গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোর চাইতে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা অনেক বেশী।
এসব ইটভাটা শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইটভাটা ব্যবসার লাইন্সেস নিয়েই চলছে। আর আয়কর দিয়েই পেয়েছে এই অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতারণার ব্যবসার বৈধতা। এসব ইট তৈরীতে নেই যেমন কোন উপাদান মাটি বালু পানি পরিমানের অধিকা ব্যবহার করে পুড়িয়ে হয়ে যাচ্ছে ইট। এসব ইটের মাপেও আছে নানা গড়মিল।
তবুও জেনে শুনে এসব পোড়া মাটির দলা কে ইট হিসাবে ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা সাধারণ। এসব ইট তৈরীর মাটি সংগ্রহে যেমন আবাদী জমি কেটে করা হয় তেমনি মাটি পরিবহনের ফলে উপজেলার কাচা রাস্তাঘাট গুলোর বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো রয়েছে ব্যাপক ঝুঁকিতে।
উপজেলায় ৪৩ টির বেশী ইটভাটা থাকলেও অনুমোদন প্রাপ্ত ইটভাটা দুই হতে তিনটি বাকি ইটভাটা গুলোর পরিবেশ ছাড় পত্র না পাইলেও বীরদর্পে চলছে ইটভাটা গুলো। তেমনি নিত্য নতুন ভাবে আবাসিক এলাকার নিকটে ও আবাদী জমিতে গড়ে উঠছে এসব ইটভাটা।
সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার যে ঘোষণা দিচ্ছেন তা এ উপজেলায় মানা হচ্ছে না। আবাদী জমি নষ্ট না করতে যেখানে শিল্পকলকারখানা নির্মাণ বন্ধ সেখানে নিত্য নতুন ইটভাটা হয় কি করে।
উপজেলার জুনদহ এলাকায় সাইদুর রহমান আগেই একটি অবৈধ ইটভাটা চালিয়ে আসছেন। আবারো সে পাশেই আবাদী জমি নষ্ট করে আরেকটি নতুন ইটভাটা নির্মান করছেন।
এছাড়াও উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়া নামক স্থানে বসতবাড়ীর পাশে আবাদী জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করছেন আমিনুল ইসলাম। এর আগে বিভিন্ন স্থানে এসব ইটভাটা বন্ধে দুই একটা অভিযান চালানো হলেও পুর্ণরায় সে সব ইটভাটা অদৃশ্য ইশারায় চালু হয়।
উলে¬খ্য, এভাবে আর কতদিন চলবে আবাদি জমি নষ্ট করে ইটভাটা নির্মাণ ও ইটভাটা গুলোর অবৈধ কার্যক্রম সংশি¬ষ্টদের নিরবতায় প্রমাণ করে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় সব সম্ভব।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।