রৌমারীতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা

রৌমারী সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় দফায় দফায় বন্যা হওয়ার কারনে কৃষকদের ২০৮ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে বন্যার পানি নেই নতুন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আবারো ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। পরর্বতী চাষাবাদের জন্য বীজতলার জমি অনুকুলে না থাকায় বিপাকে পরেছে কৃষকরা। 

এদিকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় কৃষক আমন ধান রোপনের জন্য ঝুঁকছেন। প্রতিদিন শত শত কৃষক আমন ধানের চারা কিনতে  উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ছুটছেন। বন্যায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা বাজার থেকে চড়াদামে চারা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ না থাকায় ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি করছে চারা ব্যবসায়ীরা ।
ধানের চারা ব্যবসায়ীরা গাইবান্ধা, টাংগাইল,লালমনিরহাট রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা কিনে এনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। তবে গত মৌসুমের চেয়ে এবার বেশি দামে চারা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পোন চারা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫’শ টাকা পর্যন্ত। সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রাম থেকে ধানের চারা কিনতে আশা কৃষক রাইস উদ্দিন বলেন, এমনিতেই বন্যায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আবার চড়াদামে চারা কিনতে হচ্ছে। ধান রোপন নিয়ে বিপদে আছি।
রৌমারী হাটে চারা কিনতে আসা বাঞ্ছারচর গ্রামের ছলিম উদ্দিন জানায়, বিছুন কিনবার জন্য আইসি বিছুন কিনবার পারছিনা। আমগো টাকার সমস্যা। বন্যায় বিছুন খাইয়া গেছে। আমরা সরকারের কাছে সহযোগীতা চাই।

চারা বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানায়, আমরা গাইবান্ধা থেকে চারা কিনে আনি, তাতে গাড়ি ভাড়া, কুলি ভাড়া, নৌকা ভাড়া বেশি খরচ পরে। যেখান থেকে কিনে আনি সেখানেও চড়াদামে কিনতে হয়। রৌমরীর কৃষকদের স্বার্থে সিমিত লাভের জন্য চড়াদামে আনতে হচ্ছে  ধানের চারা।
আরেক চারা ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, ধানের চারা গাইবান্ধা থেকে নিয়ে এসে রৌমারীতে বিক্রি করছি। এই চারা গুলো বেশি দামে কিনতে হয়েছে । আবার গাড়ি ভাড়াসহ অনেক খরচ পরছে। তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য সূত্রে, এবারের বন্যায় রৌমারী উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বীজতলা ছিলো তার মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২শত ৮ হেক্টর জমির বীজতলা। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ৬০ জন কৃষকের মাঝে পর্য়ায় ৩ শত কেজি ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পারিবাকি পুষ্টি বাগানের জন্য ১৯২ জন কৃষককে সহযোগীতা করা হয়। দের শতক জমির রোপা আমনের চারা দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি । অপর দিকে (৩০ শতক জমির চারা রোপনের জন্য)।

উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন জানান, এবারের বন্যায় রৌমারী উপজেলার ২০৮ হেক্টর জমির আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে ৬০ জন কৃষকের মাঝে ৩শত কেজি ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের জন্য ১৯২ জন কৃষককে শাকসবজির বীজ দেওয়া হয়েছে।


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top