সেবা ডেস্ক: এবার ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো পাকিস্তান। এর আগে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায়, নয়াদিল্লির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।
এদিকে, কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই এবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। গুলি ছুঁড়ে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। এ অবস্থায় অবরুদ্ধ কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়।
ভূস্বর্গ কাশ্মীর যেন এক মৃত নগরী। হারিয়েছে চিরচেনা কর্মব্যস্ততা। সাধারণ কাজকর্ম করতে পারেছন না সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকের মধ্যেই বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক।
এমন পরিস্থিতিতে যারা বাসা থেকে বের হয়েছেন, তারা মুখোমুখি হয়েছেন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার।
একজন বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও বন্ধ। খাদ্য সংকটে পড়েছি। ১৪৪ ধারা চাই না।
আরো একজন বলেন, 'আমাদের দেশে এখন আমাদেরই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।'
কাশ্মীরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যেই বুধবার রাতে রাজৌরি জেলার সুন্দরবানি সীমান্তে পাকিস্তান মর্টার শেল হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। পরে ভারতও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় নয়দিল্লির জন্য নিজেদের আকাশসীমা আবারো আংশিক বন্ধ করেছে ইসলামাবাদ। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তার আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার পাশাপাশি সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করা হয়। পার্লামেন্টে এ নিয়ে কথা বলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের গলিতে গলিতে এখন থেকে একটাই আওয়াজ উঠবে- তা হলো কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের। নরেন্দ্র মোদিকে বলবো, সাহস থাকলে কারফিউ সরিয়ে দেন। সেনাদের প্রত্যাহার করুন, দেখুন কাশ্মীরবাসী কি করতে পারে। চীনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই সংকটের সমাধান করবো।
সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীরিরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল ও রাজ্যটিকে দুই ভাগে ভাগ করার বিল পাসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে কিছুই জানতো না। এ নিয়ে তারাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও।
এ অবস্থায় কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ভারতের নয়াদিল্লিতেও বিক্ষোভ করেন বাম নেতারা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।