শীত কালের আগমনে ব্যস্ত ঘাটাইলে লেপ-তোশক কারিগররা

S M Ashraful Azom
0
শীত কালের আগমনে ব্যস্ত ঘাটাইলে লেপ-তোশক কারিগররা
সেবা ডেস্ক: রাতের হালকা হালকা ঠান্ডা অনুভূত ও সকালে ঘাসের ডগায় শিশির ভেজা মুক্তকণা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত আসার আগেই টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় লেপ-তোশক তৈরির ধুম পড়েছে। ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন লেপ-তোশকের দোকানে। আর তাই লেপ-তোশক তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন  ঘাটাইল উপজেলার কারিগররা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ছোট বড় হাট বাজারগুলোতে লেপ-তোশক প্রস্তুতকারী দোকানে ধুনাইকাররা এখন তুলাধুনা লেপ-তোশক তৈরি ও সেলাইয়ের কাজে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লেপ-তোশকের দোকানগুলোতেও বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। লেপ তৈরির অর্ডারও দিচ্ছেন অনেকে।

উপজেলার সাগরদিঘী বাজারের কারিগর আবু হানিফ মিয়া জানান, দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ার আশঙ্কায় উপজেলা সদর ও গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মওসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ৫-১০ টি লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

লেপ-তোশক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রচুর লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি। কাজ সামাল দিতে অতিরিক্ত কারিগর রেখেছি। চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে। অর্ডার নেয়ার পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ, বালিশ, তোশক বানিয়ে রেখেছি। ক্রেতাসাধারণের কাছে এসব রেডিমেট হিসেবে বিক্রি করে থাকি।

তিনি আরও জানান, মজুরি হিসেবে বালিশ প্রতি পিস ১৫০ টাকা, লেপ ৯০০-১০০০ টাকা, তোশক ১০০০-১৫০০ টাকা হারে নেয়া হয়।

ধলাপাড়া বাজারের লেপ-তোশক তৈরির কারিগর শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের চাপ বাড়ায় কারিগরদেরও চাহিদা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ৫ শত টাকা মজুরি পাচ্ছি। শীতের তীব্রতা বাড়লে কাজের চাপ আরো বাড়বে। তখন মজুরিও বাড়বে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top