সাঘাটায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

S M Ashraful Azom
0
সাঘাটায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচারণসহ নানা অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতিবাজ উক্ত চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করে অত্র ইউপি সদস্যরা আজ ১৫ জানুয়ারী বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার ও কার্যকর মপদক্ষেপের দাবি জানান। এছাড়াও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মালেক, শাহ মো.হামিদুল ইসলাম তোতা, মো. আব্দুল কুদ্দুস, কাজী নজীর হোসেন, মো. ফারুক হোসেন, মো. রোস্তম আলী, মো. আজাদুল ইসলাম, মো. মইচ উদ্দিন, মো. সাইদুর সরকার, মোছা. আফরোজা বেগম, মোছা. সাহিদা বেগম, মোছা. রাণী বেগম।

লিখিত বক্তব্যে উলে­খ করা হয়, চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপন মেম্বরদের জাল স্বাক্ষরে ভুয়া প্রকল্প অনুমোদন করে কোনো কাজ না করেই ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলার নিয়ন্ত্রণাধীন হাট-বাজারের ইজারা লব্ধ অর্থ ও এডিপি অর্থ থেকে ভুয়া রেজুলেশন দাখিল করে ইউপি সদস্য প্রকল্প চেয়ারম্যান সাইদুর সরকারের জাল স্বাক্ষরে কাজ না করে চেয়ারম্যান ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সিংড়া বাজারের ড্রেন নির্মাণ না করে তিনি বরাদ্দকৃত পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন। চেয়ারম্যান ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ‘যতœ প্রকল্প,’ ‘জমি, আছে ঘর নাই,’ ‘মাতৃত্বভাতা’, ‘বয়স্ক ভাতা’, ‘বিধবা ভাতা’ ও প্রতিবন্ধী ভাতার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া নীতিমালার বহিতর্ভূতভাবে মনগড়া একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকার বিনিময়ে তালিকা প্রণয়ন, প্রত্যেক মাসে একটি করে নিয়মিত মাসিক সভা করার কথা থাকলেও তা তিনি করেন না, এমনকি এক বছরে কোনো সভা এবং সরকারি নির্দেশনা সত্তে¡ও গ্রাম আদালত পরিচালনা করা হয়নি। হোল্ডিং কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি ও অন্যান্য উৎস থেকে আদায়কৃত অর্থ এককভাবে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে খরচ দেখিয়ে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষের ৪৮৫টি কম্বলসহ যতœ প্রকল্পে আওতায় শিশু ভাতা এবং শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের রশিদ ছাড়াই প্রায় ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া আরও উল্লেখ করা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মেম্বরদের মাসিক ভাতা হিসেবে প্রতিমাসে ৪ হাজার ৪শ টাকা সম্মানী ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন সদস্যকে সম্মানী ভাতা না দিয়ে ২০ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন চেয়ারম্যান।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top