
সেবা ডেস্ক: ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার ঘটনার দায় ইরানের সামরিক বাহিনী কর্তৃক স্বীকারের পর দেশটিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সরকার বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে এই বিক্ষোভ থেকে নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র তথ্যানুযায়ী, বিক্ষোভ দমনের জন্য দেশটিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজপথে দায়িত্ব পালন করছে দাঙ্গা পুলিশ, অভিজাত রেভ্যুলুশনারি গার্ড ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আবারো বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়ে টুইটারে বলেছেন, সরকার বিরোধীদের টার্গেট করা উচিত নয় ইরানের। ‘বিশ্ব দেখছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইরান পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র’।
অন্যদিকে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ইরাকে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৃটেন। পরে অবশ্য ওই রাষ্ট্রদূতকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইরানের হামলার ঝুঁকিতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাস।
তবে রোববার তার এমন বিশ্বাসকে উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। তিনি সিবিএস টেলিভিশনের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে রোববার বলেছেন, ইরান যে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ তিনি দেখতে পাননি। তবে ইরান হামলা চালাতে পারতো বলে সম্ভাব্যতা থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
গত বুধবার ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুল করে ভূপাতিত করার কথা শনিবার স্বীকার করে ইরান। তবে এর আগে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তারা। এ জন্য শনিবারের বিক্ষোভে দেশটির কর্মকর্তাদের মিথ্যাবাদী অভিহিত করা হয়। পদত্যাগ দাবি করা হয় ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির।
এ দাবি নিয়ে রোববার তেহরানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। এ সময় ইরানের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের বলতে দেখা যায়, ‘তারা মিথ্যাচার করেছে যে, আমেরিকা আমাদের শত্রু। কিন্তু আমাদের শত্রুরা দেশে।’ একই দিনে দেশটির অন্যান্য শহরেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।