বাইতুল্লাহকে পবিত্র রাখার তাৎপর্য

Seba Hot News
Kabaসেবা ডেস্ক: 

মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ সম্মানের স্থান বাইতুল্লাহসহ দুনিয়ার সকল মসজিদ। কেননা আল্লাহ তাআলা বাইতুল্লায় এবং মসজিদে ইবাদাতের জন্য ছাওয়াবের আধিক্যের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই আল্লাহ তাআলা সুরা বাক্বারার ১২৫নং আয়াতে আল্লাহর ঘর কা’বা শরিফকে পবিত্র রাখার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জানা উচিত, বাইতুল্লাহকে কিভাবে পবিত্র রাখা যায়। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
প্রকাশ্য অপবিত্রতা থেকে যেমন বাইতুল্লাহকে পবিত্র রাখাতে হয় তেমনি অপ্রকাশ্য নাপাকী থেকেও বাইতুল্লাহকে পবিত্র রাখার আদেশও রয়েছে। অপ্রকাশ্য নাপাকী বলতে- কুফর, শিরক, বিদাআতসহ কা’বার সীমানায় অন্যান্য পাপাচারে লিপ্ত হওয়া। যার সবই মারাত্মক গর্হিত কাজ।
বাইতুল্লাহকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখা ঈমানের অপরিহার্য দাবি। শুধু বাইতুল্লাহ নয়, দুনিয়ার বুকে যত মসজিদ আছে সকল মসজিদকে শুধুমাত্র ময়লা-আবর্জনা, নাপাকী থেকে পবিত্র রাখার নির্দেশ এসেছে। এমনকি থুথু ফেলাও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এ কারণেই হাদিসে মসজিদের পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র রাখার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে-
হজরত আবু জর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়অ সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি আমার উম্মতের মন্দ কাজগুলোর মধ্যে মসজিদে থুথু ফেলাও দেখেছি। (ফতহুল বারি) এতে প্রমাণিত হয় যে, মসজিদে থুথু ফেলা মন্দ কাজ।
হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ মিশকাতে এসেছে- এক ব্যক্তি ইমামতি করলো, ঘটনাচক্রে সে মসজিদেই কিবলার দিকে থুথু ফেলল, যা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বচক্ষে দেখলেন। তখন তিনি নির্দেশ দিলেন, এ ব্যক্তিকে আর ইমাম হতে দিও না। ঐ ব্যক্তি এ কথা জানার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট হাজির হলেন, তিনি ঐ ব্যক্তির কথা শুনলেন এবং বললেন, আমিই নির্দেশ দিয়েছি যেন তুমি ইমামতি না কর। কেননা তুমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলকে কষ্ট দিয়েছ। (তফসিরে হক্কানি)
সুতরাং বাইতুল্লাহ দুনিয়ার সকল মসজিদকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নাপাকী দ্বারা অপবিত্র করা অনেক বড় অপরাধ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বাইতুল্লাহ যিয়ারাতের সময় এর পবিত্রতার দিকে লক্ষ্য রাখা তাওফিক দান করুন। আমিন।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top