![]() |
ফাইল ছবি |
গণ্ডগোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাখী দেবী ভাদুড়ী বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে সহকারী শিক্ষিকা সামসুনাহার রিনা ও নুরজাহান আক্তার মিনুর মধ্যে প্রায়ই বিবাদ লেগেই থাকতো। আমি বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে টিফিন চলাকালীন সময় ওই দু’শিক্ষিকার মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে গণ্ডগোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনুর স্বামী মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমি যে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেটা মানতে চায় না সহকারী শিক্ষিকা সামসুনাহার রিনা ও তার স্বামী আমার বড় ভাই আব্দুর রউফ। তারা প্রতিনিয়ত স্কুলে একক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও আইন-শৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা কোনো সুরাহা করেনি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে সবার সামনে মারধর করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসকরা তার গর্ভের বাচ্চা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্কুলে দুই শিক্ষিকার মধ্যে হাতাহাতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, গণ্ডগোহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষিকার মধ্যে মারামারির বিষয়টি শুনেছি। সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু অপর এক শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।