
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিক আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পিকে হুমকি দিয়েছে পুলিশ এমন অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিকাল ৪ টায় সাংবাদিক আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পি ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদাদ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার প্রতিবেশী তারামিয়ার বাড়ির দেয়াল টপকে প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তদন্ত চিত্ত রঞ্জন রায় সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য । এরপর পুলিশ সদস্যরা তারা মিয়াকে আটক করে মাইক্রোবাসে নিয়ে ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়।
তারামিয়ার স্ত্রী তৎক্ষনাত প্রতিবেশি সাংবাদিক আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পীকে জানালে তিনি পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে উক্ত দোকানে সামনে যায় এবং সেখানে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সবিনয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তদন্ত চিত্ত রঞ্জন রায় হঠাৎ করে ওই সাংবাদিককে পরিচয় দিতে নিষেধ করে এবং এ ধরনের বিষয়ে 'টলারেট' করবেনা বলে হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগে সাংবাদিক আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পি বলেন পুলিশের অশুভ স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় তার সাথে খারাপ আচরন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ বলেন, পুলিশের কাছ থেকে এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) চিত্ত রঞ্জন রায় বিষয়টি অস্বিকার করেন।
উল্লেখ্য যে, সাংবাদিক আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছেন এবং তিনি ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি।
⇘সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ শিশু-কিশোরদের মাঝে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শিক্ষা ও চর্চার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই চলে ভোট গ্রহণ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪০৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ৯ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। নির্বাচন অবাদ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৬৭ নং শাপলা ১ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। টাঙ্গানো হয়েছে প্রার্থীদের পোস্টার। বিদ্যালয়ে মোট ৭টি পদের জন্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নির্বাচনে পানিসম্পদ মন্ত্রী, আপ্যায়ন মন্ত্রী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মন্ত্রী, পাঠ্যপুস্তক মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দিতা হয়। ৭ জন মন্ত্রীর মধ্য থেকে ১ জন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।
বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা সেজোতি ও জুসি আক্তার বলে, বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোট দিয়ে জয়ী করবে।
৬৭ নং শাপলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম নেছা বলেন, এ বছর নির্বাচনে শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবকদের মধ্যে অনেক বেশি উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মাসুদ রানা জানান,শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাশীল করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন করা হয়।
যেখানে মনোনয়নপত্র আহ্বান, জমা, বাছাই ও বৈধ প্রার্থীর তলিকা প্রকাশ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার থেকে শুরু করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ভোট গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি সব প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়। এই নির্বাচনে শিশুদের মধ্যে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যায়, তা প্রশংসনীয়।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন
জীবন রক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিজিবি: সংবাদ সম্মেলনে ৫০ বিজিবির পরিচালক

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভারতীয় ৫টি গরু জব্দ করার জেরে গত মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৩জন নিহতের ঘটনায় এখনও কোন মামলা না হলেও পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়েছে নিহতদের লাশ ।
বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় শোকের কালো ছায়া নেমে আসে বহরমপুর ও রুইয়া গ্রাম দুটিতে । নিহতদের পরিবারের লোকদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে বাতাস।
গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নিহতদের পরিবারকে লাশ দাফন কাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ডা. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিলাব্রত কর্মকারকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক । ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
অপরদিকে জব্দকৃত গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় চোরাকারবারি ও বিজিবি’র সদস্যদের মাঝে সংঘর্ষের হতাহতের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ৫০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বিজিবির লেজার ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চোরাকারবারিরা পরিকল্পনামূলক ভাবে জব্দকৃত গরু বিজিবির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবির সদস্যদের উপর চোরাকারবারিরা হামলা করলে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিজিবি। বিজিবির ছোড়া গুলিতে ৩ চোরাকারবারি নিহত হয় ও ৫ জন বিজিবির সদস্য আহত হয়।
তিনি আরো বলেন, উক্ত ঘটনায় ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এই ঘটনায় হরিপুর বেতনা সীমান্তের বহরমপুর ও রইয়া এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিজিবি সদস্যদের বিচার দাবি করেন নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলায় বিজিবি’র জব্দকৃত গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী ও বিজিবি'র সংঘর্ষের সময় গুলিতে ৩ জন নিহত ও ১৫ জন সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় ৫ জন বিজিবি’র সদস্য আহত হয়। সংঘর্ষে আহত বিজিবি সদস্যসহ গুলিবিদ্ধ অন্তত ১৫ জন গ্রামবাসীর চিকিৎসা চলছে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ সুগার মিলে আখ সরবরাহ করেও ন্যায্য টাকা না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আখ চাষিরা। সময়মতো চিনিকলে আখ সরবরাহ করলেও কয়েকমাস পার হলেও তার মূল্য পাননি তারা। আর চিনিকলে চাষিদের বকেয়া প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা । এ পাওনা টাকা আদায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
এদিকে, আখ বিক্রির টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ আখ চাষিরা দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধের দাবিসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সুগার মিল এলাকার স্থানীয় আখ চাষিদের কাছ থেকেই আখ সংগ্রহ করা হয়। ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের সাতটি সাবজোনের ২১টি কেন্দ্রে রয়েছে প্রায় আট হাজার আখ চাষি ।
সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আখ চাষি বজলার রহমান জানান, সাধারণভাবে ১ একর জমিতে আখ চাষ করতে সময় লাগে ১২-১৪ মাস। প্রতি একরে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা।
সাধারণভাবে আখ চাষ করে প্রতি একরে আখ উৎপাদন হয় সাড়ে ৩ থেকে ৪ শ মন। ৩ একর জমির আবাদকৃত আখ তিনি সুগার মিলে দিয়ে ৩০ শতাংশ অর্থ পেয়েছেন। বকেয়া টাকার জন্য মিলে ধর্না দিয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা।
রতন, সমশের আলী ও বাবুল সহ অন্য চাষিদের অভিযোগ, আখ সরবরাহ করে সময় মতো টাকা পাচ্ছেন না তারা। তার ওপর চাষের উপকরণ ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের অভাবসহ নানা কারণে আখের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। আখের জমিতে চাষ হচ্ছে গম-ভুট্টা ও সবজিসহ লাভজনক অণ্যান্ন ফসল।
গত মৌসুমে এক লাখ তিন হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও মাড়াই হয় সাড়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত চিনির মধ্যে মিলে অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৪ হাজার ৪১৮ মেট্রিক টন চিনি।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস শাহী বলেন, আখ চাষিদের বকেয়া বিলসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য ওপর মহলে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য মিল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম জানান, চিনিকলের অধীনে আখ ক্রয় বাবদ প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। চাষিদের এই বকেয়া অর্থ দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধের জন্য চাষীরা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। দ্রুত মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে আখ চাষিদের বকেয়া বিল পরিশোধের চেষ্টা করা হবে।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ৩৬ ঘন্টা পার হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত জাহাঙ্গির আলম ওরফে রাজু (২৫) এর লাশ ফেরত দেওয়া হয়নি বাংলাদেশে।
নিহত জাহাঙ্গির আলম রানিশংকৈল উপজেলার শাহানাবাদ গ্রামের বাদশা মিঞার ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
গত শুক্রবার ভোর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে ভারতের ১৭১ শ্রীপুর ক্যাম্পের বিএসএফ জোওয়ানদের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহতের এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত জাহাঙ্গির আলমের লাশ ফেরত দেয়নি তারা।
ঠাকুরগাঁও রানিশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুল মান্নান জানান, বিএসএফ এর গুলিতে জাহাঙ্গির আলম ওরফে রাজুর লাশ শনিবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের হাতে এসে পৌছেনি। তবে শুনেছি সন্ধায় লাশ ফেরত দেবার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ফেরত পেলেই আমরা আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট তা হস্তান্তর করবো।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির পরিচালক ( সিও) লে: ক: তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, আমরা জাহাঙ্গির আলমের লাশ ফেরত চেয়ে শুক্রবারই বিএসএফ এর কাছে বার্তা প্রেরণ করেছি এবং পতাকা বৈঠক করেছি। লাশ এর ব্যাপারে হয়তো তাদেরও ফরমালিটিজ রয়েছে। তাই লাশ দিতে বিলম্ব করছে। তবে সন্ধার মধ্যে হস্তান্ত করা হবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোর রাতে বিএসএফ জোওয়ানদের গুলিতে নিহত জাহাঙ্গির আলম ওরফে রাজু অন্য পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আনা নেওয়ার কাজ করতো। শুক্রবারও সে গরু আনার জন্যে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধর্মগড় সীমান্তের ৩৭২/২ নং মেইন পিলার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এসময় ভারতের ১৭১ শ্রীপুর ক্যাম্পের বিএসএফ জেয়ানদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় জাহাঙ্গিরের । তার সাথিরা তাকে ভারতের ৪ শ গজ অভ্যন্তরে ফেলে পালিয়ে আসলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয় এবং তার লাশ ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্যে ৫০ বিজিবি ঠাকুরগাঁওয়ের পক্ষ থেকে বার্তা প্রেরণ করা হয় ।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

শুক্রবার ভোর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গির আলম রানিশংকৈল উপজেলার শাহানাবাদ গ্রামের বাদশা মিঞার ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
বিজিবি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, জাহাঙ্গির আলম অন্য পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আনা নেওয়ার কাজ করতো। এর জন্যে তাকে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হতো। এবারো সে গরু আনার জন্যে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধর্মগড় সীমান্তের ৩৭২/২ নং মেইন পিলার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এসময় ভারতের ১৭১ শ্রীপুর ক্যাম্পের বিএসএফ জেয়ানরা জাহাঙ্গির আলমসহ অন দের লক্ষ্য করে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাহাঙ্গিরের । তার সাথিরা তাকে ফেলে পালিয়ে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
ঠাকুরগাঁও রানিশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুল মান্নান বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ এখনোও ভারতের অভ্যন্তরে ১৭১ শ্রীপুর ক্যাম্পের বিএসএফ জেয়ানদের কাছে রয়েছে । লাশ ফেরত দিলে আমরা ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করবো।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির পরিচালক ( সিও) লে: ক: তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, বিএসএফ এর গুলিতে একজন বাংলাদেশী যুবক নিহতের খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং লাশ ফেরত দেবার জন্যে পতাকা বৈঠকে তাদের বার্তা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত লাশ হস্তান্ত করা হবে।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ “পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকেই” এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে চলেছে বিডি ক্লিন ঠাকুরগাঁও নামের ঠাকুরগাঁওয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নিজ জেলাসহ দেশের অন্য জেলা গুলিও পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত ভাবেই কর্মসূচী পালন করছে এ সংগঠনটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সংগঠনটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও কোর্ট চত্তর ও ডিসি অফিস প্রাঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে।
জানাযায়, ২০১৬ সালের ৩রা জুন মাত্র ২৪ জন সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করে সংগঠনটি। দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় কার্যক্রম চালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলায় তাদের সদস্য বাড়তে থাকে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিরাজগঞ্জসহ দেশের ৫৩টি জেলায় প্রায় ২৮ হাজার সদস্য রয়েছে সংগঠনটির। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছে ২১০ জন সদস্য।
ঠাকুরগাঁও সদরে থেকে সংগঠনটি পরিচালনা করছেন ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজের গণিত বিভাগে মাস্টার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মেহেরাব হোসেন এবং পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে পরিচালনা করছেন পীরগঞ্জ সরকারী কলেজের বিবিএস ২য় বর্ষের ছাত্র মো: দোয়েল হোসেন। কথা হয় স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটির ঠাকুরগাঁওয়ের এ দুজন পরিচালকের সাথে।
মেহেরাব হোসেন জানান, আমরা প্রথমে গুটি কয়েক ছাত্র ছাত্রীদের সদস্য করে আমাদের এ কার্যক্রমটি শুরু করি। এখন দেশের ৫৩ টি জেলায় আমাদের টিম রয়েছে এবং আগামীতে আরো বাড়বে । আমরা একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু নিজ শহর সহ দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা নয়, বরং দেশের মানুষকে এ ব্যাপারে সোচ্চার করাই আমাদের লক্ষ্য।
সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে দোয়েল হক জানান, আজ আমরা ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ঠাকুরগাঁও ও পীরগঞ্জ এর ৩৫ জন সদস্য নিয়ে ঠাকুরগাঁও কোর্ট চত্তর পরিষ্কার করছি। আমরা সপ্তাহে একদিন কাজ করি এবং যেনি ইভেন্ট থাকে সেদিন শুধু একটা জায়গাকেই বেছে নেই যেনো সেটি একেবারে শতভাগ পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি। আজ আমরা এখানকার লোকেদের সৃষ্ট ময়লা আবর্জনা , গরুর গোবর সহ নানা ধরনের ময়লা পরিষ্কার করছি। গত সপ্তাহে আমরা পঞ্চগড়ে কাজ করেছি এবং আগামী সপ্তাহে কাজ করবো দিনাজপুরে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন করেছে এটাই বিশ্ময়কর। তারা যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠন ও কাজটি পরিচালনা করছে তাতে আগামীর ভবিষ্যত উজ্জল দেখতে পারছি। এ ধরনের সংগঠন গুলির সাথে আমরা নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলে আমরা গর্বিত মনে করবো।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী দেশে কেউ আর গৃহহীন থাকবেনা । সেই নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করেছে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলায় গৃহহীনদের ৫০০ টি করে গৃহ নির্মান করে দেওয়া হবে।
বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন প্রত্যেক জেলায় ৫ শ’ করে হলে ৬৪ টি জেলায় মোট ৩২ হাজার ঘর নির্মান করা হবে এবং এই জুনের পরে জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৫০০ টি করে ঘর নির্মান করা হবে। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলায় ১ হাজার করে সারা দেশে মোট ৬৪ হাজার ঘর নির্মান করা হবে। যেন বন্যা হলে এই ঘর গুলো বন্যায় প্লাবিত না হয় সে জন্য ঘরের ভিত্তি গুলো ১৯৮৮সালের সর্বোচ্চ ফ্লাড লেভেল ধরে এগুলি নির্মান করা হবে।
এই ঘর গুলো কারা পাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটি ইনোভেটিভ প্রকল্প। এটাতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআরের টাকা আছে এখান থেকে আমরা প্রথমে ২০৮ কোটি পরে ১০৮ কোটি মোট ৩১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছি যাদের এক বা অর্ধশতাংশ জায়গা আছে, সেখানে যারা কুঁড়ে ঘর বা বাসের ঘর করে, টিনের ঘর করে কোন রকমে আছে, যারা ফ্লাড লেভেলের নিচে আছে, যাদের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে তারা এই ঘরগুলো পাবে।
জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন, সচিব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মো: শাহ্ কামাল, (অতিরিক্ত সচিব) মহা পরিচালক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাসিম প্রমুখ।
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খোচাবাড়ি এলাকায় গিয়ে দুঃস্থ ও শীতার্তদের মাঝে তিন হাজার কম্বল বিতরণ করেন।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে গত কয়েকদিনে ৩ নবজাতকসহ মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। অপরদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ওয়ার্ডের ১৮টি বেডের বিপরিতে সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় দুই শতাধিক শিশু।
শীতের প্রকোপ বাড়ায় জেলা সহ জেলার বাহিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত এসব শিশুদের নিয়ে আসছেন তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা মাত্র ১৮ টি। অথচ ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১০ গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।
এমন অবস্থায় কোন শিশু যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় লক্ষ্য রাখতে সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক হাসপাতাল ডা: অমল চন্দ্র শাহ ।
তিনি বলেন, কোন শিশু যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য ডাক্তার-নার্স সকলে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সুচিকিৎসা পাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: শাহজাহান নেওয়াজ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় ২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ে থাকবে। যতদিন রোগীর চাপ থাকবে ততদিন এ দু'টি টিম কাজ করে যাবে।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আমিন পাড়া এলাকায় তিন বছর আগে চাহিদা অনুযায়ি টাকা দিয়েও বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পায়নি ১৫টি হিন্দু পরিবার। ভুক্তোভোগীরা হলেন- ওই এলাকার ভুপেন, বিরেশ, কলেন, দ্বিলীপ, মধুসুদন, পলাশ, অনু, বিপ্লব, ভাঙ্গা, নিপেন, আজাদ, বিশু, বচাই, মহেশ ও প্রেম লাল।
অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের রায়পুর এলাকার সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক রেজাউল করিম (রাজু মাস্টার) ও ওয়্যারিং ম্যান আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ি সরকারী খরচে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রমকে ধ্বংস করতে একটি চক্র অর্থের লোভে সাধারন মানুষকে প্রতারিত করছে বলে জানাযায়।
বিদ্যুৎ অফিসে মাত্র ৪শ ৫০ টাকা মিটারের জামানত দিয়ে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ মিললেও সে অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
বিরেশ বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে তখনকার পরিচালক রাজু মাস্টারের সাথে বিদ্যুতের নতুন সংযোগের জন্য ৭ হাজার টাকা করে প্রতি মিটারের জন্য চুক্তি হয়। সে সময় তাকে টাকা দেবার পরে ২০১৮ সালের জুন মাসে নতুন পিলার বসিয়ে তার লাগানো হয়। এর পরে বিদ্যুতের বাল্বে আলো জালানোর জন্য নতুন করে ২২শ টাকা করে চুক্তি করিয়ে নেয় আমাদের। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আমাদের মিটারের টাকাই নাকি পরিশোধ করা হয়নি এখনো। সরকারী খরচে নতুন লঅইন নির্মান হলেও আমাদের নানা ভাবে বুঝিয়ে টাকা নিয়েছে তারা। টাকা নিয়েছে তাতে দুঃখ নাই ,কিন্তু তাতেও যদি বিদ্যুতের সংযোগ পেতাম আমরা।
ভুক্তোভোগী কলেন বলেন আজ হবে কাল হবে করে তারা দীর্ঘ তিনটা বছর পার করে ফেললো। রাজু মাস্টার বলেছিল গত দূর্গা পূজার আগেই নতুন সংযোগ পাবো আমরা। এভাবে ছেলে মেয়েরাও লেখাপড়া করতে পারছেনা আর আমাদেরও নানা সমস্যা হচ্ছে। টাকা নিয়ে তারা এখন ফোনটাও রিসিভ করেনা। সংখ্যালঘু বলে জোড় করতেও পারছিনা আমরা।
এদিকে ওয়্যারিং ম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, ২২শ টাকা নিয়ে ১৫শ টাকার মালামাল দিয়ে ওয়্যারিং করে দিয়েছি। এলাকা পরিচালক রাজু মাস্টার বিদ্যুতের নতুন পিলার আনলেও ট্রান্সফরমার না লাগানোর কারনে অফিসে টাকাও জমা দিতে পারছিনা। আমি যে পরিমান টাকা নিয়েছি তাতে কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের বরং লোকশানই হবে।
রায়পুর এলাকার সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক রেজাউল করিম (রাজু মাস্টার) এর সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যাবস্থাপক আবু আশরাফ শাহ বলেন, সরকারী গোষণা অনুযায়ী সরকারী খরচে ফ্রিতে লাইন নির্মান করে শুধু মাত্র ৪শ ৫০ টাকা মিটারের জামানত নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। সাধারন মানুষেরা দালালের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছে। আমরা অভিযোগ পেলে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ “হারবে শীত জিতবে মানবতা’ আসুন অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুম (বিডি হল) এ ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুই শতাধিক শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মজিবর রহমান খান, উপদেষ্টা স্থানীয় দৈনিক লোকায়ন প্রত্রিকার সম্পাদক মো. সাকের উল্লাহ, উপদেষ্টা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউর রহমান বকুল। এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারত- বাংলাদেশের দুই বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার হরিপুর উপজেলার চাঁপাসার ও কোচল সীমান্তে অবস্থিত গেবিন্দপুর শ্রী শ্রী জামর কালিমন্দিরে পুজা উপলক্ষে অস্থায়ী এ মেলার আয়োজন করে স্থানীয়রা।
হরিপুরের কুলিক নদী পার হয়ে সকাল থেকেই বাংলাদেশের চাঁপাসার ও কোঁচল এবং ভারতের মাকড়হাট ও নারগাঁও সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৪৪/৪৫ নং মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকার কাঁটা তারের দ’ুপ্রান্তে ভিড় করে দুই বাংলার হাজার হাজার নারী পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ। এতে ওই সীমান্তে এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। কেউবা তারকাঁটার ওপর দিয়ে খাবার আদান প্রদান, আবার কেউবা সুখ দুঃখের কথা বলে সময় পার করেন। আর পুজাকে ঘিড়ে সীমান্ত পারেই বিভিন্ন জিনিস পত্রের পসড়া সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়দের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে এই দিনটিতে মেলার আয়োজন করা হলে আরো বেশি উপলদ্ধি করবে দুই বাংলার মানুষেরা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে: ক: তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, এটা স্থানীয়ভাবে হয়, এবারো হয়েছে। তবে বিজিবি ও বিএসএফ’র যৌথ সহায়তা ছিল।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি
শুক্রবার হরিপুর উপজেলার চাঁপাসার ও কোচল সীমান্তে অবস্থিত গেবিন্দপুর শ্রী শ্রী জামর কালিমন্দিরে পুজা উপলক্ষে অস্থায়ী এ মেলার আয়োজন করে স্থানীয়রা।
হরিপুরের কুলিক নদী পার হয়ে সকাল থেকেই বাংলাদেশের চাঁপাসার ও কোঁচল এবং ভারতের মাকড়হাট ও নারগাঁও সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৪৪/৪৫ নং মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকার কাঁটা তারের দ’ুপ্রান্তে ভিড় করে দুই বাংলার হাজার হাজার নারী পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ। এতে ওই সীমান্তে এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। কেউবা তারকাঁটার ওপর দিয়ে খাবার আদান প্রদান, আবার কেউবা সুখ দুঃখের কথা বলে সময় পার করেন। আর পুজাকে ঘিড়ে সীমান্ত পারেই বিভিন্ন জিনিস পত্রের পসড়া সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়দের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে এই দিনটিতে মেলার আয়োজন করা হলে আরো বেশি উপলদ্ধি করবে দুই বাংলার মানুষেরা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে: ক: তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, এটা স্থানীয়ভাবে হয়, এবারো হয়েছে। তবে বিজিবি ও বিএসএফ’র যৌথ সহায়তা ছিল।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও।
এই দিনে ঠাকুরগাঁও মহকুমায় মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে পতন হয় পাকবাহিনীর।
এই দিনে ঠাকুরগাঁও মহকুমায় মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে পতন হয় পাকবাহিনীর।
পাকসেনাদের পতনের পর এ এলাকার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। আনন্দ উদ্বেলিত কন্ঠে “জয়বাংলা” ধ্বনি আর হাতে প্রিয় স্বদেশের পতাকা নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে তরুণ-যুবক সবাই।
যে মানুষগুলোর আত্মত্যাগে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছিল তাদের স্মরণে হানাদার মুক্ত দিবস পালনে এবার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেই সব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

দিবসটি পালনে সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকসেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালির ওপর। তাদের প্রতিরোধ করতে সারাদেশসহ ঠাকুরগাঁওবাসীও গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন।
ঠাকুরগাঁও মহকুমা ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন পাক বাহিনীর স্কোয়াড্রেন লিডার খাদেমুল বাশার। সমগ্র সেক্টরে ১ হাজার ১২০টির মত গেরিলা বেইস গড়ে তোলা হয়। ৮ মের আগ পর্যন্ত সুবেদার কাজিম উদ্দিন এর দায়িত্বে ছিলেন। ৯ মে ক্যাপ্টেন নজরুল, কাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে স্কোয়াড্রেন সদরু উদ্দিন ও ১৭ জুলাই ক্যাপ্টেন শাহারিয়া সাব সেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও হরিপুর থানা অঞ্চলে। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শত্রু মুক্ত হয়। এরপর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে। ৩০ নভেম্বর পাকসেনারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভুল্লী ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। তারা সালন্দর এলাকায় সর্বত্র বিশেষ করে ইক্ষু খামারে মাইন পুতে রাখে। মিত্রবাহিনী ভুল্লী ব্রিজ সংষ্কার করে ট্যাংক পারাপারের ব্যবস্থা করে।
পহেলা নভেম্বর কমান্ডার মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে ঢোকে। ২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড গোলাগুলি শুরু হয়। ওই রাতেই শত্রু বাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে ২৫ মাইল নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর বিজয়ের বেশে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধারা।
স্বদেশের পতাকা উড়িয়ে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে আনন্দ উল্লাস করে এলাকার মুক্তিকামী মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতার পর কেউ দিবসটি পালনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মুক্তি শোভাযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান, আলোচচিত্র প্রদর্শন, নাটক, সম্মাননাসহ দিনব্যাপী বেশ কিছু অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে।
যে মানুষগুলোর আত্মত্যাগে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছিল তাদের স্মরণে হানাদার মুক্ত দিবস পালনে এবার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেই সব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

দিবসটি পালনে সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকসেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালির ওপর। তাদের প্রতিরোধ করতে সারাদেশসহ ঠাকুরগাঁওবাসীও গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন।
ঠাকুরগাঁও মহকুমা ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন পাক বাহিনীর স্কোয়াড্রেন লিডার খাদেমুল বাশার। সমগ্র সেক্টরে ১ হাজার ১২০টির মত গেরিলা বেইস গড়ে তোলা হয়। ৮ মের আগ পর্যন্ত সুবেদার কাজিম উদ্দিন এর দায়িত্বে ছিলেন। ৯ মে ক্যাপ্টেন নজরুল, কাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে স্কোয়াড্রেন সদরু উদ্দিন ও ১৭ জুলাই ক্যাপ্টেন শাহারিয়া সাব সেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও হরিপুর থানা অঞ্চলে। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শত্রু মুক্ত হয়। এরপর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে। ৩০ নভেম্বর পাকসেনারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভুল্লী ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। তারা সালন্দর এলাকায় সর্বত্র বিশেষ করে ইক্ষু খামারে মাইন পুতে রাখে। মিত্রবাহিনী ভুল্লী ব্রিজ সংষ্কার করে ট্যাংক পারাপারের ব্যবস্থা করে।
পহেলা নভেম্বর কমান্ডার মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে ঢোকে। ২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড গোলাগুলি শুরু হয়। ওই রাতেই শত্রু বাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে ২৫ মাইল নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর বিজয়ের বেশে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধারা।
স্বদেশের পতাকা উড়িয়ে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে আনন্দ উল্লাস করে এলাকার মুক্তিকামী মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতার পর কেউ দিবসটি পালনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মুক্তি শোভাযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান, আলোচচিত্র প্রদর্শন, নাটক, সম্মাননাসহ দিনব্যাপী বেশ কিছু অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আকবর হোসেন বলেন, জেলায় জেলায় যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
ঠাকুরগাঁও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান বলেন, হানাদার মুক্ত দিবস পালনে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে হারিয়ে যাবে এ দিনের তাৎপর্য।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও সংসদের সভাপতি সেতারা বেগম বলেন, দিনটি উদযাপনে সকাল ১০টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আকবর হোসেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ পাঠাগার চত্বর থেকে বের হয় মুক্তি শোভাযাত্রা, ২ টায় শহীদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
এছাড়াও বিকেলে শহীদ মিনারে মুক্ত নাটক ও কবিতা আবৃত্তি সন্ধ্যায় উদীচী জেলা সংসদ, গণসংগীত পরিবেশন হবে শহীদ মিনার চত্বরে।
সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারবর্গের মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হবে ।
দিবসটি উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান বলেন, এ দিনটি আরো অর্থবহ করে ধরে রাখতে সব প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি
ঠাকুরগাঁও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান বলেন, হানাদার মুক্ত দিবস পালনে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে হারিয়ে যাবে এ দিনের তাৎপর্য।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও সংসদের সভাপতি সেতারা বেগম বলেন, দিনটি উদযাপনে সকাল ১০টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আকবর হোসেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ পাঠাগার চত্বর থেকে বের হয় মুক্তি শোভাযাত্রা, ২ টায় শহীদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
এছাড়াও বিকেলে শহীদ মিনারে মুক্ত নাটক ও কবিতা আবৃত্তি সন্ধ্যায় উদীচী জেলা সংসদ, গণসংগীত পরিবেশন হবে শহীদ মিনার চত্বরে।
সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারবর্গের মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হবে ।
দিবসটি উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান বলেন, এ দিনটি আরো অর্থবহ করে ধরে রাখতে সব প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (৩০) নামের এক মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ওই মটরসাইকেলের অপর আরেক আরোহী।
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ - ঠাকুরগাঁও সড়কের গুয়াগাও নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ভাটগা সুন্দরপুর গ্রামে ।
জানাযায় , বুধবার সকালে জহিরুল ইসলাম তার আরেক সফর সঙ্গী সহ ঠাকুরগাঁও -পীরগঞ্জ সড়কে মটরসাইকেলে করে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। গুয়াগাও নামক স্থানে মটরসাইকেলের গতির কারনে জহিরুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মটরসাইকেলটি রাস্তার পাশের শিমুল গাছের সাথে ধাক্কা খায়। তারা দুজনেই মটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়লে আশেপাশের লোকজন তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করে এবং আহত অপর জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
দূর্ঘটনায় নিহতের কথা নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশিদ।
⇘সংবাদদাতা: আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি

আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি: ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৬জন নারী-পুরুষ প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে শহরের শান্তিনগর এলাকায় সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরণ বিতরণ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
এছাড়ও বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, জননী সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নুর বানু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দীক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজ ও পরিবারের বোঝা নয়, তাদেরকে শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে প্রতিবন্ধীদের অবহেলা করা যাবে না বরং তাদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে তারাও যেন দেশের জন্য কিছু করতে পারে সে সুযোগ দিতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা ৩৬ জন নারী-পুরুষ প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হিয়ারিং এইড, স্টাডিং ফ্রেম বিতরণ করেন।
⇘সংবাদদাতা: আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি

আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি ॥ “রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র বিশ^শান্তির দর্শণ জনগনের ক্ষমতায়ন” সৃদৃঢ় করাই আমাদের অঙ্গীকার এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে বর্ণাঢ্য আনন্দো র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা যুবলীগের আয়োজনে শহরের চৌরাস্তায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সমানে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বেড় হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা অডিটোরিয়াম চত্বর ( বিডি হলে) গিয়ে শেষ হয়।
র্যালী শেষে জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আ:লীগের প্রসেডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও ১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন।
অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ:লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী,সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন,উপজেলা আ:লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো,সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর প্রমুখ।
⇘সংবাদদাতা: আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের নারীর জয়ে সবার জয় নামের একটি ক্যাম্পেইন অনূষ্ঠিত হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩০১ এর সাংসদ সেলিনা জাহান লিটার আয়োজনে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রানিশংকৈল উপজেলা হলরুমে এ ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পেইনে রিজিওনাল ম্যানেজার আলী ইজাদের সভাপতিত্বে সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা বলেন, আজকে সকল নারীদের নেতৃত্বের মূল্যায়ন করতে হবে, শৃংখলার মধ্যে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি নারীদের উন্নয়নে কাজ করেছি বলেই আজ এতদূর আসতে পেরেছি। আশা করছি এবার সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাবো।
স্থানীয় মহিলাদের সমস্যা সমাধানে আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনে আরো বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেটি রাজনৈতিক ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ,আ’লীগ পৌর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রানিশংকৈল প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, প্রভাষক নাসরিন, সহকারি শিক্ষক আকলিমা খাতুন ও খাইরুল ইসলাম , আ’লীগ নেতা আঃ রশিদ প্রমুখ।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ আগামী ১০ নভেম্বর ২০১৮ হতে ঢাকা-দিনাজপুর রুটের আন্তঃনগর ট্রেন দুটি ঠাকুরগাঁও হয়ে পঞ্চগড় পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রনালয়।
গত ২৩ অক্টোবর রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক বরাবর পাঠানো রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগের উপপরিচালক খালিদুন নেছা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “ঢাকা-দিনাজপুরের মধ্যে চলাচলকারী দ্রুতযান এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস ট্রেন একই ধরনের কোচ, কম্পোজিশনে লাল-সবুজ রঙে ইন্দোনেশিয়ান কোচ দিয়ে পরিচালনা করা হবে। ট্রেনগুলো তিনটি রেক দিয়ে চালানো হবে। এতে কোনো সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না।” খবরটিতে এ দু জেলার সাধারন মানুষের দীর্ঘদিনে দাবী ও প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
সরাসরি ঠাকুরগাঁও-ঢাকা রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০১০ সালে ৯৮২ কোটি টাকা নির্মাণ খরচে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের ভোমরাদহ পর্যন্ত অবকাঠামো স্থাপনে দীর্ঘসূত্রতা পেরিয়ে ছয় বছরের মাথায় এই কাজ শেষ হয় । কাজ শেষ হবার পরও আন্তনগর ট্রেন চালু না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এলাকার মানুষ । ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ৫০৭ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে দীর্ঘ এই রুটে ট্রেন চলাচলের খবরে প্রচন্ড উচ্ছসিত এলাকাবাসী। ক্ষন গণনা শুরু হয়েছে আগামী ১০ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে।

এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে পঞ্চগড়ে গিয়ে শাটল ট্রেন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এরপরও আন্তঃনগর ট্রেন চালু না হওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ মানুষ।
তবে গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে এসে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, “এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা। ওই দুটি জেলা থেকে যারা ঢাকা আসতে হলে দিনাজপুর এসে ট্রেনে চড়তে হয়, তাদের জন্য টিকেট কাটা একটু কষ্টসাধ্য এজন্য তাদের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।”
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছেড়ে রাত আটটা ৪৫ মিনিটে পঞ্চগড় পৌঁছাবে। রাত নয়টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে সকাল আটটায় ঢাকা পৌঁছাবে।
দ্রুতযান ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত আটটায় এবং সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে সেটি পঞ্চগড়ে পৌঁছুবে। আবার সাতটা বিশ মিনিটে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা পৌছাবে।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি

গত বছরের ২৬-২৭ জুলাই ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করে বাংলাদেশের এই অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। সভাপতি হন সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইন হন সাধারণ সম্পাদক। কাউন্সিলে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলেও ওই রাতেই ছাত্রলীগের প্যাডে জানানো হয়, আজিজুল হক রানা সহসভাপতি, আসাদুজ্জামান নাদিম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মোবারক হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্বে পেয়েছেন এরশাদদুর রহমান চৌধুরী, কাজী এনায়েরত, মো. তোফাজ্জেল হক চয়ন, ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পি, আরিফুর রহমান লিমন, মো. মেহেদী হাসান রনি, আমিনুল ইসলাম, অহিদুর রহমান জয়, সৈয়দ আশিক, মাসুদ রানা মিঠু, আনোয়ার হোসেন আনু, সুপ্রিয় কুন্ড রাজেশ, মশিউর রহমান শরিফ, জাহাঙ্গীর আলম, সোহান খান, রিফাত জামান, মাকসুদ আলম, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আদিত্য নন্দী, গোলাম রসূল বিপ্লব, হাবিবুর রহমান সুমন, কামাল মো. নাসের রুবেল, মাহামুদুর রহমান জনি, মো. আল আমিন, নুসরাত জাহান নুপুর, নিশীতা ইকবাল নদী, আবু সাঈদ, মো. মনির হোসেন, মেহেদি হাসান, রাজিব আহমেদ রাসেল, শাহাদাত হোসেন রাজন, আব্দুস সাত্তার মাহাবুব, আসাদুজ্জামান আসান, নাজমুল হক, আহসান হাবিব রানা, শোয়াইবুল ইসলাম শোয়েব, সাকিব হাসান সুইম, মো. আব্দুল বাসেত গালীব, মো. মিজানুর রহমান, জামশেদ আলম, কামরুজ্জামান সালাম, শিউলী আক্তার, চৈতালী হালদার চৈতী, রুহুল আমিন, কাওসার পাঠান বাপ্পি, মাসুমা আক্তার পলি, নূরুল করীম জুয়েল, আবু হোসাইন বিপু, আরিফুজ্জামান রোহান, এসএম আবদুর রহিম তুহিন, তৌহিদুজ্জামান সরকার ধ্রুব, মো. নুর আলম ভূইয়া রাজু, অর্ণা জামান, হাফিজুর রহমান ভূইয়া সজীব, রাকিব হাসান সোহেল, আসিফ উল্লাহ মিথুন, মো. তাজুল ইসলাম, এটিএম সায়েম, শেখ শাহজালাল সুজন, মাহাফুজুর রহমান রাসেল।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন আসাদুজ্জামান নাদিম, আব্দুর রাজ্জাক লালন, রেজাউল ইসলাম রেজা, চন্দ্র শেখর মন্ডল, দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, মাহামুদুল হাসান, সায়েম খান, মোতাসিম বিল্লাহ মোহাম্মদ, শেখ ফয়সাল আমিন, নওশাদ উদ্দিন সুজন, শাহিদুল ইসলাম শাহেদ। সাংগঠনিক সম্পদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোবারক হোসেন, শেখ জসিম উদ্দিন, শৃজন ঘোষ সজীব, মো. সৈকতুজ্জামান সৈকত, আশিকুল পাঠান সেতু, সজীব বিশ্বাস, মো. শাহ-জালাল, বিএম এহতেশাম, দারুস সালাম শাকিল, তানজিল ভূইয়া তানভীর, মো. শরিফুল ইসলাম ফারুক।

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) র সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বিজিবির ছোড়া গুলিতে নবাব উদ্দীন (২৫) , সাদেক আলী (৪০), জয়নুল(১২) ও সাদেকুল(৩২) নামের চারজন নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিতে আহত হয়েছে আরোও ১৬ জন।
মঙ্গলবার সকালে জেলার হরিপুর উপজেলার বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের সাথে স্থানীয় এলাকাবাসীর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নবাব উদ্দীন (২৫) হরিপুর উপজেলার রহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এবং নিহত সাদেক আলী (৪০) একই গ্রামের জাহির উদ্দীনের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামের মাহাবুব আলী গত ০৬ মাস আগে একটি গরু ক্রয় করে। সেই গরু মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় যাদুরানী বাজারে বিক্রি করার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়।
এ সময় বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি'র সদস্যরা গরুটিকে ভারতীয় মনে করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাহাবুবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় মাহাবুবের পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে বিজিবির সদস্যদের বাকবিতন্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই নবাব ও সাদেক আলীর মৃত্যু হয় এবং গুলিতে আহত হয় কমপক্ষে আরোও ১৬ জন।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আব্দুস সামাদ বলেন, গুলিবিদ্ধ প্রায় ১৫ জনের শরীর থেকে গুলি বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এসময় কয়েক জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান মেডিকেল অফিসার ডা: আব্দুস সামাদ।
হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বিজিবির গুলিতে চারজন নিহত এবং ১৬ জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমজে আরিফ বেগ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুষ্ঠু তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির পরিচালক ( সিও) লে: ক: তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রাম থেকে বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি'র সদস্যরা চারটি ভারতীয় চোরাই গরু জব্দ করে ফিরে আসার সময় বহরমপুর এবং যাদুরানী বাজারের মাঝখানে পৌছালে চোরাকারবারীরা বিজিবির সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র লাঠি শোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরা গুলি ছুড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে নিহতের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখা হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক