
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিশ্বের অনেকগুলো দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সোমবার রাজধানীর এক হোটেল পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেডের (পিপিইজেড) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
সালমান এফ রহমান বলেন, চীন, জাপান ও ভারতের পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেক দেশ এখন বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় সিকদার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড মংলা সমুদ্রবন্দরের কাছে ২০৫ একর জমিতে দেশের প্রথম বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। এটি মংলা সমুদ্রবন্দরের এক কিলোমিটারের মধ্যে ও বাগেরহাটের হজরত খানজাহান আলী বিমানবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পাবন চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব ও পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বহুজাতিক সংস্থা ইউনিলিভার ও সিকদার গ্রুপের আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।
পিপিইজেডের কর্মকর্তারা জানান, মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। প্রায় ৪৪ শতাংশ প্লট এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি ৫৬ শতাংশ আগ্রহী স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেয়া হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার সব ধরনের প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল ধারণাটি দেশে বিদেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে সমাদৃত হয়েছে। সরকার এখন পর্যন্ত ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শিল্পাঞ্চলগুলোতে পরিষেবা নিশ্চিত করতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য পাওয়ার প্যাকের প্রশংসা করে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পাবন চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন সরকারের পক্ষে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ প্রাথমিকভাবে এ জাতীয় প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই, সিলেট, মুন্সিগঞ্জ ও বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে আরো অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একের পর এক ব্যর্থতার পরে এখন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান হয়ে উঠেছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।