সেবা ডেস্ক: শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। তাই বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষাখাতে বাজেটের পরিমান। ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটে দেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মত শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বাজেট নির্ধারণ করা হয়। এ বাজেট কোন শিক্ষা কার্যক্রমে কীভাবে ব্যয় হবে তার একটি খসড়া ধারণাও পাওয়া যায় এই বাজেটে।
প্রস্তাবিত মোট বাজেটের ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার মধ্যে শিক্ষা উন্নয়ন খাতে ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব অর্থে ১০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা, উপবৃত্তি, পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের পরিধি বাড়বে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক ওয়াশব্লকসহ ৬৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ, ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক কক্ষ, ৫ হাজার বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও ৩০ হাজার খেলার সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ খাতে সারাদেশে ১০০টি উপজেলায় ১টি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করা হবে। যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করতে দেশের ৩৮৯টি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া, ৪টি বিভাগীয় শহরে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক, নারীদের বাস্তবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে গার্লস টেকনিক্যাল স্কুল, ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং সব বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে ৩৫টি মডেল মাদরাসা স্থাপন ও ৫২টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু এবং দেশের ৬৫৩টি মাদরাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
শিক্ষাখাতে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ এই বাজেট প্রমান করে যে শিক্ষার উন্নয়নে আপোষহীন বাংলাদেশ।