সেবা ডেস্ক: গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তিশালী আকার ধারন করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলীয় সাত জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে এতে ফসল ছাড়া বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যথাসময়ে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে, আপাতত এর গতিমুখ সুন্দরবনের দিকে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সাত জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোক সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় ২০০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। গতি আরো বাড়লেও যে প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে ফসল ছাড়া বড় ধরণের ক্ষতির শঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাতের মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এ জন্য ঝড়ের ১৪ ঘণ্টা আগে লোকজন সরিয়ে নেয়ার জন্যে বলা হয় যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা উপজেলা সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।