এ সংগঠনের দাবী আদায়ে একাত্বতা ঘোষনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, চিনি বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। চিনি শিল্পের সঙ্গে দেশের কৃষকরা সরাসরি সম্পৃক্ত। কিন' বাংলাদেশ চিনি শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠান ও আখচাষীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ শিল্পকে রক্ষার জন্য আখচাষী সমিতি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। চিনি শিল্পকে ধ্বংসের জন্য যারা লিপ্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। আর কৃষকদের এই নায্য দাবিগুলো আগামী সংসদ অধিবেশনে তুলে ধরা হবে।
লিখিত বক্তব্যে ৯ দফা দাবি তুলে ধরে উত্তরবঙ্গ চিনিকলের আখ চাষী সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক বাবু সুকুমার সরকার বলেন, আমাদের আন্দোলনে দেশের অবহেলিত কৃষক ও শ্রমিকরা রয়েছে। বিগত সময় গুড় মাড়াই করার অপরাধে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চর মুক্তারপুর গ্রামের আখ চাষী আলাউদ্দিন কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই আমাদের দাবি আদায়ে তৎকালীন সময় আখ চাষী সমিতি গঠন করা হয়। বর্তমানে দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আখের দাম বৃদ্ধি, সুগার মিলের গেটে আখ ক্রয় কেন্দ্র ও ওজন যন্ত্র স'াপন, পূর্জি বিতরণে অনিয়ম ঠেকাতে কমিটি গঠন, সার মিলের গুদাম থেকে চিনি মিলের গুদামে সরাসরি সার প্রদান, চাষীদেরকে চিনি প্রদান, আখের ঘাটতি মূল্য ১টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫টাকা নির্ধারণ, বিনা খরচে চাষীদের আখ খালাসের ব্যবস'া, চাষীদের ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া এবং আখ মাড়াই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ চিনিশিল্প কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন জোর করে নানা সমস্যা চাষীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এতে আখচাষী ও চিনি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ, বর্তমান সরকার কৃষক, কৃষি ও শিল্পবান্ধব সরকার। শুধু একেএম দেলোয়ার হোসেনের একক সিদ্ধান্তের কারণে এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, রাজশাহী সুগার মিল আখচাষী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখচাষী সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, নাটোর সুগার মিল আখচাষী সমিতির সভাপতি আব্দুল করিমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপসি'ত ছিলেন। #
