এস মাহমুদুল হাসান ঃ
আজ ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সরিষাবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরিষাবাড়ী হানাদার দুর্গের পতন ঘটিয়ে বাংলার সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা সরিষাবাড়ীর রক্তস্নাত মাটিতে উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তাই আজ সরিষাবাড়ী শত্রু মুক্ত দিবস।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যদিয়ে এ দেশ স্বাধীন করতে সারা দেশের ন্যায় সরিষাবাড়ীর ছাত্র-শ্রমিক ও স্বাধীনতার সংগ্রামের মুক্তি পাগল দামাল ছেলেরাও পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭ শত ৪৪ জন মুক্তিকামী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা একযুগে ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। নভেম্বরের শেষ ভাগের শুরু থেকেই সরিষাবাড়ীর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি সৈন্যরা মনোবল হারিয়ে পিছু হটতে শুরু করে । সরিষাবাড়ী থানা সদরের আরামনগর কামিল মাদ্রাসায় ছিল পাক হানাদার বাহিনীর ৩১ বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান ক্যাম্প।এই হানাদার দুর্গ থেকেই হানাদার বাহিনী স'ানীয় রাজাকার-আলবদরের সহায়তায় পুরো সরিষাবাড়ী উপজেলায় নির্মম গণহত্যা, লুন্ঠন ও গণ ধর্ষণে মেতে উঠে । ১৯৭১ সালের এই হত্যাযজ্ঞের ফলে সরিষাবাড়ীর ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ শতাধিক নিরীহ মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হয়। ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সেই নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক থেকে ২ শতাধিক পাকসেনা স'ানীয় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে অবরোধ করে ফেলে। ওই রাতেই নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নাজিম বাহিনী, আনিস বাহিনী, রশিদ বাহিনী, লুৎফর বাহিনী ও ফজলু বাহিনীর দল সাহসী ভুমিকা নিয়ে মিত্র বাহিনীর সহায়তায় যৌথ অভিযান চালায়। সারা রাতের সফল অভিযান চলাকালে ওই হানাদার দুর্গের সকল পাক সেনাদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়।
পরদিন ১২ ডিসেম্বর ভোরে মিত্র বাহিনীর হাতে আটককৃত পাক সেনাদের হস্তান্তরের মধ্যদিয়েই তৎকালীন এমপি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক গনময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করে সরিষাবাড়ী থানাকে শত্রু মুক্ত ঘোষনা করেন। সেদিন থেকেই ১২ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী শুত্রু মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আজ ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সরিষাবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরিষাবাড়ী হানাদার দুর্গের পতন ঘটিয়ে বাংলার সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা সরিষাবাড়ীর রক্তস্নাত মাটিতে উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তাই আজ সরিষাবাড়ী শত্রু মুক্ত দিবস।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যদিয়ে এ দেশ স্বাধীন করতে সারা দেশের ন্যায় সরিষাবাড়ীর ছাত্র-শ্রমিক ও স্বাধীনতার সংগ্রামের মুক্তি পাগল দামাল ছেলেরাও পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭ শত ৪৪ জন মুক্তিকামী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা একযুগে ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। নভেম্বরের শেষ ভাগের শুরু থেকেই সরিষাবাড়ীর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি সৈন্যরা মনোবল হারিয়ে পিছু হটতে শুরু করে । সরিষাবাড়ী থানা সদরের আরামনগর কামিল মাদ্রাসায় ছিল পাক হানাদার বাহিনীর ৩১ বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান ক্যাম্প।এই হানাদার দুর্গ থেকেই হানাদার বাহিনী স'ানীয় রাজাকার-আলবদরের সহায়তায় পুরো সরিষাবাড়ী উপজেলায় নির্মম গণহত্যা, লুন্ঠন ও গণ ধর্ষণে মেতে উঠে । ১৯৭১ সালের এই হত্যাযজ্ঞের ফলে সরিষাবাড়ীর ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ শতাধিক নিরীহ মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হয়। ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সেই নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক থেকে ২ শতাধিক পাকসেনা স'ানীয় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে অবরোধ করে ফেলে। ওই রাতেই নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নাজিম বাহিনী, আনিস বাহিনী, রশিদ বাহিনী, লুৎফর বাহিনী ও ফজলু বাহিনীর দল সাহসী ভুমিকা নিয়ে মিত্র বাহিনীর সহায়তায় যৌথ অভিযান চালায়। সারা রাতের সফল অভিযান চলাকালে ওই হানাদার দুর্গের সকল পাক সেনাদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়।
পরদিন ১২ ডিসেম্বর ভোরে মিত্র বাহিনীর হাতে আটককৃত পাক সেনাদের হস্তান্তরের মধ্যদিয়েই তৎকালীন এমপি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক গনময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করে সরিষাবাড়ী থানাকে শত্রু মুক্ত ঘোষনা করেন। সেদিন থেকেই ১২ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী শুত্রু মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।