রৌমারীতে আশঙ্কাজনক হাড়ে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া-শিশুর মৃত্যু

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে আশঙ্কাজনক হাড়ে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া-শিশুর মৃত্যু
শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে উপজেলা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কয়েক শত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশরাই শিশু। ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই রৌমারী হাসপাতালে আতিকুল নামের ৯ মাসের এক শিশুর নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হলে রোগীদের মধ্যে ভিতি ছড়িয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কেউ কেউ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান বাসায়।

এক সুত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র ২৬ জানুয়ারীতেই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রৌমারী হাসপাতালে যেন তিল ধারনের ঠাই নেই। রোগীদের ঠাঁশাাঠাঁশি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়। আউড-ডোর ও ইনডোরে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকগণ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নার্স জানান, গত ৩ দিনে তারা নাওয়া খাওয়া ও ঘুমোতে পারেন নি। সারাক্ষণ শুধু ডিউটি আর ডিউটি। ভুক্তভোগীরা জানান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রৌমারী হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও কার্যত তা ৩১ শর্য্যাই রয়ে গেছে। বিশেষ করে সুইপার ৪ জনের স্থলে ১ জন থাকায় টয়লেটগুলো পুরোপুরিভাবে পরিস্কার করা হচ্ছে না। হাসপাতালের টয়লেটগুলো যেন দূর্গন্ধ যুক্ত ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এছাড়া চিকিৎসা সেবা অনেকটা মুখ থুবরে পড়েছে। রৌমারী হাসপালে দায়িত্বরত ডা: মো: মোমেনুল ইসলাম হাসপাতালের পাশেই নিজস্ব ব্যবসা কেন্দ্র রৌমারী ক্লিনিক খুলে বসেছেন। তিনি সরকারী কর্মস্থলের চাইতে তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে বেশী সময় দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে রোগীদের ওয়ার্ডে রাউন্ড এর দায়িত্ব আরএমওর উপর। হাসপাতালে কর্মরত প্রত্যেক চিকিৎসকের উপর সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব বন্ঠন করলে রোগীরা ভাল সেবা পেত। সব মিলে অব্যবস্থাপনার কারনে এতে খোদ হাসপাতালেই এখন ডায়রিয়া রোগীর জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ২ জন আয়া ও ২ জন নৈশ্য প্রহরী থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। নার্স ১৬ জনের স্থলে রয়েছেন ১০ জন ও চিকিৎসক ১৪ জনের স্থলে রয়েছেন ৯ জন। এরমধ্যে ছুটি, প্রেশন ও মনগড়া অনুপস্থিত থাকা তো রয়েছেই। এসব যেন দেখার কেউ নেই। লাগামহীন ও নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে চলছে রৌমারী হাসপাতালটি। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে রোগীদেও কষ্ট অনেকটা লাঘব হতো।

এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৮ জন রোগী। প্রতিদিন এ তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তবে চিকিৎসকগণ বলছেন, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডা: মোমেনুল ইসলাম জানান, ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ক্লিনার না থাকায় অতিরিক্ত রোগীর চাপে টয়লেটগুলো অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়ছে। সাথে কিছুটা ডাক্তার ও কর্মচারী স্বল্পতাও রয়েছে। ফলে জরুরী মুহুর্তে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top