
সেবা ডেস্ক:২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বর্মি সেনাদের অতর্কিত হামলার মুখে মিয়ানমার থেকে ধাপে ধাপে প্রায় দশ লাখেরও ওপর রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সেসময় মিয়ানমার সেনারা সেদেশের রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, শিশু-বৃদ্ধসহ যাকে বন্দুকের নলের সামনে পেয়েছে তাকেই নিষ্ঠুরতার সাথে হত্যা করেছে। এমনকি নিহতের লাশটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুবলে খুবলে বিকৃত করেছে।
এমন অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করে পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সীমারেখায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়।
এমনও হয়েছিল বর্মিসেনাদের নির্যাতনের ছবিসহ বিশেষ প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে যাওয়া মিয়ানমারের রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে জেলের সাজা পেতে হয়েছে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের বাস্তব চিত্র প্রথমে লুকিয়ে ফেলতে চাইলেও সাংবাদিকদের তৎপরতায় তা বিশ্বব্যাপী প্রকাশ পায় স্পষ্টতই। যেখানে এর পরপরই শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের অং সান সুচির তার নীরবতা ও রোহিঙ্গা হত্যার সমর্থন দেয়ায় বেশ সমালোচনায় পড়ে। একই সাথে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।
মাঝের সময়টাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার বিভিন্ন ধরণের উষ্কানী দিয়েছে বাংলাদেশকে। নীরব থেকেই পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ধরে রেখে আলোচনার তাগিদ দিতে থাকেন শেখ হাসিনা। তবে বেশ কয়েকবারই মিয়ানমার রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের আশ্বাস দিয়েও তা না রাখায় বিদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো সূচিসহ মিয়ানমারের ব্যাপক সমালোচনা করে।
বাংলাদেশ বরাবরই জাতিসংঘের কাছে যতটা সম্ভব দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা চেয়ে আসছিল। প্রথম দিকে জাতিসংঘ মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে তেমন একটা তোরজোর না করলেও এবার রোহিঙ্গা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।
এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সঙ্কট দ্রুত সমাধানে সবার দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এখন তাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠানো নিশ্চিত করতে বিশ্বের সবার জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।