সেবা ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নিম্ন চাপের ফলে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরে উপ-পরিচালক আয়শা খাতুন। শনিবার রাত পৌনে ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
এসময় তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘন্টা বেগে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় ২১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এটি আজ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল সুন্দরবনের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ৯ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। আর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।