
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের চারিদিকে শুধু ছত্রাকনাশক প্রয়োগের দৃশ্য। গত বছর মৌসুমের শুরুতে দাম না পেলেও পরবর্তীতে আলুর ভাল দাম পেয়ে আশান্বিত হয় ওঠেন আলু উৎপাদনে বৃহত্তম জয়পুরহাট জেলার কৃষকরা। ফলে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে অধিক লাভের আশায় এবার অধিকহারে আলু চাষে ঝাপিয়ে পড়েন জেলার আলু চাষীরা।
জেলায় এবার আলুর চাষ হয়েছে ৪০ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আগাম জাতের আলু। জেলায় এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন। আলু রোপনের পর মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া মোটামুটি ভাল থাকায় এবার বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মন ফলন পেয়েছেন বলে জানান, কালাই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের আলু চাষী আজাদ হোসেন। তিনি এবার ১ একর ১৬ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের গ্যানোলা আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান তিনি।
বর্তমানে বাজারে আগাম জাতের আলু প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। এতে এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করে লাভ হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে এবার আলু উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় পনের হাজার টাকার মতো বলে জানান কৃষকরা। বাজারে বর্তমানে আগাম জাতের আলুতে ভরে গেছে। আমন ধানে লোকসান হলেও আলুর দাম ভাল পেয়ে কৃষকরাও খুশি।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ জেড এম সাব্বির ইবনে জাহান ইত্তেফাককে জানান,এবার জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আলুক্ষেতে ছত্রাকনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষেত ভাল থাকলেও কৃষকরা ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন আলু ভাল রাখার জন্য। কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরাও এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।