
সেবা ডেস্ক: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাসান উদ্দিন সরকার বিতর্কিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মামলা তো রয়েছেই, এর উপর এলাকাবাসীর মুখে তার আরো কুকীর্তি ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। কেননা তার প্রত্যক্ষ মদদে গাজীপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা চলে আসছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথেও তার যোগসাজশের প্রমান মিলেছে। নতুন করে যে কথাটি চাউর হচ্ছে তা হল গৃহপরিচারিকা সুরাইয়ার সাথে তার পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হয় নিরীহ যুবক রাতুল।
হাসান উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ এক কর্মী মারফত জানা যায় যে, হাসান উদ্দিনের গৃহে কাজ করতে গিয়ে হাসানের কুৎসিত কামবাসনার শিকার হয় এক সন্তানের জননী বিধবা সুরাইয়া। টঙ্গী কলেজগেইটে সুরাইয়াকে পরবর্তীতে বাসা ভাড়া করে দিয়ে ভরণ পোষণ করেন হাসান। ২০১১ সালে সুরাইয়ার গর্ভে জন্ম নেয় হাসান উদ্দিনের কন্যা সন্তান। এ কারণে সুরাইয়া হাসানকে বিয়ে করার জন্যে বায়না ধরে। অসহায় সুরাইয়ার কষ্টের কথা চিন্তা করে সুরাইয়ার মামাত ভাই রাতুল সুরাইয়াকে বিয়ে করবার জন্যে হাসান উদ্দিন সরকারকে মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। যা হাসান উদ্দিন সরকারের সাথে তার বিরোধের কারণ হয়ে দাড়ায়। অবশেষে রাতুল হাসান উদ্দিনের অপকর্ম ফাঁস করবার হুমকি প্রদান করলে, ঠান্ডা মাথায় রাতুলকে খুন করেন হাসান সরকার। এবং পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সুরাইয়াকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি।
নিজের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে মানুষ খুন করতেও যে ব্যক্তির হাত কাঁপেনা, সে ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ হবে তা বিবেচনার দায়িত্ব গাজীপুরবাসীর ওপরই বর্তায়।