সেবা ডেস্ক:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নাবালিকা কন্যার বাল্যবিয়ের আয়োজন ও উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাবা ও মাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান
এবং বাল্যবিয়ের নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানকারীকে খুঁজছে উপজেলা প্রশাসন।
এনিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনকে তদনত্ম করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার মালিরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের অষ্টম শ্রেণিতে পড়-য়া মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
খবর পেয়ে রাতেই বকশীগঞ্জ ইউএনও আবু হাসান সিদ্দিক বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন।
শুধু তাই নয় নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন ও উদ্যোগ গ্রহণ করায়
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বকশীগঞ্জ ইউএনও আবু হাসান সিদ্দিক কনের বাবা লুৎফর রহমান ও মা শাহীনা বেগম কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
গত ২৪ অক্টোবর বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হলে
ওই দিন লুৎফর রহমান তার কন্যা সনত্মানের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে এ মর্মে বকশীগঞ্জ ইউএনও’র কার্যালয়ে একটি সনদ উপস্থাপন করেন।
সনদটি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে এটি ভূয়া সনদ কিনা তা যাচাই করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিড়্গা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনকে তদন্ত করতে বলা হয়।
১৯২৯ সালের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১২ ধারা মোতাবেক বাল্যবিয়ে থেকে শিশুদের রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের একটি বার্তা দেয়া হয়েছে। যে সকল চেয়ারম্যান কোন নাবালিকা শিশুকে জন্ম সনদ প্রদান করবে
এবং যে সকল কাজী কন্যা শিশুর বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে সম্মত হবে তাদের বিরম্নদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসান সিদ্দিক বাল্যবিয়ে বন্ধে কঠিন মনোভাবের কারণে এলাকায় সচেতন মহল সহ সর্বসত্মরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে বাল্যবিয়ে বন্ধে জেল , নোটিশ প্রদান ও নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু হাসান সিদ্দিক জানান, বাল্যবিয়ে বলতে কোন শব্দ থাকবে না।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ে সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জামালপুর জেলা প্রশাসক জনাব মো. শাহাবুদ্দীন খান স্যারের সার্বিক পরামর্শক্রমে সমূলে বাল্যবিয়ে নির্মূল করা হবে।