অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়কারীদের যে পরিণতি হবে!

S M Ashraful Azom
0
অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়কারীদের যে পরিণতি হবে!
সেবা ডেস্ক: আমাদের সমাজে যারা জোরপূর্বক ও অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে তারা নিজেরাও যুলুমবাজ এবং তারা যুলুমবাজদের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারীও।

চাঁদাবাজরা যে চাঁদা আদায় করে, তা যেমন তাদের প্রাপ্য নয়, তেমনি যে পথে তা ব্যয় করে তাও বৈধ পথ নয়। এ জন্য রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘অবৈধ চাঁদা আদায়কারী জান্নাতে যাবে না।’ (আবু দাউদ)

পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা মানুষের ওপর যুলুম করে এবং পৃথিবীতে অবৈধভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের জন্য যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।’(সূরা আশ-সূরা-৪২)

এর কারণ এই যে, জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কারী আল্লাহর বান্দাদের ওপর যুলুম ও শোষণ চালায়। তাদের কষ্টোপার্জিত অর্থ কেড়ে নেয়। এ ধরনের লোকেরা কিয়ামতের দিন মজলুমদের প্রাপ্য দিতে পারবে না। যদি তাদের কবুলকৃত কোনো সৎকর্ম থাকে,তবে তাই দিতে হব। নচেত যুলুমদের পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। এ সংক্রান্ত হাদিস ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃক দরিদ্র হলো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন প্রচুর নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত নিয়ে আসবে। কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়ে আসবে, প্রহার করে আসবে অথবা কারো সম্পদ আত্নসাৎ করে আসবে। অতঃপর এই সকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে একে একে তার পুন্যকর্ম দিয়ে দেয়া হবে। যখন পুন্যকর্ম ফুরিয়ে যাবে, তখন মযলুমদের  পাপ কাজ তার ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

যে হাদিসে এক ব্যভীচারিণী রমণীকে পাথর মেরে হত্যা করার বিবরণ এসেছে, তাতে রাসূল (সা.) বলেন, ‘এই মহিলা এমন তওবা করেছে যে, জোরপুর্বক চাঁদা আদায়কারীও যদি তেমন তওবা করত, তবে তার গুনাহ মাফ হয়ে যেত। এ থেকে বুঝা যায় এটি কত বড় মারাত্নক ও গুনাহর কাজ। বস্তুত: জোরপূর্বক অর্থ আদায় করার কাজটি ডাকাতি রাহাজানি সদৃশ। জোরপূর্বক চাঁদা যে আদায় করে, যে তার সহযোগিতা করে, যে দেখে, যে সাক্ষী থাকে, তারা সবাই এই পাপের সমান অংশীদার। তারা সবাই হারামখোর। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে গোশেতের টুকরাটি হারাম সম্পদ থেকে উৎপন্ন হয়, তা জাহান্নামের উপযুক্ত।’

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কারো সম্পদ সে স্বেচ্ছায় না দিলে হালাল হয় না।’

একবার হজরত জাবির (রা.) রাসূল (সা.)-কে এসে বললেন, হে রাসূল! আমার মদের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসায় থেকে আমার বেশ কিছু সঞ্চিত নগদ অর্থ রয়েছে। আমি যদি তা দিয়ে আল্লাহর কোনো ইবাদত বা পুন্যের কাজ করি, তবে তাতে কি আমার উপকার হবে? রাসূল (সা.) বলেন, তুমি যদি সেই অর্থ হজ, জিহাদ, অথবা সদকায ব্যবহার কর, তবে তা আল্লাহর কাছে একটা মাছির ডানার সমানও মর্যাদা পাবে না। আল্লাহ পবিত্র সম্পদ ব্যতীত কোনো কিছু গ্রহণ করে না। তখন আল্লাহ এই বক্তব্যের সমর্থনে নাজিল করলেন, ‘হে নবী? তুমি বল, পবিত্র ও অপবিত্র জিনিস সমান নয়, যদিও অপবিত্র জিনিসের আধিক্য তোমাকে মুগ্ধ কর।’ ইমাম আতা ও হাসান বসরী বলেন, পবিত্র ওঅপবিত্র দ্বারা যথাক্রমে হালাল ও হারামকে বুঝানো হয়েছে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top