জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহে মিথ্যা তথ্যদিয়ে নোটারি পাবলিক এফিডেভিটের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের চেষ্টা রুখে দিলেন মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ১১ জুন দুপুরে ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাল্যবিয়ে বন্ধের এই সিদ্বান্ত দেন।
জানাগেছে, গত ২৮ মার্চ বিকেল ৪টায় মাহমুদপুরের পাছপয়লা গ্রামের আ: হাকিমের মেয়ে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী সাবিহা আক্তার (১৪)কে পাশের গ্রামের বগানাংলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির আহাম্মেদ জয় (১৬) এর সাথে বিয়ে দেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও তামিম আল ইয়ামীনের নির্দেশে মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মেম্বার এবং মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল কাশেম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিয়ের গেট-প্যান্ডেল ভেঙ্গে বিয়ে পন্ড করে দেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর-কনের পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরদিন গ্রাম্য মুন্সী দিয়ে আবারো সেই বিয়ে সম্পাদনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। খবর পেয়ে ইউএনও উভয় পক্ষকে শতর্কসহ মুচলেকায় স্বাক্ষরও নেন। ওদিকে মেয়ের পক্ষ কৌশলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নাবালক ছেলে সাব্বির আহমেদ জয়ের কাছ থেকে নোটারি পাবলিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর নেয়।
উল্লেখ্য, কাবিন নামা অনুযায়ী ছেলের পিতা-মাতার বিয়ের বয়স চলছে ১৯ বছর। কিন্তু এফিডেভিটে ছেলের বয়স দেখানো হয়েছে ২৬ বছর। বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টিগোচর হয়। এ প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ১১ জুন উভয় পক্ষকে ডেকে বাল্যবিয়ে নাদিতে আবারো সতর্ক করেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।