
সেবা ডেস্ক: আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলাকালে বিদেশি কূটনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে গেছেন, সেটা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে সহানুভূতি জানানো যেমন বিদেশি কূটনীতিকদের কাজ নয়, তেমনি এটি কূটনীতির অংশও নয়। আমি মনে, এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ইডেন ইংলিশ স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা যত না আগ্রহী, তারচেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী ঢাকা দুই নির্বাচন নিয়ে। এ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে যখন জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেখানকার বিদেশি কূটনীতিকরা এভাবে কথা বলেন না, অন্যান্য দেশেও বলেন না।
বিদেশি কূটনীতিকদের আমাদের সবকিছুতে আগ্রহটা বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কূটনীতিকদের এমন আগ্রহের পেছনে অবশ্য আমাদেরও কেউ-কেউ দায়ী। আপনারা জানেন, কোনো কিছু হলেই বিএনপি দেশি-বিদেশি কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে। নালিশতো করবে জনগণের কাছে, দেশের ভোটারের কাছে। কিন্ত তারা নালিশ করে বিদেশি কূটনীতিবিদদের কাছে। এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দেয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দিয়েছে এবং তারমধ্যে আবার ২৮ জন বাংলাদেশি রয়েছেন অর্থাৎ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। এটি কীভাবে দিয়েছে, কেন দিয়েছে, সে নিয়ে যদিও গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিশনের এ ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।