“কাজীর গরু কিতাবে আছে গোঁয়ালে নেই”

G M Fatiul Hafiz Babu

সেবা ডেস্ক:

জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি অসিত্মত্বহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে কাগজে- কলমে চলমান দেখিয়ে ভূয়া প্রতিবেদন দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ড়্গোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ যেন “কাজীর গরু কিতাবে আছে , গোঁয়ালে নেই ” প্রবাদ বাক্যের মত।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১৯৮৪ সালে মেরম্নরচর ইউনিয়নের আইরমারী দড়্গিণ পাড়া গ্রামে ইবতেদায়ী স্বতন্ত্র মাদ্রাসা নামে একটি স্বতন্ত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠত হয়। আইরমারী দড়্গিণ পাড়া গ্রামের হাছেন আলী ও হাতেম আলী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার জন্য ৪০ শতাংশ জমি প্রদান করেন।
কিছু দিন মাদ্রাসার পাঠদান চলার পর অবকাঠামো ও শিড়্গার্থীর অভাবে সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই মাদ্রাসার শুধুমাত্র কাগজে-কলমে অসিত্মত্ব টিকিয়ে রেখেছে মাদ্রাসার প্রধান শিড়্গক। বর্তমানে মাদ্রাসার নামে যে জমিটি দেয়া হয়েছিল সেই জমিতে একটি কাঠের বাগান ছাড়া আর কিছু  খুঁেজ পাওয়া যায়নি। ভৌত অবকাঠামো দূরে থাক এটি যে মাদ্রাসা তার চিহ্নও নেই। মাদ্রাসার প্রধান শিড়্গক (ইবতেদায়ী প্রধান ) সংশিস্নষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপড়্গের সাথে যোগসাজশ করে ভূয়া ম্যানেজিং গঠন করে মাদ্রাসার কাগজে -কলমে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে। এবং কি ওই ভূয়া কমিটির মাধ্যমে অবৈধভাবে শিড়্গক নিয়োগ দিয়েছে।

এরই মধ্যে অবকাঠামোহীন এই মাদ্রাসার স্বীকৃতি নবায়নের জন্য একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
 উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন মাদ্রাসাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে গত ২২ জুন একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দাখিল করেন ।
 প্রতিবেদনে মাদ্রাসা পরিদর্শনের দিন ১৬০ জন শিড়্গার্থীর মধ্যে ৮৫ জনকে উপসি'ত দেখানো হয়েছে। অথচ কোন শিক্ষার্থী খুঁেজ পাওয়া যায় নি মাদ্রাসার । যেখানে কোন ঘরই নেই সেখানে সেই মাদ্রাসার গৃহের বর্ণনা দেয়া হয়েছে ১৩০ দৈর্ঘ্য ও ৬৬ ফুট প্রস্থ একটি টিনসেড ।
এছাড়াও শিক্ষকদের পাঠদান ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠন্নেতি সম্পর্কে মতামত দেয়া হয়েছে সনেত্মাষজনক। গত ২৫ জুলাই মাদ্রাসা ও শিক্ষক নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুনরায় দাখিল করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
 এর আগে গত ১৮ জলাই এই চূড়ান্ত
প্রতিবেদনটি দাখিল না করতে উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত আবেদন করেন মাদ্রাসার জমিদাতা হাছেন আলী।

মাদ্রাসার জমিদাতা হাতেম আলী জানান, আমরা সরেজমিনে তদনত্মপূর্বক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করেছি। কোন মিথ্যা প্রতিবেদন যেন না দেয়া হয় সেজন্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসা টির কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ থাকার কারণে মাদ্রাসাটি পুনঃপরিদর্শন করতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top