মাত্রাতিরিক্ত স্বয়ংক্রিয় ফোনকলে বিরক্ত এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ওয়ার্নার কেবলকে দুই লাখ ডলারের বেশি জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
ডিস্ট্রিক্ট জজ আলভিন হেলারস্টেইন সমপ্রতি টেক্সাসের বাসিন্দা আরাসেলি কিংকে দুই লাখ ২৯ হাজার ৫০০ ডলার দিতে টাইম ওয়ার্নারকে নির্দেশ দেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বারবার আবেদন করার পরও টাইম ওয়ার্নার থেকে মোট ১৫৩ বার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত কল পেয়ে শেষপর্যন্ত বিরক্ত হয়ে আদালতে অভিযোগ ঠুকে দিয়েছিলেন কিং।
বিচারক তার রায়ে রাজস্ব আয়ের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় টেলিফোন কোম্পানির এই কর্মকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০০৯ সালে আইনের মাধ্যমে অনাকাঙি্ক্ষত স্বয়ংক্রিয় কল অবৈধ ঘোষণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এর আওতায় কোনো গ্রাহক চাইলে সংশ্লিষ্ট অপাটেরের কাছে স্বয়ংক্রিয় কল বন্ধের আবেদন করতে পারেন।
এই আইন ভঙ্গে প্রতিটি কলের বিপরীতে ১ হাজার ৫০০ ডলার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আরাসেলি কিং আবেদন করার পরও তাকে টাইম ওয়ার্নার কেবল থেকে ৭৪ বার স্বয়ংক্রিয় কল করায় জরিমানার অর্থ তিন গুণ করা হয়েছে বলে জানান বিচারক হেলারস্টেইন।
টাইম ওয়ার্নার আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি রাজ্যে কার্যক্রম চালানো টাইম ওয়ার্নার কেবলের ফোন সেবা ছাড়াও নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট, ক্যাবল টেলিভিশন, হোম সিকিউরিটির ব্যবসাও রয়েছে।
২০০৯ সালে আইন করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন অপারেটরদের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় ফোন কল বন্ধে অভিযান শুরু করে।
আইনে কোনো গ্রাহককে এই সেবা দেয়ার আগে তার লিখিত অনুমিত নেওয়ার বিধান রাখা আছে। তবে রাজনৈতিক কিংবা সেবামূলক কোনো তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে এই বিধান শিথিল করা হয়েছে।