আবারো জ্বালানি তেলের দাম কমলো, বাংলাদেশে লক্ষণ নেই

S M Ashraful Azom
আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে পেট্রোল, ডিজেল ও ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম কিময়েছে ভারত। তবে বাংলাদেশে এখনো জ্বালানি তেলে দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম.তামিম প্রিয়.কমকে বলেছেন , ‘জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সরকারকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে’। ভারতে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম কমেছে ২ রুপি ৪৩ পয়সা ও ডিজেলের কমেছে লিটার প্রতি ৩ রুপি ৬০ পয়সা। ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের ১৪.২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ২৩ রুপি ৫০ পয়সা করে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে। আর, বাংলাদেশের বাজারে এখনো পেট্রোলের খুচরা বাজারমূল্য লিটারপ্রতি ৯৬ টাকা, ডিজেলের ৬৮ টাকা। বিশ্লেষকরা জানান, বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে ততটা সম্পর্কিত নয়। এখানে জ্বালানি তেলের বেঁধে দেয়া দাম (এডমিনিস্টারড প্রাইস) প্রচলিত। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পেলে সরকার ভর্তুকি দেয়। আবার যখন দাম কমে যায় তখন দাম কমানো হয়না। সরকার তখন অতিরিক্ত এসব টাকা থেকে ভর্তুকির টাকা পরিশোধ করে। ম.তামিম বলেন, ‘যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ে, তখন মানুষ চায় সরকার ভর্তুকি দিক, আবার যখন তেলের দাম কমে যায়, তখন আবার তারা তেলের দাম কমাতে চায়। এটা তো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’। তাঁর মতে, ‘সরকার জ্বালানি তেলের দাম কীভাবে নির্ধারণ করবে, সে ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ শনিবারের হিসাব অনুযায়ী ভারতে প্রতিলিটার পেট্রোলের দাম ১.১১ ডলার, পাকিস্তানে ০.৭৬ ডলার এবং বাংলাদেশে ১.২১ ডলার। অর্থাত প্রতি লিটারে ভারতের চেয়ে ০.১০ ডলার এবং পাকিস্তনের চেয়ে ০.৪৫ ডলার বেশি গুণতে হচ্ছে বাংলাদেশি ভোক্তাদের। অন্যদিকে পাকিস্তানের ‘দ্য ওয়ল এন্ড গ্যাস রেগুলেটরী অথরিটি (অর্গা) জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রস্তাব করলেও কর হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পাকিস্তান সরকার এখনই জ্বলানি তেলের দাম কামনোর বিপক্ষে। তবে, সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের চেয়ে সেখানে জ্বালানি তেলের দাম কম। 

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top