রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণগুলোও ধ্বংস করে দিচ্ছে মিয়ানমার

Seba Hot News
যেসব স্থানে হত্যার পর গণকবর দেয়া হয়েছিল রোহিঙ্গাদের, সেখানে বুলডোজার চালানো হচ্ছে। মুছে দেয়া হচ্ছে গণকবরের চিহ্ন। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপনকারী সংগঠন দ্য আরাকান প্রজেক্ট এ বিষয়ে প্রমাণ হাজির করেছে।
সেবা ডেস্ক:রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার প্রমাণগুলোও এখন ধ্বংস করে দিচ্ছে মিয়ানমার। যেসব স্থানে হত্যার পর গণকবর দেয়া হয়েছিল রোহিঙ্গাদের, সেখানে বুলডোজার চালানো হচ্ছে। মুছে দেয়া হচ্ছে গণকবরের চিহ্ন। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপনকারী সংগঠন দ্য আরাকান প্রজেক্ট এ বিষয়ে প্রমাণ হাজির করেছে।





তারা বৃটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের কাছে এ বিষয়ে একটি ভিডিও হস্তান্তর করেছে। তাতে দেখা যায়, কিভাবে গণকবরগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হচ্ছে।এ নিয়ে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান রিপোর্ট করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একটি জঙ্গলের ভিতর তারপুলিন দিয়ে সমাহিত করা হয়েছে মৃতদেহ।

তবে পুরোপুরি নয়, অর্ধ সমাহিত করা হয়েছে মৃতদেহ। পচন ধরা একটি পা দেখা যাচ্ছে সেই তারপুলিনের ব্যাগে। দ্য আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লিওয়া বলেছেন, স্থায়ীভাবে প্রমাণকে মুছে দেয়ার জন্যই বুলডোজার দিয়ে এভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হচ্ছে গণকবরকে।

 এর আগে বার্তা সংস্থা এপি এবং রয়টার্স গণকবরের পক্ষে প্রামাণ্য তথ্য উপস্থাপন করেছে। এখন তার পরবর্তী ধাপের প্রমাণ উপস্থাপন করলো দ্য আরাকান প্রজেক্ট। এ বিষয়ে ক্রিস লিওয়া বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এমন দুটি গণকবরের বিষয় মিডিয়ায় এসেছে।

কিনতু বৃহস্পতিবার আরো একটি গণকবরের স্থানে বুলডোজার দেখা গেছে। বুলডোজার ব্যবহার করে ওই গণকবরটি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হচ্ছে। এর অর্থ হলো, গণহত্যার যে প্রমাণ তা ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।

 বুলডোজার দিয়ে এভাবে গণকবরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার কাজ করছে বেসরকারি কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানি এসেছে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে। তারা রাখাইনের কোনো কোম্পানি নয়। ফলে এটা স্পষ্ট যে, সরকারের নির্দেশেই ঘটছে সব



#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top