সেবা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সংবিধানের প্রস্তাবনার সঙ্গে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণের নিবিড় সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বহু কালজয়ী বক্তব্য রেখেছেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গ্রহণের প্রাক্কালে প্রদত্ত ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভাষণটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সব ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনই বঙ্গবন্ধুর মূল রাজনৈতিক দর্শন। সংবিধান তখনই সার্থক হবে যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
সোমবার বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৮তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত না করে অসীম সাহসিকতা সঙ্গে জাতির মুক্তির লড়াই নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা ও সংবিধান। বাহাত্তরের সংবিধানকে বিশ্বের অন্যতম সংবিধান। ৪ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও গৌরবজ্জ্বল দিন। বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার আদর্শ, নীতি ও চেতনার প্রতিফলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধান। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চারনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সন্নিবেশিত করেছিলেন। আর এ সংবিধানই হচ্ছে রাষ্ট্রের মেরুদন্ড। এসময় তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংবিধানকে সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।