‘মিড ডে মিল’ এ তৃপ্ত হবিগঞ্জের ৮০ হাজার শিক্ষার্থী

S M Ashraful Azom
0
‘মিড ডে মিল’ এ তৃপ্ত হবিগঞ্জের ৮০ হাজার শিক্ষার্থী
সেবা ডেস্ক: ‘দুপুরে আদরের সন্তান বিদ্যালয়ে কি খাবার খাবে’ শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠানোর পর এ চিন্তা করেন অভিভাবকরা। কখনো সন্তানদের সঙ্গে টিফিন বা টাকা দেন তারা। এসব খাবার ফুড পয়জনিং বা কেনা অস্বাস্থ্যসম্মত খাবারে নানা রোগে আক্রান্ত হয় শিক্ষার্থীরা। সে বিবেচনায় ২০১৯ সালে সারাদেশের মতো হবিগঞ্জেও ‘মিড ডে মিল’ চালু করেছে সরকার। এতে তৃপ্তির কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

হবিগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় ১৭৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ে ‘মিট ডে মিল’ চালু হয়েছে।  এর মধ্যে এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্য ৮০ হাজার ৩২৫ শিক্ষার্থী ২০ টাকার বিনিময়ে সুবিধাটি ভোগ করছেন। এছাড়া শিক্ষকরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

শিক্ষার্থী দিপ্তি আক্তার বলেন, আগে ক্ষুধা নিয়ে স্কুলে আসতাম। সময় মতো খাবার না খেলে ক্লান্তি লাগত। পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারতাম না। ‘মিড ডে মিল’ চালুর পর স্কুলে আসতে ভাল লাগে। খাবার খেয়েও মজা পাই। এতে ক্লাস করতে আগের মতো ক্লান্তি লাগে না।

শিক্ষার্থী সৃজন বৈষ্ণব বলেন, স্কুলে আসার সময় ব্যাগে টিফিন বক্স আনতে হতো। যা ছিল কষ্টকর। কিন্তু ‘মিড ডে মিল’ চালুর পর খাবার নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হয় না। সঠিক সময়ে স্কুলেই খাবার সেরে নেয়া যায়। এতে খাবারের মধ্য আমরা তৃপ্তি পাই।

অভিভাবক আব্দুস সালাম বলেন, এক সময় শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে তৈরি করা খাবার স্কুলে নিতো। এতে অনেক সময় টিফিনের খাবার পয়জনিংয়ে পরিণত হতো। এছাড়া বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা খাবার অনেক শিক্ষার্থী টিফিন হিসেবে গ্রহণ করত। এতে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ত। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা খাবারের উদ্দেশ্যে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর ফিরতো না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ‘মিড ডে মিল’ পাওয়ার পর চিত্র বদলে গেছে। এতে তারা তৃপ্ত।

শহরের বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুধাংশু কর্মকার জানান, স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা সরকারের অত্যন্ত দূরদর্শী পরিকল্পনার মধ্যে একটি। ফলে শিক্ষার্থীরা পুষ্টির পাশাপাশি ক্লাসের পুরো সময়টায় মনযোগী হয়ে উঠছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল।

জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রুহুল্লাহ জানান, ‘মিড ডে মিল’ চালুর পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার পরিবেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগে দুপুরে দোকান থেকে কেনা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতো শিক্ষার্থীরা। ফলে অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। কিন্তু এখন বিদ্যালয়ে রান্না করা স্বাস্থ্যকর ও মানসম্পন্ন খাবার গ্রহণে অসুখ মুক্ত থাকবে শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরো জানান, অনেক শিক্ষার্থী দুপুরের বিরতির সময় বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যেত। আবার অনেকে শক্তিহীনতার কারণে অমনযোগী হয়ে পড়ত।  ফলে সব বিষয় উপলদ্ধি করে সরকার কার্যক্রমটি চালু করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে দেশের সব বিদ্যালয়ে নিয়মটি চালু হচ্ছে। এটি সরকারের যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top