সেবা ডেস্ক:  জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবী ও সুষ্ঠু স্বাধীনভাবে কাজ করার দাবীতে মানববন্ধন ও সামাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ঘন্টা ব্যাপি জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলার সকল কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদার সভাপতিত্বে মানববন্ধন শেষে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, পল্লীকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল হক জঙ্গি, মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি কাফি পারভেজ, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীল আলম, এশিয়ান টিভির জামালপুর প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, পল্লীর আলোর উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক কবি সাযয্‌াদ আনছারী, পল্লীর আলোর বার্তা সম্পাদক মোস'ফা মনজু, কালের কণ্ঠের জামালপুর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান চৌধুরী, বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী নাদিম, মেলান্দহ উপজেলা ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহাজামাল , দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম, ইসলামপুর প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম বাবুল, ইনকিলাবের ইসলামপুর প্রতিনিধি ফিরোজ খান লোহানী, পল্লীকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার হাজী আবুল হাসেম, সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সোলায়ন বাবু, সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংবাদিক নেতা জাকিরিয়া জাহাঙ্গীর, দৈনিক সাংবাদের সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, ভোরের কাগজের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন, দৈনিক করতোয়ার সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি তৌকির আহামেম্মদ হাসু প্রমুখ।

এ সময় বক্তরা জামালপুরের আইন শৃঙ্খলা পরিসি'তি অবনতির কথা উল্লেখ করে দ্রুত মোটরসাইকেল উদ্ধারের দ্রুত ব্যবস'া নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া জামালপুরে সাংবাদিকদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মাসে ৬ জন সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি হয়। গত ৯ জানুয়ারী  জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ঘরে জিম্মি করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিনতাই করে।

বকশীগঞ্জ : ডিএসএমএফ বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি জনাব মোঃ ফিরোজ আলম সাহেবের সভাপতিত্বে বকশীগঞ্জে ডেসটিনির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসএমএফ জামালপুর জেলা সহযোগী প্রতিনিধি জনাব মোঃ সুরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসএমএফ জামালপুর জেলা সহযোগী প্রতিনিধি জনাব মোঃ মঞ্জুরুল হক।

ডিএসএমএফ মাদারগঞ্জ থানা প্রতিনিধি জনাব মোঃ জিয়াকুব ইসলাম লিটু সাহেবের সভাপতিত্বে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা সহযোগী প্রতিনিধি জনাব মোঃ মাসুদ রানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাসেল মিয়া।

সরিষাবাড়ি থানা প্রতিনিধি মোঃ ওয়ালীউল্লাহ সাহেবের সভাপতিত্বে সরিষাবাড়ি বাজারে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসএমএফ জামালপুর জেলা প্রতিনিধি জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন জয়, বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব মোঃ সুরুজ্জামান, মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন জয় আগামী ১৪ই ডিসেম্বর কোম্পানির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সকলকে উদাত্ত আহ্ববান জানান। তিনি বলেন দীর্ঘ ৩টি বৎসর কোম্পানির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হোসাইন কে ছাড়াই অত্যন্ত্ কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়ে আসছে, আগামীতে যাতে মোঃ রফিকুল আমিন ও আলহাজ্ব মোঃ হোসাইনসহ কোম্পানির সকল পরিচালকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে পারি মহান রাব্বুল আলামিন এর নিকট এই পার্থনা জানান। 

বকশীগঞ্জ থানা প্রতিনিধি জনাব মোঃ ফিরোজ আলম এর সভাপতিত্বে ইসলামী ব্যাংকের নিচে ডিএসএমএফ বকশীগঞ্জ অফিসে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সানোয়ার হোসেন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মোঃ শাহিনুর ইসলাম, আব্দুল লতিফ সবুজ, রাকিবিল্লাহ, জালাল, সাহেদ, সুজন ঋষি। 

মাদারগঞ্জ থানা প্রতিনিধি জনাব মোঃ জিয়াকুব ইসলাম লিটু এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএসএমএফ জামালপুর জেলা প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন আল মাসুদ রিপন আনসারী। 

ইসলামপুর থানা প্রতিনিধি জনাব মোঃ বদরুজ্জামান বকুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএসএমএফ জামালপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম। 

দেওয়ানগঞ্জ থানা প্রতিনিধি জনাব মোঃ আব্দুস সাত্তার এর সভাপতিত্বে দেওয়ানগঞ্জ সুগারমিল বাজারে  অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসএমএফ জামালপুর জেলা প্রতিনিধি জনাব মোঃ নূরুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এস এম আশরাফুল আজম, ডাঃ মুক্তি আহমেদ। প্রধান অতিথি মোঃ নূরুজ্জামান খান ডেসটিনি সোস্যাল মিডিয়া ফোরাম এর সার্বিক দিক নিয়ে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। ডেসটিনির ক্রান্তিকালে কোম্পানির মুক্তির আন্দোলনে ডিএসএমএফ এর অবদান উল্লেখ করে ডিএসএমএফ কে আরও শক্তিশালী করার জন্য সকল পর্যায়ের ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের এক কাতারে এসে দাঁড়ানোর আহ্ববান জানান। উপস্থিত সকলকে ডেসটিনি ব্লাড ব্যাংক, ডেসটিনি নিউজ আপডেট, ডেসটিনি ইজ আওয়ার ডেসটিনি, মাই ডেসটিনি, ডেসটিনি নিউজ24 ও ডেসটিনি সোস্যাল মিডিয়া ফোরাম অনলাইন পেজ সম্পর্কে  আলোচনা করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মোঃ ওয়াহেদুল ইসলাম, মোঃ মনোয়ার হোসেন, মোঃ বাদশা মিয়া, মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রমূখ। 

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, জামালপুর প্রতিনিধি ঃ
মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি জামালপুর আশেক মাহামুদ কলেজের ৭০ বছর পুর্তিতে কলেজের শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনীতে অংশ নিতে জামালপুর আসছেন।
তার জামালপুর আসা কেন্দ্র করে নতুন রূপে সাজছে আশেক মাহামুদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। প্রতিটি গাছে গাছে করা হয়েছে আলোক সজ্জা। এ যেন আলোর ফোয়ারা।
রাস্ট্রপতি জামালপুর আগমন কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সরকারী উচ্চ পদস' কর্মকর্তারা দফায় দফায় সভা করে যাচ্ছেন। সরকারী গোয়েন্দা সংস'া গুলোও অত্যন্ত তৎপর।

রাষ্ট্রপতি আসাকে কেন্দ্র করে কলেজের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম এমপি।
মন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় পুরো কাজের তদারকী করছেন পুর্নমিলনী উৎযাপন কমিটির কো চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট বাকী বিল্লাহ।
আর সদস্য সচিব করা হয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট বাকী বিল্লাহ জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আগমন উপলক্ষে দলীয় ভাবে প্রস'তি সম্পন্ন হয়েছে। কলেজের বিভিন্ন সংস্কার করা হয়েছে।

কলেজ সৃষ্টির ইতিহাস
১৯৪৬ সাল। জামালপুর জেলার ইতিহাসে একটি গৌরবময় সময়। ঐ বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর কলেজ নামে যাত্রা শুরু করে। ঐতিহাসিক এ পথচলার পেছনের ইতিহাস আরও পুরনো।
১৮৪৫ সালে জামালপুরে মহকুমা স'াপনের পর ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে জামালপুরের তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আর সি দত্ত ও কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি জামালপুর শহর অঞ্চলে একটি কলেজ স'াপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এ উপলক্ষে ১৯৪০ সালে করোনেশন রিডিং ক্লাবে এক সভায় কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে একটি প্রাথমিক তহবিল গঠন করে। এছাড়াও অপর এক সভায় প্রত্যেক ইউনিয়নের  প্রেসিডেন্টকে ২০০ টাকা করে চাঁদা ধরা হয়। শুধু তাই নয়, এতদঞ্চলে সাধারণ জনগণও কলেজ স'াপনে এগিয়ে আসেন এবং সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেন। ফলে কলেজ স'াপনের প্রাথমিক তহবিল নিশ্চিত হয়।
১৯৪১ সালের ১০ই জুন প্রভিশনাল ওয়াকিং কমিটির সভায় সরকারি ইটখোলা (কৈ এর বিল) নামক স'ানে কলেজ স'াপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইটখোলা কলেজকে দান করার জন্য সরকারের নিকট দরখাস্ত দেওয়াার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন' ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে কলেজ স'াপনের কাজ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়।
১৯৪৪ সালের ৮ই ডিসেম্বর কলেজের সাংগঠনিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত সভায় কলেজের এফিলিয়েশন প্রাপ্তির জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দরখাস্ত প্রদান করার সিদ্ধান্ত হয়।
২৯/০৬/১৯৪৫ তারিখে ৩৮১৩/- টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাদানের পর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সরকারি ইটখোলার একত্রিশ একর জমি জামালপুর কলেজ দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা পায়। তৎকালিন জামালপুরে যে পাবলিক মেলা অনুষ্ঠিত হত সেখান থেকেও কলেজের জন্য ২০,০০০/- টাকা চাঁদা সংগ্রহ করা হয় এবং জেলা কমিটির দানের টাকা নিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়।

তৎকালীন জামালপুর মহকুমা এসডিও জনাব মোহাম্মদ পানাউল্লাহ আহাম্মদের প্রচেষ্টায় মাদারগঞ্জের দানবীর আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদার জামালপুরে কলেজ স'াপনের জন্য ৪০,০০০/- টাকা দান করেন। এ কারণে ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে জামালপুর কলেজকে আশেক মাহমুদ কলেজ নামকরণ করা হয়। এ সময় আরও কিছু ব্যক্তির নিকট থেকে কলেজের জন্য কয়েক একর জমি অনুদান পাওয়া যায়। এর ফলে আয়তনের দিক দেশের বৃহৎ কলেজগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম কলেজে পরিণত হয়।

১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ১৬০জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ জনাব আজিম উদ্দিন (এম.এ. ডাবল) এর নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি ও কলেজের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় সরকার ১৯৭৯ সালে কলেজটিকে জাতীয় করণ করে। জনাব মোঃ আলী আজম বি.কম.( অনার্স )এম.কম. এ সময়ে অধ্যক্ষ ছিলেন। অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আশরাফ উদ্দিন এর সময়ে (১৯৯২ সালে) বাংলা ও ব্যবস'াপনা বিষয়ে প্রথম অনার্স কোস চালু করা হয়।

বর্তমানে কলেজটিতে ১৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। পূর্বে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চারটি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু ছিল। প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর তাঁর এবং তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষক ও জামালপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ঐকান্তিক চেষ্টায় ২০১৫ সালে আরও ৭টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বর্তমানে ১১টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়নের পাশাপাশি কলেজচত্বর, অফিস, একাডেমিক ভবন সর্বত্র পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের ছোঁয়ায় আশেক মাহমুদ কলেজ হয়ে উঠেছে জামালপুর জেলার জ্ঞানাহরণ ও সৌন্দর্য অবলোকনের এক তীর্থভূমি।

সেবা ডেস্ক: 

জামালপুর প্রতিনিধি: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন যাচ্ছেন জামালপুর-৫ সদর আসনের নৌকার নতুন মাঝি জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেন সিআইপি। 

রবিবার দিনব্যাপী জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে-গ্রামে, বাড়ী-বাড়ী ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন এবং বিভিন্নস্থানে পথসভা করেন তিনি ও আওয়ামী লীগের তৃণমুল নেতৃবৃন্দসহ তার সমর্থকরা।

ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকালে এক পথ সভায় মোজাফফর হোসেন বলেন, আমাকে আপনাদের সেবা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকের মাঝি করে পাঠিয়েছেন। 

দন্ডপ্রাপ্ত আয়কর ফাকিঁর একটি মামলা আপিলে নিস্পত্তি না হওয়ায় জামালপুর-১ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জামালপুর-৪ আসনে সরিষাবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগ করলেও তা যথাযথ না হওয়ায় বিএনপির ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, একই আসনের আয়-ব্যয়ের উৎস ও হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ জোয়াদ্দার জামালপুর-৩ আসনে ঋন খেলাপির কারণে গণফোরাম প্রার্থী নঈম জাহাঙ্গীর, আয়-ব্যায়ের তথ্য না থাকায় বিকল্পধারার প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ, একই আসনে সমর্থকদের স্বাক্ষর জাল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: শফিকুর রহমান, দলীয় মনোনয়নপত্র না থাকায় জামালপুর-৫ আসনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ কবির। 

এছাড়া জামালপুরের ৫টি আসনে ৪১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন তিনি।

---

⇘সংবাদদাতা: লিয়াকত হোসাইন লায়ন

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর-১: আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন । তার প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শ ০৫ ভোট । নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাওলানা আব্দুল মজিদ পেয়েছেন ৫ হাজার ২ শ ২৪ ভোট।

জামালপুর-২ : আওয়ামীলীগ প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলাল নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন । তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৮০ হাজার ৪ শ ১৮ ।তার নিকটতম বিএনপির সুলতান মাহমুদ বাবু ধানের শীর্ষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭ শ ২১ ভোট ।

জামালপুর-৩: আওয়ামীলীগ প্রার্থী মির্জা আজম নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন  তার প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১ শ ২৮ । নিকটতম বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬ শ ৫৬ ভোট ।

জামালপুর-৪: আওয়ামীলীগের প্রার্থী ডা: মুরাদ হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন ।তার প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ১৭ হাজার ১ শ ৯৮।তার নিকটতম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মোখলেছুর রহমান বস্তু পেয়েছেন ১হাজার ৫ শ ৯৩ ভোট ।

জামালপুর-৫ : আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইনঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন ।তার প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯ শ ৯ ।তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট শাহ্ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন ধানের শীর্ষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ শ ৭৪ ভোট।

---

⇘সংবাদদাতা: জামালপুর প্রতিনিধি