সেবা ডেস্ক: সবজির মধ্যে করলা সবারই পরিচিত। অনেকেই নামটি শুনে তেতোর কথা মনে পড়ে গেছে। স্বাদ তেতো হওয়ায় অনেকেই সবজিটি খেতে পছন্দ করেন না। তবে এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। করলাতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের যেকোনো ধরনের ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে।
করলা চায়ে থাকা ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখে। এছাড়াও রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, লিভার পরিষ্কারে, ডায়াবেটিস ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী এই করলা। রান্না করা করলা খাওয়ার চেয়ে কাচা করলার জুস খেলে সমস্ত পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে পাওয়া যায়।
যারা অবশ্য করলার জুস খেতে পারেন না তারা কিন্তু অনায়াসে এর চা পান করতে পারেন। খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন করলার চা। জেনে নিন পদ্ধতি-
প্রণালী: কিছু পরিমাণ শুকনো বা তাজা করলা টুকরো করে কেটে নিন। পানি এবং মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মধু নিন। করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়।
পদ্ধতি: প্রথমে চুলায় সস্যপ্যান বসিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। তার মধ্যে করলার টুকরো দিয়ে দশ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য পানিতে মিশে যায়। পানির রং পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর মধু বা চিনি মিশিয়ে কম আঁচে কিছুক্ষণ রাখুন। এখন চুলা থেকে নামিয়ে কাপে চা ছেঁকে নিন। আপনার করলার চা তৈরি। তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে করলার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই করলার চা আপনার রোজকার ডায়েটে ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।