
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান অভিযান চলবে। দুর্নীতি, অনিয়ম, দখলদার টেন্ডারবাজ, সহিংসতা বন্ধসহ দারিদ্র্যদূরীকরণে বর্তমান সরকারের নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ।
সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। দলমত সকল কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে অনিয়ম, অসংগতি, যেখানে আইন অমান্য হচ্ছে বা দুর্নীতি হচ্ছে সেখানেই এ অভিযান চলতে থাকবে।
টেন্ডারবাজ ও দুর্নীতিবাজসহ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। সব ধর্মের প্রতিনিধিরা নির্বিঘ্নে তাদের ধর্ম পালন করছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কে পাহাড়ী, কে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এসব দেখা হচ্ছে না।
আজ শনিবার ‘বর্তমান সরকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। রাজধানীর তেঁজগাওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসিতে) অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ঢাকা কলেজকে হারিয়ে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবরার হত্যাকাণ্ড একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, আমরা এ ঘটনায় বিস্মিত হয়েছি। ব্যথিত হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। কিভাবে বুয়েটের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাল তা আমাদের আশ্চর্য করেছে। অতি দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আবরার হত্যাকাণ্ডের একটি নির্ভুল চার্জশিট দেওয়া হবে। নিজ মন্ত্রণালয়ের সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, আনসারসহ সব প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যে আশা জাগিয়েছেন তা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা এই শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এই অভিযান কতদিন চলবে, এর ব্যাপকতা কতখানি হবে, শুধু কি টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি এই অভিযান আরো সম্প্রসারিত হয়ে সর্বক্ষেত্রে পরিচালিত হবে- তা নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। তবে শুধু ক্যাসিনো সম্রাটদের নয়, ঘুষ, দুর্নীতি, শেয়ার বাজার জালিয়াতি, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতকারী, খাল-বিল, নদী-নালা দখলকারিসহ ভূমিদস্যুদের দৃশ্যমান বিচার করতে পারলেই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরো বেড়ে যাবে।
দেশের টাকা লুট করে যারা ইউরোপ-আমেরিকায় প্রাসাদ বানিয়েছে, মালয়েশিয়া ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে, দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করে বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের তালিকা প্রকাশ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সরকারি আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সকল মহাদুর্নীতিবাজদের তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে জনগণের সন্মুখে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো আর কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সাহস পাবে না। তিনি আবরার হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট অতি দ্রুত প্রদান করে অপরাধীদের দৃশ্যমান শাস্তির আহবান জানান।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন- সাংবাদিক মোরছালীন বাবলা, সাজেদা পারভীন সাজু, পারভেজ রেজা, রোকসানা আনজুমান ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।