সেবা ডেস্ক: একজন মুসলিমের সর্বোত্তম নাম কী হবে, কোন ধরনের নাম প্রশংসনীয়, কোন ধরনের নাম বৈধ বা অপছন্দনীয়, ইসলাম এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
ইসলামে সুন্দর ও ভালো নাম রাখার গুরুত্ব অনেক। তাই তো দেখা যায়, রাসূল (সা.) নিজেই অনেক বাচ্চার নাম রেখেছেন এবং কারো অসুন্দর নাম শুনলে তা পরিবর্তন করে দিতেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে-
إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ.
‘কেয়ামতের দিন প্রত্যেককে তার নিজের নাম ও পিতার নামসহ ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখ। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯০৯)।
তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়াদির প্রতি লক্ষ্য রাখা উত্তম-
> আল্লাহ তায়ালার কোনো নামের সঙ্গে ‘আব্দ’ যোগ করে নাম রাখা যেমন, আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান। হাদিস শরিফে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إِنّ أَحَبّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللهِ عَبْدُ اللهِ وَعَبْدُ الرّحْمنِ.
‘আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২১৩১; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২২৯১০)।
> কোনো নবীর নামে নাম রাখা, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
تَسَمّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ.
‘তোমরা নবীদের নামে নাম রাখ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ১৯০৩২, আরো দ্রষ্টব্য আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস ৮৩৬-৮৪০)।
> সাহাবী-তাবেয়ী কিংবা কোনো নেককার বুযুর্গের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা। এক হাদিসে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তাদের (হাসান, হুসাইন ও মুহাসসিনের) নাম রেখেছি হজরত হারূন আলাইহিস সালামের সন্তানদের নামের সঙ্গে মিলিয়ে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৯৫৩)।
> নামের প্রভাব ব্যক্তির মাঝে প্রতিফলিত হওয়ার বিষয়টিও সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। ( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪৯১৭)।
এগুলো হচ্ছে উত্তম নাম রাখার কিছু মূলনীতি। এছাড়াও যে কোনো ভালো অর্থের নামও রাখা জায়েয এবং তা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায়ও হতে পারে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।