
সেবা ডেস্ক: পরিবতর্ন করা হয়েছে নতুন পাসপোর্ট করার জন্য ফি সংক্রান্ত নিয়ম। বর্তমানে ভ্যাটসহ জরুরি ফি ৩ হাজার ৪৫০ টাকা ও অতি জরুরি ফি ভ্যাটসহ ৬ হাজার ৯০০ টাকা।
নতুন নিয়মে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পেতে হলে সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশে দূতাবাসে যারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন তাদের সর্বোচ্চ ফি ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ১০০ ডলার জমা দিতে হবে।
তবে বিদেশে দূতাবাসে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৩০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১লা আগস্ট একটি পরিপত্র জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। পরিপত্রে সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি এ তিনভাবে ই-পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ই-পাসপোর্ট কী?
এমআরপি পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে। প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকবে ই-পাসপোর্টের মতো।বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
ডাটাবেজে তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ।
ফলে কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।
পাসপোর্ট অধিদফতরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান বলেন, অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা হচ্ছে ই- পাসপোর্ট। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। তাই সেই তালিকায় যুক্ত হতে চাচ্ছি।
এমআরপি আর ই-পাসপোর্টের পার্থক্য
এমআরপি আর ই-পাসপোর্টের পার্থক্য অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো।
এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন।
অন্যদিকে ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন।
ই-পাসপোর্টের সুবিধা কী?
খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ই-গেট ব্যবহার করে তারা যাতায়াত করবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাদের ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমে দ্রুত তাদের ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে।
তবে যখন একজন ভ্রমণকারী ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে যাতায়াত করবেন, সঙ্গে সঙ্গে সেটি কেন্দ্রীয় তথ্যাগারের (পাবলিক কি ডাইরেক্টরি-পিকেডি) সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে।
ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন।
তবে কারো বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে।
কতদিন মেয়াদ হবে?
বয়স ভেদে পাসপোর্টের এই মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে। তবে পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি ততে পারে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।