সেবা ডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা গ্রহণ করে অর্থনৈতিক ভাবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করা একমাত্র স্বল্পোন্নত দেশ হলো বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটছে বাংলাদেশের। একইসঙ্গে দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন একটি পরিচিত নাম।
১৯৭১-৭২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ১৭৫ কোটি টাকা। আজ বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫ টি পণ্য কয়েকটি দেশে রফতানি করে আয় করতো ৩৪৮ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৫০ টি পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করছে সার্ভিস সেক্টরসহ ৩৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পুরো দেশকে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সহজ রেল সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বাণিজ্য প্রসারে বাংলাদেশ-লিবিয়া জয়েন্ট চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হচ্ছে। বহির্বিশ্বে বর্তমানে সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ হিসেবে আরো ১২ টি দেশে নতুন দূতাবাস ও ১৭ টি মিশন খোলা হয়েছে।
দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে সরকারের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার।