বিএনপির মেয়র প্রার্থী রফিকুলের যত নেতিবাচক দিক কক্সবাজার

Seba Hot News
বিএনপির মেয়র প্রার্থী রফিকুলের যত নেতিবাচক দিক কক্সবাজার

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া নেতিবাচক একাধিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ অবস্থায় থমকে গেছে তার নির্বাচনী প্রচারণার অগ্রগতি। ক্রমেই হ্রাস পেতে শুরু করেছে তার জনপ্রিয়তা। জানা গেছে, বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি রফিকুল একাধিক নারী কেলেঙ্কারিতেও জড়িত ছিলেন। যা তার জনপ্রিয়তা হ্রাসের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন সময়ের তথ্য পর্যালোচনা করে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো হলো-
জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার বৃহত্তর বাহারছড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু শামা গ্রুপকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেন রফিকুল ইসলাম। উক্ত সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্যান্য সদস্যেদের মধ্যে বাহারছড়ার জয়নাল ও হেলাল অন্যতম।
রফিকুল ইসলামের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম দিক হচ্ছে তার পরকীয়ায় সম্পৃক্ততা। জানা গেছে, ৭/৮ বছর পূর্বে কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কবরস্থান পাড়ার খুরশিদ আরা নামের এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রফিকুল ইসলাম। পরকীয়ার জের ধরে খুরশিদ আরার স্বামী আবু তাহেরের সাথে খুরশিদ আরার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এই ঘটনা সেসময় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ তাকে চরিত্রহীন রফিক নামে ডাকতে শুরু করে। তার নামের সাথে যা এখনো জড়িয়ে আছে। কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় বিচার-সালিশের নামে অসংখ্য প্রবাসীদের স্ত্রীর সাথে রফিকুল ইসলামের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগও অনেক পুরনো।
অন্যদিকে গত ৩/৪ বছর পূর্বে কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সমিতি পাড়ায় উপকূলীয় শিক্ষা নিকেতন মাঠে একটি স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠীর অভিষেক অনুষ্ঠানে যান রফিকুল ইসলাম। তিনি সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অভিষেক অনুষ্ঠানের পর বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে প্রকাশ্যে সাংস্কৃতিক শিল্পীদের নিয়ে মঞ্চে অশ্লীলভাবে নাচ-গান শুরু করলে এলাকাবাসী তাকে জুতা পিটা করে। সেসময় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন এই নেতা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেসব কর্মকাণ্ড ঘুরছে মানুষের মুখে মুখে।
উল্লেখিত অভিযোগ ছাড়াও কক্সবাজারে নির্বাচনী মাঠ ঘুরে ভোটারদের মুখে মুখে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায়। সেসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও তথ্য-প্রমাণাদির অপর্যাপ্ততায় অভিযোগগুলো উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২৫ জুলাই কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top