
রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ব্রম্মপুত্র নদদ্বারা বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলীয়, ভারত আসাম সীমান্তবর্তী রৌমারী উপজেলাটিতে প্রায় ৩ লক্ষ লোকের বসবাস। এ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ১৪২৬ বাংলা সনের ইজারায় রয়েছে ১৭টি হাট-বাজার। তার মধ্যে ২টি হাট গরু মহিষের জন্য বিখ্যাত। হাট ২টি রৌমারী সদর হাট ও কর্তিমারী হাট-বাজার।
রৌমারী হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার সপ্তাহে ২দিন ক্রয় বিক্রয়ে গরু, মহিষ, ধান, পাটসহ রবি ফসলের বিখ্যাত। উভয় হাট দুটি হাট বাজার ইজারায় প্রতিযোগীতায় সরকারের নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে নিয়ে সরকারের নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইজারাদারের মনগড়া আইনে অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি বেপরোয়া ভাবে উভয় পক্ষে অতিরিক্ত টোল আদায়ের চাঁদাবাজীতে প্রশাসনের তদারকী না থাকায় ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী মহল অতিষ্ট। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
রৌমারী ও কর্ত্তিমারী বাজারে হাট ইজারাদারের মদদে প্রতি হাটে সরকারের বিঁিধ নিশেধ উপেক্ষা করে ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়কে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে খাজনার আওতায় আনা হয়েছে। মনে হয় যেন হাটটি সরকারের আওতাভুক্ত নয়। বছরের শুরুতে হাট থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাটের প্রশাসনিক ভাবে তদারকি ও বিভিন্ন স্থানে সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের তালিকা (সাইন বোর্ড) টানানোর নিয়ম থাকলেও এধরনের সাইন বোর্ড ব্যানার ও প্লাকার্ড না থাকায় রৌমারী ও রাজিবপুরের কিছু সাংবাদিককে ম্যানেজ করে অবাধে অনিয়ম দুর্নীতি ও লুট পাটের মহৎসবে মেতে উঠেছে হাট ইজারাদার। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে খাজনার আওতায় এনে সরকারী নিয়মের অতিরিক্ত টোল আদায়ের মাধ্যমে প্রতি হাটে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। লুজার হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতাগণ। কিন্তু সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইজারাদারের মনগড়া আইনে প্রতিটি গরু বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। মহিষের বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা এবং ক্রেতার কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা।
ছাগল ভেড়া বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা এবং ক্রেতার কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে। অতিরিক্ত টোল আদায়ে ক্রেতাকে কোন প্রকার রশিদ দেয়া হয়না এবং বিক্রেতাকে যে রশিদ দেয়া হয় তাতে কোন টোল আদায়ের দর লেখা হয়না। আরো দেয়া হয়েছে ধান, পাট, সরিষা হাটিসহ চান্দিনা হাট বিভিন্ন লোকদেরকে সাব ইজারা দেয়া হয়েছে এবং তারা অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। ইজারাদারের মদদে প্রতি হাটে চোরাই মোবাইল ফোন ও বাইসাইকেল বেচা কেনা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মালামাল বাহী গাড়ী, বয়লার মুরগীর গাড়ী থেকেও অতিরিক্ত টোল নেয়া হচ্ছে।
এভাবে নেয়া হচ্ছে মনোহারির মতো বিভিন্ন দোকান পাট, ফুট পাতের দোকানসহ সকল প্রকার দোকানে নেয়া হচ্ছে নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত টোল। হাট ইজারাদার সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উভয়ের নিকট অতিরিক্ত টোল আদায় করে আসলেও রহস্যজনক কারনে প্রশাসনসহ এনিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায়ে অবাধে অনিয়ম দুর্নীতি ও লুট পাটের মহৎসব কায়েম করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
ক্রেতা বিক্রেতা আশরাফ আলী, ফুলমিয়া, রহিজ উদ্দিন, বেলাল হোসেন, আব্বাস আলী, হযরত আলী, আফজাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, কসব আলীসহ অনেকে বলেন, আমরা গরু মহিষ, ছাগল ভেড়া রৌমারী বাজারে বিক্রয় ও ক্রয় করতে এসে উভয় পক্ষকে খাজনা দিতে হয়। আমরা প্রথমে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার ব্যাপারে কথা কাটাকাটি করেছিলাম।
এ অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই। বাধ্য হয়ে উভয় পক্ষ খাজনা দিচ্ছি। আপনারা সাংবাদিক, আপনারাই হয়তো আমাদেরকে ইজারাদারের অনিয়ম দুর্নীতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারবেন। অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী মহল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
হাট ইজারাদারকে অতিরিক্ত টোল আদায় ও অনিয়ম দুর্নীতির কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, আমরা কোন অনিয়ম করিনা হাট-বাজার বেশি টাকায় ইজারা নেয়ায় টোল আদায়ে বেশী হচ্ছে এবং আমরা তো সাংবাদিকসহ সব ম্যানেজ করেই উভয় পক্ষের নিকট টোল আদায় করে আসছি। আমাদেরকে তো লাঠি শোঠা নিয়ে মারতে আসতে পারবে না। এতে যদি কেই কিছু লেখে লিখবে। কিছুই হবে না।
এবিষয়ে গত ২৭ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায়কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি ঢাকায় যাচ্ছি এসে ব্যবস্থা নিবো।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।