প্রধানমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনের নামে গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা
৯২ দিন বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেছেন,
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যারা দেশজুড়ে নাশকতা চালিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি
দেয়া হবে। অগ্নিসন্ত্রাসীদের কেউই রেহাই পাবে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে
কেউ এ ধরনের বর্বরতা চালানোর সাহস না পায় সেজন্য ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ
দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা আমরা নিতে শুরু করেছি। চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি
নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ
হয়ে হতাহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অন্যদিকে
চেক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা,
বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা
বাড়ানোর সুযোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে দুই
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ভাষা শিক্ষক বিনিময়ের বিষয়ও তাদের আলোচনায়
প্রাধান্য পায়।
গতকাল
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৫ জন বাস
মালিক, নিহত ১৫ জনের পরিবারের ৩০ জন সদস্য ও সাতজন � কথাও উল্লেখ করেন
তিনি। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কুয়েতের আমিরকে বাংলাদেশ সফরের
আমন্ত্রণ জানান। কুয়েত ফান্ড ফর এরাবিক ইকোনমিক ডেভলপমেন্টের (কেএফএইডি)
মাধ্যমে কুয়েত অর্থায়ন বাড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময়
কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
শুরু হচ্ছে এবং বর্তমানে সেনাবাহিনীর প্রায় ৫ হাজার সদস্য কুয়েতে পুনর্গঠন
কাজ করছে। পরে রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
সংস্কারের জন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেক হস্তান্তর করেন।