বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এবার মনোনয়ন বাণিজ্যে

S M Ashraful Azom
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এবার মনোনয়ন বাণিজ্যে

সেবা ডেস্ক: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারেক জিয়ার মনোনয়ন বাণিজ্যের পর এবার সেই পথেই হাঁটছে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট- এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। বরিশালের মেয়র আহসান হাবীব কামালের পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বিএনপি নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাত থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে সে অভিযোগ আরও গুরুতর হয়ে উঠে।

জানা গেছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিএনপির তিন নেতা কামালকে মনোনয়ন দিতে চান। যিনি নানান অভিযোগে দীর্ঘ দুই বছর ধরে বিএনপির কোনো কমিটিতে নেই। এমনকি বেশ কয়েকবার বরিশাল নগরীতে কামালকে বিএনপিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মিছিল-সমাবেশও হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সাথে যোগসূত্র, দুর্নীতি ও নানান অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত কাউন্সিলে কামালকে বিএনপির সকল পদ থেকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অব্যাহতি দেন। এছাড়া বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে মেয়র হলেও দলের কোনো কর্মসূচিতে দীর্ঘ ৫ বছর দেখা মেলেনি কামালের। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় কাজের অজুহাত দিয়ে নিজেকে বিএনপি থেকে বিরত রাখলেও আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতে সরব ছিলেন কামাল। নিজেকে আওয়ামী লীগের অনুগত হিসেবেও পরিচয় দেন বেশ কয়েক বছর থেকে।

সূত্র জানায়, কামালের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ নিয়ে বরিশালের বিএনপি নেতা মাসুম হাসান আপত্তি তুললেও তাকে বিভিন্ন অজুহাতে শান্ত করা হয়।

জানতে চাইলে মাসুম হাসান বলেন, দেখেন, এর আগেও কামাল এক নেতাকে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে পদ নিতে চেয়েছিলো। এখন আরও একাধিক নেতাকে হাতে রেখেছেন ফের মেয়র হওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন। আমাদের কাছে তথ্য আছে, প্রায় এক কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি ওই নেতাদের হাত করেছে।

এদিকে বিগত সময়ে কামালের বিরুদ্ধে একশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বরিশাল নগরীর সড়ক মেরামতে অনিয়ম-দুর্নীতির আরও একটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের অক্টোবরে ২৬টি দরপত্র আহ্বান করে একশ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হাতে নেয় বিসিসি। এর মধ্যে সিংহভাগ কাজ ছিল নগরীর ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণে। বিসিসি কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা পরস্পর যোগসাজশে ড্রেন, রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের রড, সিমেন্ট, ইট, বালু ব্যবহার ও পরিমাণে কম দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ফলে টাকার প্রাচুর্যে থাকা মেয়র আহসান হাবীব কামাল যেকোন মূল্যে মনোনয়ন চায় বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top