নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তান দান করলেন মা নিজেই

S M Ashraful Azom
0
নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তান দান করলেন মা নিজেই

সেবা ডেস্ক: সন্তানসম্ভবা হওয়ার ছয় মাস যেতে না যেতেই মারা যান স্বামী। এরপর তিনি জন্ম দেন এক মেয়ে শিশু। কিন্তু সেই মেয়ের দায়িত্ব নেবে কে? নিজে কাজ করেন ঢাকার পোশাক কারখানায়। স্বামী বা নিজবাড়িতেও শিশুটিকে দেখার কেউ নেই। শিশুর ভরণপোষণই বা চলবে কীভাবে?

এসব চিন্তার সমাধান নিজেই করলেন সেই মা। নিঃসন্তান এক দম্পতিকে দিয়ে দিলেন নিজের সন্তান। এরপর বুধবারই তিনি এলাকা ত্যাগ করেন।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মাজালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১১দিন বয়সী নিজের শিশু মেয়েকে দিয়ে মা বুধবার বিকেলে এলাকা ত্যাগ করেন। তিনি ও তার স্বামীর বাড়ি একই এলাকায়।

ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া ওই শিশুর মায়ের বরাত দিয়ে বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদে এক পোশাককর্মীর সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পকের পর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামী মারা যান। এরপর তিনি সায়েদাবাদ এলাকার একটি বস্তিতে ছিলেন।

মন্টু মিয়া আরো জানান, সন্তান জন্ম দেয়ার কিছু দিন আগে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। গত ২০ অক্টোবর জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে একটি মেয়ে শিশু প্রসব করেন তিনি। এলাকায় তাদের কোনো বাড়ি না থাকায় তিনি উপজেলার ডোয়াইল ইউপির মাজালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল হানিফ ও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগমের কাছে আশ্রয় নেন। 

তিনি জানান, এরপর পোগলদীঘা ইউপির মালিপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও মারুফা ইসলাম দম্পতির কাছে নিজের মেয়েকে দান করেন ওই মা। সাইফুল ইসলাম স্থানীয় মাদ্রাসার শরীরচর্চা শিক্ষক। তারা নিঃসন্তান।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মন্টু মিয়া আরো বলেন বলেন, ১১ দিনের মেয়ে শিশুকে দান করলেও ওই দম্পতি নাজমাকে ২০ হাজার টাকা দেয়।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

ডুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যন নাছির উদ্দিন রতন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top