্গে রাখা কেন। সোহানের বেলায়ও একই প্রশ্ন প্রযোজ্য। ভারতের হিসাবটা আলাদা। টি-২০ এমনিতেই তারা শক্তিশালী দল। যদিও সফরে দ্বিতীয় সারির ভারতকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলেও বাকি তিন ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়ে নিজেদের জানান দিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। নিশ্চিত ভাবে আজকের ম্যাচে তারাই ফেভারিট। ভারতের দিনেশ কার্তিক অবশ্য প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে ‘বিপজ্জনক’ দল হিসেবে আখ্যা দেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোন ম্যাচই কঠিন বলে মনে করেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
সেবা ডেস্ক:
- একেই বলে সমানে সমানে লড়াই। পেন্ডুলামের মত দুলেছে ম্যাচের ভাগ্য। দর্শক
পেয়েছে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় মজেছে দর্শকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ী হলো
টিম টাইগার। কানায় কানায় পরিপূর্ণ প্রেমাদাসার গ্যালারির সামনে স্বাগতিক
শ্রীলঙ্কাকে কাঁদিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল টিম টাইগার। ২
উইকেটের এই জয়ে আগামী ১৮ মার্চ শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে সাকিব
আল হাসানের দল।
কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিমের উড়ন্ত সূচনার পর ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে কোনো রান না করেই ক্যাচ দেন লিটন দাস। অনেকদিন পর তিন নম্বর পজিশনে দেখা যায় সাব্বির রহমানকে। কিন্তু আবারও ব্যর্থ হন তিনি। ৮ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে ধনাঞ্জয়ার বলেই স্টাম্পড হয়ে যান তিনি। ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তামিম-মুশফিক। কিন্তু আজ আর ইনিংস বড় করতে পারেননি 'মি. ডিপেন্ডেবল'। ২৫ বলে ২৮ রান করে অপোনসোর বলে পেরেরার তালুবন্দি হন।
৪১ বলে ৪টি চার এবং ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু ৫০ রানেই গুনাথিলাকার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। সৌম্য সরকার যথারীতি ব্যর্থ। ১১ বলে ১০ রান করে জীবন মেন্ডিসের বলে সেই উইকেটের পেছনেই ধরা পড়েন। পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হাল ধরার চেষ্টা করেও উদানার বলে ধনাঞ্জয়ার তালুবন্দি হন অধিনায়ক সাকিব (৭)।
মেহেদী মিরাজকে নিয়ে লড়াই শুরু করলেন মাহমুদ উল্লাহ। কোনো রান না করেই রান-আউট হয়ে যান মিরাজ। গ্যালারিতে লঙ্কান সমর্থকেরা 'নাগিন নৃত্য' নেচে উদযাপন শুরু করে দেয়। গত ১০ মার্চ তাদের হারিয়ে এই নাচটাই নেচেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বলটি নো বল কিনা এই নিয়ে বিবাদ শুরু হয় দুই দলে। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান সাকিব। আবারও শুরু হয় খেলা।
এর আগে নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে বিপদে পড়ে যায় তারা। দলীয় ১৫ রানেই ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা টাইগার ক্যাপ্টেনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন দানুশকা গুনাথিলাকা (৪)। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব 'কাটার মাস্টার' মুস্তাফিজুর রহমানের। তার বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন অপর ওপেনার কুশল মেন্ডিস (১১)।
উইকেটে সেট হওয়ার আগেই মেহেদী মিরাজের কৃতিত্বে রান-আউট হয়ে যান উপুল থারাঙ্গা। তিনি ৫ বলে মাত্র ৫ রান করেছেন। টুর্নামেন্টে বেশ ভালো খেলে চলা দাসুন শানাকা গোল্ডেন ডাক মেরে পরিণত হয়েছেন মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে। কাটার মাস্টারের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। ৩২ রানে ৪ উইকেট পতনের পর মঞ্চে আবারও মিরাজ। আগের উইকেটটা রান-আউট হওয়ায় তার নামের পাশে যোগ হয়নি। এবার জীবন মেন্ডিসকে (৩) মুস্তাফিজের তালুবন্দি করে উইকেটটি নিজের নামের পাশে লেখান এই অল-রাউন্ডার।
এমতাবস্থায় থিসারা পেরেরা আর কুশল পেরেরা মিলে হাত খুলে মারতে থাকেন। ৪১ রান থেকে দুজনে মিলে দলের স্কোরকে একশ পার করেন। ৩২ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল। তাকে ব্যক্তিগত ৬১ রানে মেহেদী মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। অপর হাফ সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক থিসারা পেরেরা ৩৭ বলে ৫৮ রান করে রুবেলের শিকার হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৯ রান।
এই ম্যাচে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি টাইগার একাদশে। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে জায়গা দিতে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন গত ম্যাচে সুযোগ পাওয়া পেসার আবু হায়দার রনি। অন্যদিকে লঙ্কান একাদশে এসেছে দুটি পরিবর্তন। দলে এসেছেন ইসুরু উদানা এবং আমিলা অপনসো। এই দুইজনকে জায়গা দিতে বাদ পড়তে হয়েছে পেসার সুরঙ্গা লাকমাল এবং দুশ্মন্ত চামিরাকে।
কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিমের উড়ন্ত সূচনার পর ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে কোনো রান না করেই ক্যাচ দেন লিটন দাস। অনেকদিন পর তিন নম্বর পজিশনে দেখা যায় সাব্বির রহমানকে। কিন্তু আবারও ব্যর্থ হন তিনি। ৮ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে ধনাঞ্জয়ার বলেই স্টাম্পড হয়ে যান তিনি। ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তামিম-মুশফিক। কিন্তু আজ আর ইনিংস বড় করতে পারেননি 'মি. ডিপেন্ডেবল'। ২৫ বলে ২৮ রান করে অপোনসোর বলে পেরেরার তালুবন্দি হন।
৪১ বলে ৪টি চার এবং ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু ৫০ রানেই গুনাথিলাকার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। সৌম্য সরকার যথারীতি ব্যর্থ। ১১ বলে ১০ রান করে জীবন মেন্ডিসের বলে সেই উইকেটের পেছনেই ধরা পড়েন। পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হাল ধরার চেষ্টা করেও উদানার বলে ধনাঞ্জয়ার তালুবন্দি হন অধিনায়ক সাকিব (৭)।
মেহেদী মিরাজকে নিয়ে লড়াই শুরু করলেন মাহমুদ উল্লাহ। কোনো রান না করেই রান-আউট হয়ে যান মিরাজ। গ্যালারিতে লঙ্কান সমর্থকেরা 'নাগিন নৃত্য' নেচে উদযাপন শুরু করে দেয়। গত ১০ মার্চ তাদের হারিয়ে এই নাচটাই নেচেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বলটি নো বল কিনা এই নিয়ে বিবাদ শুরু হয় দুই দলে। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান সাকিব। আবারও শুরু হয় খেলা।
এর আগে নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে বিপদে পড়ে যায় তারা। দলীয় ১৫ রানেই ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা টাইগার ক্যাপ্টেনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন দানুশকা গুনাথিলাকা (৪)। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব 'কাটার মাস্টার' মুস্তাফিজুর রহমানের। তার বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন অপর ওপেনার কুশল মেন্ডিস (১১)।
উইকেটে সেট হওয়ার আগেই মেহেদী মিরাজের কৃতিত্বে রান-আউট হয়ে যান উপুল থারাঙ্গা। তিনি ৫ বলে মাত্র ৫ রান করেছেন। টুর্নামেন্টে বেশ ভালো খেলে চলা দাসুন শানাকা গোল্ডেন ডাক মেরে পরিণত হয়েছেন মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে। কাটার মাস্টারের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। ৩২ রানে ৪ উইকেট পতনের পর মঞ্চে আবারও মিরাজ। আগের উইকেটটা রান-আউট হওয়ায় তার নামের পাশে যোগ হয়নি। এবার জীবন মেন্ডিসকে (৩) মুস্তাফিজের তালুবন্দি করে উইকেটটি নিজের নামের পাশে লেখান এই অল-রাউন্ডার।
এমতাবস্থায় থিসারা পেরেরা আর কুশল পেরেরা মিলে হাত খুলে মারতে থাকেন। ৪১ রান থেকে দুজনে মিলে দলের স্কোরকে একশ পার করেন। ৩২ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল। তাকে ব্যক্তিগত ৬১ রানে মেহেদী মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। অপর হাফ সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক থিসারা পেরেরা ৩৭ বলে ৫৮ রান করে রুবেলের শিকার হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৯ রান।
এই ম্যাচে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি টাইগার একাদশে। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে জায়গা দিতে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন গত ম্যাচে সুযোগ পাওয়া পেসার আবু হায়দার রনি। অন্যদিকে লঙ্কান একাদশে এসেছে দুটি পরিবর্তন। দলে এসেছেন ইসুরু উদানা এবং আমিলা অপনসো। এই দুইজনকে জায়গা দিতে বাদ পড়তে হয়েছে পেসার সুরঙ্গা লাকমাল এবং দুশ্মন্ত চামিরাকে।

সেবা ডেস্ক: নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ১৭ রানে ইন্ডিয়ার জয় লাভ। শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ওভার শেষে তিন উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত।
ভারতের প্রথম উইকেটের পতন হয় ১০ম ওভারের পঞ্চম বলে। দলীয় ৭০ রানে ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙতে সক্ষম হন রুবেল হোসেন। ২৭ বল থেকে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কার মারে ৩৫ রান করা ধাওয়ানকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। এরপর শেষ ওভারে বাকি দুটি উইকেটের পতন ঘটে। শেষ ওভারের প্রথম বলে ৩০ বলে ৪৭ করা রায়না সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন। অপরদিকে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন রোহিত শর্মা। ৬১ বল থেকে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মারে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রোহিত। ২৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন রুবেল। জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানে লিটন দাস (৭) আউট হয়ে যান। এরপর তামিম কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ৩৫ রানে ওয়ানডাউনে নামা সৌম্য ফিরে যান মাত্র ১ রান করে। আর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম আউট হন। ১৯ বল থেকে চারটি চার ও একটি ছক্কার মারে তামিম করেন ২৭ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক জুটি বেঁধেছিলেন। তবে দলীয় ৬১ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলে বাংলাদেশের জন্য সমীকরণ কঠিন হতে থাকে। মুশফিক-সাব্বির জুটি এরপর একটা আশা জাগিয়েছিলেন। তবে দলীয় ১২৬ রানে সাব্বির (২৭) আউট হওয়ার পর ম্যাচ হাতছাড়া হতে থাকে টাইগারদের। মুশফিক একপ্রান্তে লড়লেও অন্যপ্রান্ত থেকে সহায়তা পাননি। শেষ ওভারে মিরাজও আউট হয়ে যান ৭ রান করে। মুশফিক ৫৫ বল থেকে ৮টি চার ও একটি ছক্কার মারে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান ৭২ রান করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন মুশফিক।
-

গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে রণকেলী উত্তর যুব সমাজের উদ্যোগে শুক্রবার বিকাল ৩টায় রণকেলী মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্টিত হয়।
তরুন সমাজকর্মী মোতাহার হোসেন সামাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা জাহেদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর যুবলীগ নেতা রাসেল আহমদ, মতিউর রহমান মতি, রফিক আহমদ, উপজেলা যুবলীগ নেতা শেখ রাসেল আহমদ, রনকেলী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতির সভাপতি আবিদ হোসেন ছিদ্দিকী।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী ফয়জুর রহমান, জয়নাল আহমদ, মনাফ মিয়া, নুরুল আহমদ প্রমুখ।
খেলায় রনকেলী ফ্রেন্ড স্টার ক্রিকেট একাদশ বনাম মান্না ক্রিকেট একাদশ মুখামুখি হয়।
রণকেলী ফ্রেন্ড স্টার ক্রিকেট একাদশ ৭ উইকেটে জয় লাভ করে। খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেনে অতিথিরা।
সেবা ডেস্ক:
- হাঁটুর
ইনজুরিতে পড়েছেন সুপারস্টার শহীদ আফ্রিদি। এ কারণে অন্তত ১০ দিন তিনি মাঠ
থেকে দূরে থাকবেন। আর এতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেল করাচি কিংস।
কারণ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আপাতত আর খেলা হচ্ছে না তার। আফ্রিদির মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এমআরআই স্ক্যানে আফ্রিদির হাঁটুতে ইনফেকশন ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আর তা কমপক্ষে ১০ দিন। এ সময়ে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তিনি জানান, কয়েকদিন পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কবে নাগাদ এ অলরাউন্ডার খেলায় ফিরবেন। এদিকে, এমন খবরে মর্মাহত করাচি কিংসও।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, এমআরআই স্ক্যানে দেখা গেছে আফ্রিদির ডান হাঁটুর মাংসপেশী সামান্য ফুলে গেছে। সেরে উঠতে কমপক্ষে১০ দিন সময় লাগবে।
কর্মকর্তারা বলেন, যদি এমনটি হয়, তাহলে টুর্নামেন্টের বড় অংশ মিস করবেন আফ্রিদি। প্লে-অফে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ককে। তবে তারা এ অলরাউন্ডারের ফেরা নিয়ে আশাবাদী।
কারণ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আপাতত আর খেলা হচ্ছে না তার। আফ্রিদির মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এমআরআই স্ক্যানে আফ্রিদির হাঁটুতে ইনফেকশন ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আর তা কমপক্ষে ১০ দিন। এ সময়ে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তিনি জানান, কয়েকদিন পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কবে নাগাদ এ অলরাউন্ডার খেলায় ফিরবেন। এদিকে, এমন খবরে মর্মাহত করাচি কিংসও।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, এমআরআই স্ক্যানে দেখা গেছে আফ্রিদির ডান হাঁটুর মাংসপেশী সামান্য ফুলে গেছে। সেরে উঠতে কমপক্ষে১০ দিন সময় লাগবে।
কর্মকর্তারা বলেন, যদি এমনটি হয়, তাহলে টুর্নামেন্টের বড় অংশ মিস করবেন আফ্রিদি। প্লে-অফে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ককে। তবে তারা এ অলরাউন্ডারের ফেরা নিয়ে আশাবাদী।
সেবা ডেস্ক:-গুঞ্জন ছিল অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এখনো তার ফেরার আশায় অনেকেই। কিন্তু যে অধ্যায় তিনি শেষ করে এসেছেন সেখানে
আর ফিরে যেতে চান না। তবে শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফিতে যে দল ঘোষণা হয়েছে
তাদের প্রতি আস্থা রাখতে চান বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি
মনে করেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দূর হতে জয়ের কোনো বিকল্প
নেই। তবে তিনি এও চান না দল কোনো চাপ নিয়ে খেলুক।
গতকাল দৈনিক মানবজমিনের স্পোর্টস রিপোর্টার ইশতিয়াক পারভেজের
কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে মাশরাফি তুলে ধরেছেন নিজের অবস্থানের নানা কথা।
সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো- প্রশ্ন: সবাই আশায় ছিল আপনি টি-টোয়েন্টিতে ফিরবেন? মাশরাফি:
যে অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে তা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আর আমি নিজেও কোথাও
বলিনি যে ফিরবো। এখন দল শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে, সবাই দোয়া করেন সেখানে যেন
ছেলেরা ভালো করতে পারে।
প্রশ্ন: যে দল আছে সেখানে পেস বিভাগ আপনাকে ছাড়া কতটা শক্তিশালী?
মাশরাফি: আমি মনে করি না দুর্বল। ঠিকই আছে। কারণ মোস্তাফিজ, রুবেল ও তাসকিন বেশ অভিজ্ঞ। বিশেষ করে রুবেল তো অনেক দিন থেকে বাংলাদেশ দলে খেলছে ওর অভিজ্ঞতা আরো বেশি। এছাড়াও নতুনদের মধ্যে রনি (আবু হায়দার) ও রাহী (আবু জায়েদ) দু’জন আছে। এটাই সুযোগ নতুনদের পরখ করে নেয়ার। আশাকরি ভালো করবে।
তবে আমি মনে
করি ওদের উপর চাপ দেয়া ঠিক হবে না। কারণ দলের অবস্থা একটু অস্থির। আবার
এখনো জানি না সাকিবের কী অবস্থা হবে! আবার এটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সব
মিলিয়ে একটু কঠিনই হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ১-২ ম্যাচ জিতে গেলে
পরিস্থিতি বদলে যাবে। গেল কয় মাস ধরে যা চলছে সেখান থেকে দ্রুত বের হয়ে আসা
উচিত।
প্রশ্ন: সাকিবের অভাব নিয়ে খুব বেশি আলোচনা মানসিক চাপ তৈরি করছে কিনা?
মাশরাফি: আসলে কঠিন সময়ে ব্যাপারটা হয় কি দলের অভিজ্ঞ ও সেরা ক্রিকেটাররা থাকলে বেশ সুবিধা হয়। আর সাকিবের যে অভিজ্ঞতা সেটি দলে আর কারো নেইও। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অভিজ্ঞতা সবার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ ও যেসব বড় বড় ম্যাচ খেলেছে সারা বিশ্বে সেগুলো অনেক বেশি মেটার করে। কারণ অভিজ্ঞতা একটা বিষয় যা কিনতে পাওয়া যায় না।
অভিজ্ঞতা ধীরে ধীরে নিজের অর্জন করতে হয়।
হ্যাঁ কিছু ম্যাচ সাকিব খেলতে পারেনি আমরা জিতেছি ঠিক আছে। আবার সাকিব ছিল
না বলে ২২০ তাড়া করে আমরা ফাইনালে জিততে পারিনি সেটিও মানার মতো নয়। তবে
সাকিবের থাকাটা অনেক বড় বিষয়। ওর দলে থাকাটাই কিন্তু দলের জন্য বাড়তি
পাওয়া। আসলে ফলাফল আসেনি বলেই সাকিবের অনুপস্থিতিটা আমাদের ভোগাচ্ছে। তবে
এসব নিয়ে চাপ নেয়ার কিছুই নেই।
প্রশ্ন: আপনি সব সময় বলতেন সাথে একজন ব্যাটসম্যানের অভাবের কথা। আরিফুলকে দিয়ে সেটি কতটা পূরণ করা সম্ভব? মাশরাফি: এখনই তো আমাদের নতুনদের পরীক্ষা করে নেয়ার সময়। ২০২০ বিশ্বকাপের দিকে তাকান সেখানে কিন্তু আমাদের এমন একজনকে দরকার যে শেষ মুহূর্তে নেমে টার্গেট তাড়া করে ১০-১৫ বলে ৩০-৪০ রান করে দিয়ে আসবে।
আবার আগে ব্যাট করলেও শেষ
দিকে দ্রুত কিছু রান তুলে বড় টার্গেট দিয়ে আসবে। এমন একজন ব্যাটসম্যান এখনই
দেখার সময়। আপনি যদি আরো এক বছর পর খুঁজতে যান তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে।
আমি মনে করি এটি খুবই ভালো পদক্ষেপ যে কিছু ক্রিকেটারকে টি-টোয়েন্টির জন্য
তৈরি করা। বিশ্বের যে কোনো দলের দিকে তাকান যেমন শ্রীলঙ্কায় থিসারা পেরেরা
আছে, ভারতে হারদিক পান্ডিয়া আছে। এ জয়গাতে আমাদের অনেক বড় ঘাটতি। এখানে
আরিফুলরা যদি ফিট হতে পারে তাহলে দলের জন্য ভালো। টি- টোয়েন্টিতে আমাদেরও
ভালো করার সুযোগ তৈরি হবে। তবে ওদের সময় দিতে হবে।
প্রশ্ন: দলের তরুণদের ডিসিপ্লিন নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। বিশেষ করে সাব্বিরের বিষয়ে। আপনার তাদের প্রতি কোনো বার্তা আছে ?
প্রশ্ন: দলের তরুণদের ডিসিপ্লিন নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। বিশেষ করে সাব্বিরের বিষয়ে। আপনার তাদের প্রতি কোনো বার্তা আছে ?
মাশরাফি: ছোট বেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি খেলোয়াড়দের জীবনে অনেক ডিসিপ্লিন থাকতে হয়। আমি মনে করি শুধু খেলোয়াড়দের জীবনেই নয় প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে ডিসিপ্লিন না হলে চলে না। আমি কারো নাম বলতে চাই না। আমি মনে করি, আমার নিজের থেকে শুরু করে সবারই শৃঙ্খলা থাকা উচিত। তাহলে বড় মানুষ ও বড় ক্রিকেটার হওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: দলের পেসারদের ভুলগুলো নিয়ে আপনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কিনা?
মাশরাফি: আমি এখন খেলছি, কোচিংটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু রুবেল থেকে শুরু করে সতীর্থ সবার সঙ্গেই আমি ভুল ত্রুটিগুলো আলোচনা করি। এর বাইরে কোচেরা আছেন তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে বলি। আমি যতক্ষণ কাছে থাকি চেষ্টা করি নিজের ভুলগুলোও সবার সঙ্গে আলোচনা করে শুধরে নিতে। এটি প্রতিটি বোলারেরই উচিত নিজেদের ভুলগুলো এখনই ঠিক করে নেয়ার।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে পেসারদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা? মাশরাফি: ইচ্ছা থাকতেও পারে। সবাই বলে, ভবিষ্যতের চিন্তা জ্ঞানীরা করে রাখে। তবে আমি করি না। সময় হলে দেখবো কি করা যায়।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াইয়ের কৌশল কী হওয়া উচিত?
মাশরাফি: যেহেতু খেলাটা টি-টোয়েন্টি তাই আমি বলবো প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। আর আমিও বড় কিছু আশা করছি না। কারণ আমি আশা করলে ওদের উপর একটা চাপ পড়বে। আমি চাই না ওরা কোনো কিছু ভেবে চাপ নিয়ে মাঠে নামুক। আমি টিভিতে খেলা দেখবো, আশাকরি ওরা ভালো করবে। দলের প্রতি আমার শুভ কামনা।
প্রশ্ন: বর্তমান পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বের হওয়া সম্ভব?
মাশরাফি: আসলে এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এখন বাংলাদেশের মানুষ আশা করে আমরা মাঠে নামলে জিতবো। তাই দেখবেন ১-২টা ম্যাচ জিতলেই পরিস্থিতি সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রশ্ন: টেস্টে ফেরার ভাবনা কতটা আছে?
মাশরাফি: আমিতো টেস্টে ফিরতেই চাই। কিন্তু বললেই তো হলো না। আমাকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে প্রমাণ করতে হবে যে আমি কতটা ফিট আছি। তারপরই তো নির্বাচকরা আমাকে নিয়ে ভাববে

কিন্তু এই সিরিজ নিয়ে ভারতের কোনো টেনশন নেই।
তারা রিলাক্স মুডেই খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কায়। অধিনায়ক বিরাট কোহলির পাশাপাশি বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রীত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে! বলতে গেলে দ্বিতীয় সারির এক দল নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাবে ভারত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আসন্ন সিরিজে বিরাট কোহলির জায়গায় ভারতকে নেতৃত্ব দিতে পারেন রোহিত শর্মা। এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোহিতই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতিয়েছিলেন ভারতকে।
কোহলি ছুটি নিয়েছিলেন বিয়ের জন্য। যদিও সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রোহিত ভালো না করতে পারলেও কোহলির অনুপস্থিতিতেই তাই রোহিতের উপরই আস্থা রাখতে পারেন নির্বাচকরা।এদিকে চন্দিকা হাথুরুসিংহের কোচিংয়ে বাংলাদেশের মাটিতে টানা তিনটি সিরিজ জিতে এখন উজ্জীবিত শ্রীলঙ্কা।
তবুও তাদের পাত্তা দিচ্ছে না ভারত। অন্যদিকে উল্টো অবস্থা বাংলাদেশ শিবিরে। হারতে হারতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ এখন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। জানা গেছে, ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য রবিবারই দল ঘোষণা করতে পারে এম এস কে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচকমণ্ডলী। ৬ মার্চ থেকে শুরু হবে এই সিরিজ

সিরিজ শেষে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসলসহ টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে গোটা সিরিজের ময়নাতদন্তে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গতকালই থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
বিকালে ধানমন্ডির বেক্সিমকো তিনি মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। এমন বাজে হারের কারণ ও করণীয় নিয়ে কথা বলেন।বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘একটা টিম হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে না। এটা বাংলাদেশ দল আমার কাছে মনেও হয়নি। ইনফ্যাক্ট ফাইনাল খেলার দিন আমার মনটা একেবারে ভেঙেই গেছে। ২২০ শ্রীলঙ্কার সাথে করতে পারবো না! হতে পারে হাথরুসিংহে নেই। এটার জন্য ২২০ করতে পারব না! ৩২০ তো আর না। আমাদের মাঠে ২২০ করতে পারবো তা হতে পারে না।’
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দল গুটিয়ে যায় ১৪২ রানে। নাজমুল হাসানের মতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে টাইগারদের অসহায় আত্মসমপর্ণনের প্রভাব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পড়েছে। ‘ওই ম্যাচের পর মনোবল অনেকটা ভেঙে গেছে। মনোবলতো কাউকে গঠন করতে হবে।’
সাকিব, তামিম না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু সাকিবকে ছাড়া খারাপ খেলিনি। তামিম প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেনি তারপরও কিন্তু রান খারাপ করিনি।
ওদের ছাড়া যে খেলা যাবে না কিংবা এতে যে মোরাল ভেঙে যাবে সেটা হতে পারে না। টিমকে কখনোই মনে হয়নি ওরা জিততে চাচ্ছে। কখনোই মনে হয়নি ওরা জিতবে।’ তিনি বলেন, আমাদের স্কিল নিয়ে সমস্যা ছিল না। সমস্যা মনে হয়েছে মাইন্ডসেট ও স্ট্র্যাটেজিতে।
বিসিবি সভাপতি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফেরানোর বিষয়ে জোর দেন। মাশরাফির শুধু নেতৃত্বই নয় তার পেস আক্রমণটাও যে এখন দলের জন্য প্রয়োজন। তাই আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় নিদাহাস ট্রফির দলে ফিরতে মাশরাফিকে অনুরোধ করা হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য আমরা মাশরাফিকে অনুরোধ জানাবো।
নতুন বলে আসলে সে বাংলাদেশের সেরা বোলার। তাই তাকে ফেরাতে চাইছি। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে তার মতামতের ওপর।’
গেল বছর শ্রীলঙ্কা সফরে সিরিজে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে নেতৃত্বই নয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মাশরাফি। অবশ্য পরে জানা গেছে সে সময় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়াতে বোর্ডের চাপেই মাশরাফি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে সেই মাশরাফিকে এখন দলের প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বোর্ড সভাপতি। কিন্তু মাশরাফি ফিরবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি। আগামী ৬ই মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কায় বসতে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
এ সিরিজে অংশ নিবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত। আর এ সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ ক্যাম্প শুরুরও কথাও জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির জন্য ১৯ জনকে নিয়ে ক্যাম্প শুরু করতে বলেছি ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে। সেখানে পেসারদের নিয়ে আলাদা ভাবে কাজ করবেন কোচ কোটর্নি ওয়ালশ।’
‘শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই প্রধান কোচ’
মূলত প্রধান কোচ ছাড়া দলের যে বেহাল দশা তা অনুভব করেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান।
তাই কালবিলম্ব না করে আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই হেড কোচ নিয়োগ দিতে চাইছেন তিনি, ‘নিদাহাস কাপের আগেই কোচ নিয়ে আসতে চেষ্টা করছি। সামনে আইপিএল তাই এ মুহূর্তে ফুল টাইম কোচ পাওয়া কঠিন। তারপরেও হেড কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি আমরা মোটামুটি ফাইনাল করে ফেলেছি।’
দুই ম্যাচে ৬ জন নতুন ক্রিকেটারের অভিষেকটা দলের হোয়াইটওয়াশের কারণ মনে করেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
বোর্ড সভাপতির মতে এসবই যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে হয়েছে, যা পূরণে একজন হেড কোচই যথেষ্ট। ‘আমাদের লিডারশিপ ছিল না বলেই এই অবস্থা। তাই কোচ লাগবে। হাথুরুসিংহে ভালো ছিল। তাই বলে বিশ্বসেরা তো আর নয়। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে নিয়োগের কথা ভাবছি। কোচ ছাড়া হবে না। পেশাদার কোচ দরকার।’


বাঁশখালী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের 'বাঁশখালী উপজেলা ক্রিকেট একাডেমী'র উদ্যোগে বুধবার (৩১ জানুয়ারী) নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোস্তাফিজ কম্পিউটার এন্ড আউট সোর্সিং ট্রেনিং সেন্টার এর আয়োজনে নাপোড়া শাখার ক্রিকেট টুর্নামেন্ট'১৮ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্টান সম্পন্ন হয়। অনুষ্টানের শুভ উদ্বোধক ও প্রধান অথিতি ছিলেন দৈনিক ডেসটিনির বাঁশখালী প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা। বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক ও প্রধান কোচ মোহাম্মদ এরশাদের পরিচালনায় অনুষ্টানে এসময় প্রধান অথিতি খেলোয়াড়দের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে সুনাম কুড়িয়েছে। এর ধারাবাহিকতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। ভালো একজন খেলোয়াড় দেশের সম্পদ। তাই ভালো খেলোয়ার হতে হলে প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই। প্রধান কোচ ও পরিচালক বলেন, আমাদের বাঁশখালীর অনেক ছেলে বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমীতে সম্পৃক্ত হয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন টিমে খেলছে। এমনকি চট্টগ্রাম থেকে বাছাই করা খেলোয়াড়দের ২ জন এটিম থেকে মালয়শিয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুর্ধ ১৬ তে খেলতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আমরা বাঁশখালীতে মাঠের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা, যার দরুণ অনুশীলন করা কষ্ট সাধ্য হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রঞ্জিত কান্তি দেব দাশ, মো. আবুল কাশেম, ক্রিকেটার মো. আলী আকবর, আব্দুল মালেক সহ প্রমূখ।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ব্যাটের পুরুত্ব হবে ৬৭ মিলিমিটার, সেই সঙ্গে ব্যাটের প্রান্তগুলোর নির্ধারিত মাপ থাকবে ৪০ মিলিমিটার। মাঠে দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা বিশেষ এক ছাঁচের মাধ্যমে মাপবেন ব্যাটের পুরত্ব। মুশফিকের শঙ্কার কারণ হলো, ব্যাটগুলোর মাপ ঠিকমতো না হলে সমস্যায় পড়তে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়জিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এই টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘নতুন নিয়মগুলো জানি। যে কয়টা ব্যাট দিয়ে খেলেছি ওগুলো ঠিক হবে কিনা। এটাও একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়।’
আসন্ন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে আম্পায়ারদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা। কোনও ক্রিকেটার ‘ডিসিপ্লিনারি কোড’ ভাঙলে তাকে মাঠ থেকে বের করে দিতে পারবেন আম্পায়াররা। যার ফলে কমতে পারে স্লেজিংয়ের মতো ঘটনা। যদিও এতে স্লেজিং কমবে না বলে মনে করেন মুশফিক। তার মতে, অন্য কোনও উপায় ঠিকই আবিষ্কার হয়ে যাবে!
এ প্রসঙ্গে মুশফিকের ভাষ্য, ‘স্লেজিং কমতে পারে। তবে খুব যে কমবে, তা নয়। অনেক সময় ক্যামেরাতে পড়ে গেলে মাঠের বাইরে বের হয়ে যাওয়ার চান্স আছে। কেউ তো আর চাইবে না মাঠের বাইরে যেতে। আমার মনে হয় নিয়মের ভেতর থেকেই স্লেজিংটা হবে।’
এ ছাড়া টেস্ট-ওয়ানডের মত এখন থেকে টি-টোয়েন্টিতেও থাকবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। রিভিউ সিস্টেমের পাশাপাশি রান আউটের নিয়মেও এসেছে কিছু সংশোধনী। সব মিলিয়ে নতুন নিয়মগুলোর সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে চান অধিনায়ক মুশফিক, ‘যেহেতু নতুন, তাই একটু এদিক-ওদিক হতে পারে। চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেওয়া য়ায়। দ্রুত মানিয়ে নিতে পারলেই আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারব।’
আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশনে টস জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো সেই গুরুত্বপূর্ণ টস পরীক্ষায় বুধবারও হেরে গেছে বাংলাদেশ। আর টস জিতে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথামও প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা ভালেঅই হয়েছিল। গত শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৭০ রানে যেতে হারিয়েছিল ৪ উইকেট। সেখানে আজ বুধবার ডাবলিনের ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে তামিম ইকবার ও সৌম্য সরকার উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৭২ রান। দুজনের জমে যাওয়া জুটিতে যখন বড় কিছুর স্বপ্নই দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ, তখনই আঘাত। জেমি নিশামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে তামিম ক্যাচ তুলে দেন কলিন মুনরোর হাতে। তামিমের বিদায়ের পরপরই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন সাব্বির রহমানও। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬.৪ ওভারে ৭৯ রান।
স্লো ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি মাশরাফি। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি ফিরেছেন একাদশে। দলের নেতাকে জায়গা করে দিতে একাদশের বাইরে চলে যেতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। তবে রুবেল হোসেন আছেন একাদশে।
দুই দলের একাদশ :
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
নিউজিল্যান্ড : লুক রনকি, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), জর্জ ওয়ার্কার, রস টেলর, নিল ব্রুম, জেমস নিশাম, কলিন মুনরো, হাশিম ব্যানেট, মিশেল সান্তনার, সেথ রান্স, ইশ সোধি
কেআর
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরিত্যাক্ত হওয়া ম্যাচেও টসে হেরে ব্যাটিং পেয়েছিল বাংলাদেশ।
স্লো ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচের
নিষেধাজ্ঞা থাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি মাশরাফি। তার
পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে নিউজিল্যান্ডের
বিপক্ষে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি ফিরেছেন একাদশে। দলের নেতাকে জায়গা করে
দিতে একাদশের বাইরে চলে যেতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। অন্যদিকে একাদশে রয়েছেন
রুবেল হোসেন।
দুই দলের একাদশ :বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
নিউজিল্যান্ড : লুক রনকি, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), জর্জ ওয়ার্কার, রস টেলর, নিল ব্রুম, জেমস নিশাম, কলিন মুনরো, হাশিম ব্যানেট, মিশেল সান্তনার, সেথ রান্স, ইশ সোধি