কাতার একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের দেশ; দেশটির নারীরা বৈষম্যের শিকার; এমনকি দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকরাও শোষিত হয়। অথচ সেই দেশেরই সরকার নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ সরকার। এমনটাই দাবি করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) নামের একটি সংস্থা। সম্প্রতি ডব্লিউইএফ বিশ্বের ১৪৪টি দেশের সরকার ব্যবস্থার দক্ষতা বিচার করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংগঠনটি এর সর্বসাম্প্রতিকতম গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্টসমূহ থেকে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে কাতারের সরকার ব্যবস্থাকে বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ সরকার ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অপচয়মুলক ব্যায় রোধ, ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর আরোপিত বিধি-নিষেধের শিথিলতা ও নীতি প্রণয়নে স্বচ্ছতার নিরিখে ওই ১৪৪ দেশের সরকারের দক্ষতা বিচার করা হয়। বিশ্বের শীর্ষ দক্ষতাসম্পন্ন সরকারগুলোর তালিকায় কাতারের পরপরই রয়েছে সিঙ্গাপুর ও ফিনল্যান্ডের নাম। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে হংকং এরপর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ড। রুয়ান্ডার সরকারের অবস্থান রয়েছে সপ্তম স্থানে। রুয়ান্ডা সরকারি ব্যায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম অপচয়ের জন্য বিখ্যাত। ওই তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান ১৪তম। তবে, উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক ড. ডেভিড রবার্ট বলেন, কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এমনকি এর দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে যে কঠোরতা প্রদর্শন করা হয় তার নিচে আসলে কী আছে তাও খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। অথচ ডব্লিউইএফ দেশটির সরকারকে বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ সরকারের খেতাব দিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের এই দক্ষতা বিচার পদ্ধতি যতই নিখুঁত হোক না কেন আমার বিশ্বাস কাতারে বসবাসকারী ও কর্মরত কোনো মানুষই তাদের এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দেবে না।